মিয়ানমার থেকে
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সীমান্তরক্ষীদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের
সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মিয়ানমারের সেনাদের গভীর সমুদ্র দিয়ে ফেরত পাঠানো হবে। এর আগে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে মিয়ানমারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্র
জানায়, মিয়ানমার তাদের বাহিনীর লোকদের নাফ নদ হয়ে ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল। তাতে আপত্তি
জানায় বাংলাদেশ। কারণ নাফ নদ দিয়ে ফেরত পাঠানোর সময় আরাকান আর্মি যদি কোনো হামলা চালায়,
আর তাতে যদি কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটে, তাহলে তার দায় বাংলাদেশকেও নিতে হবে। বিকল্প পরিস্থিতি
বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ তাদের আকাশপথে ফেরত পাঠানোর বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু
মিয়ানমার সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তাই এখন সমুদ্রপথে তাদের ফেরত পাঠানো হবে বলে আন্তঃমন্ত্রণালয়
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
তথ্য অনুযায়ী, আরাকান আর্মিসহ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার মুখে নতুন করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী
বাহিনী বিজিপির সামরিক কমান্ডারসহ ৬৪ জন টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে
ঢুকেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন ৩২৮ জন মিয়ানমারের নাগরিক।