আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার সময় বাড়াল জান্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারে জারি থাকা জরুরি অবস্থা আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে সামরিক বাহিনী সমর্থিত দেশটির নিরাপত্তা পরিষদ। ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করে সামরিক জান্তা। জরুরি অবস্থা জানুয়ারিতেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী এর পরপরই নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। যদিও এখন পর্যন্ত নির্বাচনের সম্ভাব্য কোনো তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের দুই বছর পূর্ণ হয়েছে আজ বুধবার। বিক্ষোভকারীরা এ উপলক্ষে দেশটির বিভিন্ন শহর ও দেশের বাইরে বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ ও নীরব ধর্মঘট পালন করেছেন। এদিকে দেশটির নির্বাসিত বেসামরিক নেতারা জান্তার অবৈধ ক্ষমতা দখলের সমাপ্তি টানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিক্ষোভের সময় গণতন্ত্রকামীরা জনগণকে বাড়ির বাইরে না গিয়ে দোকানপাট বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করতে আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে সেনা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই এ ঘর্মঘটের ডাক দিলেন বিক্ষোভকারীরা।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সু চি সরকারের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা উত্তেজনার পর ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির শীর্ষ জেনারেলের নেতৃত্বে দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। ওই দিন মিয়ানমারের নতুন পার্লামেন্টে অধিবেশনের প্রস্তুতি চলছিল। আর তার আগেই ভোরবেলা অভিযান চালিয়ে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চিসহ আইনপ্রণেতাদের আটক করেন সেনাসদস্যরা। অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থার ইতি টানা হয়।

মিয়ানমারে ওই অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটিতে বিশৃঙ্খলা চলছে। দেশটিতে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন বিক্ষোভকারীরা। চলছে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন, সংঘাত, অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ। তাঁদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। এদিকে গঠিত হয়েছে জান্তাবিরোধী ছায়া সরকার ও প্রতিরোধ বাহিনী। পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমারের ওপর জারি করেছে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা।

চলতি মাসের শুরুতেই মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশে বহু দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনের আয়োজন করবে সামরিক বাহিনী। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য, সামরিক জান্তার অধীনে নির্বাচনের আয়োজন করা হলে, তা হবে একটি ধোঁকাবাজি’।

এদিকে মিয়ানমারের রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নতুন নির্বাচনী আইন জারি করেছে দেশটির সামরিক জান্তা প্রশাসন। নতুন এ আইনের আওতায় দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোকে দুই মাসের মধ্যে নতুন করে নিবন্ধন নিতে হবে।

দেশটির প্রধান বাণিজ্য শহর ইয়াঙ্গুন ও মান্দালাই এলাকা থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো ছবিতে দেখা গেছে, জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। অবশ্য ১০০ জনের বেশি জান্তা সমর্থককেও ইয়াঙ্গুনে পৃথক সমাবেশ করতে দেখা গেছে। থাইল্যান্ড ও জাপানে মিয়ানমার দূতাবাসের সামনে শত শত মানুষ জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন। ফিলিপাইনের ম্যানিলা শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে।

মঙ্গলবার সেনাসমর্থিত ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি কাউন্সিল (এনডিএসসি) মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করে। এর মধ্যে দেশটির গণতন্ত্রকামী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (এনইউজি) কার্যক্রমের বিষয়ও রয়েছে। দেশটিতে জান্তাবিরোধী সরকার হিসেবে এনইউজি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা দেশটির ছায়া সরকার হিসেবে কাজ করছে।

সেনা অভ্যুত্থানের দুই বছর পূর্তিতে গতকাল বুধবার মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এবারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন দেশটির জ্বালানিবিষয়ক কর্মকর্তা ও জান্তাসদস্য।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ মিয়ানমারের ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশন, খনি কোম্পানি, জ্বালানিবিষয়ক কর্মকর্তা এবং সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবার মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের (এমওজিই) কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল। এ ছাড়া এদিন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য।

জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, জান্তার দমন-পীড়নে মিয়ানমারে প্রায় ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৭০ হাজার মানুষ দেশ ছেড়েছেন। এসব কারণে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো। আনা হয়েছে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ। কিন্তু এত কিছুর পরও ভাগ্য ফেরেনি মিয়ানমারবাসীর। তাঁদের গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। বরং প্রায় প্রতিটি দিন তাঁদের কাটাতে হচ্ছে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়, প্রাণ নিয়ে সংশয়ে।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ এখন প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রার পারদ ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করলেও তা ৪২ ডিগ্রি ছাড়ালো।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে তীব্র তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তীব্র দাবদাহের কারণে জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেছে জেলা প্রশাসন।

চলতি বছরের এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ। শুধু চলতি বছর নয়, আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর টানা প্রায় ১৩ দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। আর এটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর আশপাশেই থাকছে। টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। বর্তমানে সে তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ চলমান রয়েছে। দাবদাহের কারণে মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আজও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না। ২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলার ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান পদত্যাগ করেছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান হারজে হালেভির টেবিলে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন। মেজর জেনারেল আহরন হালিভা ৩৮ বছর ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আহারন হালিভা হলেন প্রথম জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা যিনি হামাসের হামলার ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করলেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামরিক বাহিনী চিফ অব স্টাফ হালিভার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে এবং তার সেবার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

এই ঘটনায় ইসরায়েলের আরও শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হামাসের আক্রমণ প্রতিরোধ না করতে পারার দোষ স্বীকার এবং পদত্যাগের মঞ্চ তৈরি করতে পারে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিফ অব স্টাফ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর অনুমোদনে মেজর জেনারেল আহারন হালিভা তার দায়িত্ব শেষ করবেন এবং একটি সুশৃঙ্খল ও পেশাদার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উত্তরসূরি নিয়োগের পর সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেবেন।

হালিভা অক্টোবরে বলেছিলেন, হামাসের আক্রমণ ও ইসরায়েল প্রতিরক্ষা ভেঙে পড়া প্রতিরোধ না করার জন্য তিনি দায়বদ্ধ ছিলেন। হামাস হামলা চালিয়ে অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলিকে হত্যা করে এবং শত শত ইসরায়েলিকে আটক করে গাজায় নিয়ে যায়।

৭ অক্টোবরের হামাসের হামলাকে ব্যাপকভাবে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার একটি বড় ব্যর্থতা’ হিসাবে দেখা হয়।


আরও খবর



জাপানে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাপানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বনিন দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৫ ছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। তবে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০৩ দশমিক ২ কিলোমিটার (৩১২.৭ মাইল) গভীরে। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল রাজধানী টোকিও থেকে ৮৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণের পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায়।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র বলেছে, জাপানে আঘাত হানা ভূমিকম্পের কারণে সুনামির কোনো শঙ্কা নেই। জাপানের ভূমিকম্প কেন্দ্র বলেছে, বনিনে আঘাত হানা ভূমিকম্পের ফলে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করার প্রয়োজন হয়নি।

এর আগে ২২ এপ্রিল এক রাতে ৮০ বারেরও বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয় জাপানের প্রতিবেশী তাইওয়ান। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। তার আগে ৩ এপ্রিল তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে ১৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর স্বশাসিত দ্বীপ অঞ্চলটিতে এক হাজারের মতো আফটারশকের ঘটনা ঘটেছে।

তাইওয়ানের মতো জাপানও একটি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। ২০২২ সালের পহেলা জানুয়ারি দেশটিতে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে দেশটির শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।


আরও খবর



‘ইসরায়েল হামলা চালালে সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এবার ইসরায়েলকে আরও কঠোর হুঁশিয়ারি দিলো ইরান। দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি বলেছেন, ইসরায়েল যদি আবার আক্রমণ চালায়, তবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তার জবাব দেবে ইরান।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাঘেরি বলেন, ইসরায়েলের যে কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তেহরানের পাল্টা আক্রমণ হবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার। ইরান এবার জবাব দেওয়ার জন্য ১২ দিন অপেক্ষা করবে না; এমনকি, এক ঘণ্টাও দেরি করবে না।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সকে ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল ফজল শেকারচি। তিনি বলেন, ইরান প্রমাণ করেছে যে তারা যুদ্ধবাজ নয় ও যুদ্ধের বিস্তার চায় না। তবে ইসরায়েল যদি প্রতিশোধ বা উসকানিমূলক কোনো আগ্রাসন চালায়, তবে ইরান আরও শক্তিশালী জবাব দেবে।

গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় তেহরান। দামেস্কে ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ইরান।


আরও খবর



মিঠুনকে বিশ্বাসঘাতক বললেন মমতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বলিউড অভিনেতা ও বিজেপি সদস্য মিঠুন চক্রবর্তীকে গাদ্দার বা বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মিঠুন সম্পর্কে তিনি বলেন, ওকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলাম। ও এত বড় গদ্দার আমি জানতাম না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

ভারতে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। আগামীকাল শুক্রবার শুরু হবে প্রথম দফার ভোট। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি। লোকসভা ভোটে বিজেপির তারকা প্রচারকের তালিকায় রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। ইতিমধ্যে উত্তরে প্রচারও শুরু করেছেন।

সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেছেন, ফিল্মস্টার থেকে মিনিস্টার সবাইকে আনছে ভোট করাতে। এই মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলাম। তখন জানতাম না ও বাংলার আরও একটা বড় গদ্দার।

মমতার দাবি, নিজের ছেলেকে বাঁচাতে আরএসএস দপ্তরে মাথা নিচু করেছিলেন মিঠুন। তিনি বলেন, মনে পড়ে, তার ছেলেকে ধরেছিল, বিয়ের পিঁড়িতে হানা দিয়েছিল। সেইসময় নিজের ছেলেকে বাঁচাতে মিঠুন চলে যায় আরএসএস অফিসে। ওখানে গিয়ে বলে, আমি বিজেপির সেবক আছি।


আরও খবর