আগামী ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিচ্ছুদের ভর্তি পরীক্ষা। এদিন সারাদেশের ১৯ কেন্দ্রে এমসিকিউ প্রশ্নে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরে পরীক্ষা হবে। এ দিকে, আগামী ১৫ মার্চ থেকে দেশের সকল মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা কমিটি।
স্বাস্থ্য শিক্ষা
অধিফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব আরো জানান, আগামীকাল
মঙ্গলবার থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা
বাহিনী এটা নিশ্চিত করবে।
অধ্যাপক ডা. এ
কে এম আহসান হাবীব বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে
ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার হলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। শারীরিক দূরত্ব বজায়
রাখতে হবে। হাত ঘড়ি, পকেট ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোনসহ কোন ধরনের ইলেক্ট্রনিক
সামগ্রী নিয়ে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করা যাবে না। কেন্দ্রে কর্তব্যরত হল সুপার, শিক্ষকসহ
পরীক্ষায় নিয়োজিত সব ব্যক্তি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। বরাবরের মতোই
দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, আগামী
১ এপ্রিল ভর্তি পরীক্ষার দিন সকাল ৮টায় পরীক্ষা কেন্দ্রের গেট খুলে দেয়া হবে। সাড়ে
৯টায় গেট বন্ধ করে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ওমেকা
মেডিকেল কোচিং সেন্টারের এক কর্মকর্তা জানান, কোচিং সেন্টার বন্ধের ব্যাপারে এখনো কোনো
সিদ্ধান্ত হয়নি। মিটিংয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মেডিএইডের মেডিকেল
কোচিং সেন্টারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, আমরা এ বছর মেডিকেল কোচিং করাচ্ছি না।
আগামী বছর থেকে করাবো।
জানা গেছে, প্রতিবছর
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে কিছু কুচক্রী, দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি বা গ্রুপ কোচিং
সেন্টারের নামে বা ব্যক্তিগতভাবে অনলাইনের মাধ্যমে (ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ,
ভাইবার, ইমো) মেডিকেল কলেজে ভর্তির বিষয়ে ১০০ শতাংশ কমন সাজেসন্স বা গ্যারান্টি সহকারে
ভর্তির কথা বলে গোপনে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে থাকে। এ ধরনের গুজব ঠেকাতে বন্ধ থাকবে
দেশের সকল মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার। গুজব সৃষ্টিকারীদের ব্যাপারে তৎপর থাকবে দেশের
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
উল্লেখ্য, গেল
বছর ২ এপ্রিল সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে একযোগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ১ লাখ ২২ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন। সেই
হিসেবে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। দেশে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ আছে ৩৭টি। আসন ৪৩৫০টি।
দেশে ৭২ বেসরকারি মেডিকেল কলেজের আসন সংখ্যা ৬ হাজার ৩৩৯টি।