দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়ন পত্র বাছাই কার্যক্রম শেষে চুয়াডাঙ্গা এক ও দুই আসনের বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। যাচাই বাছাই শেষ করে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ঘোষণা করেন।
ঘোষণায় রিটানিং অফিসার জানান, চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন মনোনয়ন পত্র বৈধ নির্বাচন হয়েছেন। এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র নির্বাচন হয়েছেন স্বতন্ত্র দুইজন প্রার্থী । তারা হলেন, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, এম এ রাজ্জাক খান। এছাড়া এ আসন থেকে অন্য দলের মধ্যে মনোনয়নপত্র নির্বাচন হয়েছেন জাতীয় পার্টির অ্যাড. সোহরাব হোসেন, এনপিপি’র (ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি) ইদ্রিস চৌধুরী, জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী সালাম উদ্দিন হক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এম শহিদুর রহমান। এই আসন থেকে যারা নির্বাচন হননি তারা হলেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আফরোজা পারভীন ও শেখ সামসুল আবেদিন খোকন। এছাড়া এ আসন থেকে অন্য দলের মধ্যে মনোনয়নপত্র নির্বাচন হোননি তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী তাইজেল হক ।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে নির্বাচন হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্র্থী হিসেবে নির্বাচন হয়েছেন হাশেম রেজা। এছাড়া এ আসন থেকে অন্য দলের মধ্যে মনোনয়নপত্র নির্বাচন হয়েছেন জাতীয় পার্টির অ্যাড. রবিউল ইসলাম, জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ খান যুবরাজ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) দেওয়ান ইয়াছিন উল্লাহ ও এনপিপি’র (ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি) ইদ্রিস চৌধুরী। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন হননি তারা হলেন, নুর হাকিম, মির্জা শাহরিয়ার লন্টু, নজরুল মল্লিক ও আব্দুল কাদের মোল্লা। তবে এই আসন থেকে অন্যদলের মধ্যে কেউ অবৈধ বলে কোনো প্রার্থী বাদ যাননি।
মনোনয়ণ পত্র ঘোষণার শেষ পর্বে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, চুয়াডাঙ্গা এক আসনের ১০ টি মনোনয়ন পত্র দাখিলের মধ্যে যাচায় বাছায় সম্পন্ন করে ৭ টি মনোনয়ন পত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে এবং ৩ টি অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। অপর পক্ষ চুয়াডাঙ্গা ২ আসনে ১০ টি মনোনয়ন পত্র দাখিলের মধ্যে যাচায় বাছায় সম্পন্ন করে ৬ টি মনোনয়ন পত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে এবং ৪ টি অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। যে সকল প্রার্থী অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে তাদের কারোর বিদুৎ বিল বাকি, আয় কর, পৌর কর বাকি। আবার এক শতাংশের কম সর্মথন মেলেনি প্রার্থীর তাই ওই সকল প্রার্থীদের অবৈধ বলে বাতিল করা হয়েছে।