গত মাসে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের মজুদ কমে এক বছরের সর্বনিম্নে নেমেছে। এ নিয়ে টানা পাঁচ মাসের মতো মজুদ কমল। মূলত প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মাত্রায় রফতানি বৃদ্ধি এবং আমদানি কমে যাওয়ার কারণে মজুদ নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ড (এমপিওবি)।
এমপিওবির দেয়া তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক দেশটিতে গত মাসে পণ্যটির মজুদ ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমেছে। মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৭০ হাজার টনে। ২০২১ সালের মার্চের এর এটিই সর্বনিম্ন মজুদ।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক পাম অয়েল অ্যানালিটিকসের সহপ্রতিষ্ঠাতা সাথিয়া ভারকা বলেন, সর্বোপরি চাহিদা সরবরাহের তুলনায় তিন গুণ বেশি গতিতে বেড়েছে, যা মজুদ কমে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
এদিকে গত বছরের অক্টোবরের পর গত মাসে প্রথম অপরিশোধিত পাম অয়েলের উৎপাদন বাড়ে। অনুকূল আবহাওয়া এতে সহায়তা করেছে। উৎপাদন প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে ২৪ শতাংশ বেড়েছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার টনে। অন্যদিকে রফতানি ১৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ১২ লাখ ৭০ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে, যা তিন মাসের সর্বোচ্চ। মূলত ক্রেতারা ইউক্রেন থেকে সূর্যমুখী তেল কিনতে না পারায় মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দিকে ঝুঁকেছে। এ কারণে পণ্যটির ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। দেশটির পাম অয়েল আমদানি ৪৩ শতাংশ কমেছে। মার্চে আমদানির পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৪ হাজার ৮৭১ টনে।