মাশরুমের মতো
স্বাদ ও স্বাস্থ্যের যুগলবন্দি খুব কম খাবারেই মেলে। এখন বাঙালির রান্নাঘরেও বেশ জনপ্রিয়
হয়ে উঠেছে ব্যাঙের ছাতার এই তুতো ভাইটি। কিন্তু বাজারে যে মাশরুম পাওয়া যায়, তা সব
সময়ে ঠিক ভাবে প্রক্রিয়াকরণ করা হয় না। তাই রান্নার আগে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
অন্যান্য খাবারের
তুলনায় একটু অন্য রকম ভাবে পরিষ্কার করতে হয় মাশরুম। প্রথমে ধুতে হয় ঠান্ডা পানি দিয়ে।
তার পর ধুতে হয় গরম পানিতে। ধোয়ার পরেও ছোট ছোট করে কেটে দেখে নিতে হবে মাশরুমে আর
ময়লা আছে কি না। রান্নার আগে মাশরুম ধোঁয়া ওঠা আঁচে অন্তত মিনিট দশেক ভাপিয়ে নিতে হবে।
তার পরে করতে হবে রান্না।
মাশরুমের হরেক গুণ
১) মাশরুমে থাকে
প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। বিশেষ করে মাশরুমে বিটা গ্লুকান নামক এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার
পাওয়া যায়, যা কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করে এবং হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে
সাহায্য করে।
২) ডায়াবিটিস
নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে বিটা গ্লুকান। কমায় টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি ।
৩) মাশরুমে থাকে
একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ‘ফ্রি র্যাডিক্যালের’ ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করতে
সাহায্য করে। ‘ফ্রি র্যাডিক্যাল’ হৃদ্রোগ এবং
ক্যানসারের মতো রোগের কারণ হতে পারে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও
সাহায্য করে।
৪) মাশরুমে রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। রাইবোফ্লাভিন লোহিত রক্তকণিকার স্বাস্থ্য রক্ষা করে, নিয়াসিন পাচনতন্ত্র ভাল রাখে আর প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড যত্ন নেয় স্নায়ুতন্ত্রের।