কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার সমেষপুর এলাকার একটি মাদ্রাসার স্টোররুম থেকে ১১ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির নাম সিয়াম। সে মাদ্রাসাটির চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সে মাদ্রাসার আবাসিক ভবনেই থাকত।
আজ শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে বরুড়া উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের সমেষপুর মারকাজুল তালিমুওয়াজ তারবিয়াহ কওমি মাদ্রাসার স্টোর রুম থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার সন্ধার পর থেকে সিয়ামকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ তার বাবাকে মোবাইল ফোনে জানানো হয়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে খোঁজাখুঁজির জন্য মাইকিং করা হয়। পরে বরুড়া থানায়ও অবগত করা হয়। নিখোঁজের ৩ দিন পর শুক্রবার সকালে মাদ্রাসার স্টোর রুম থেকে দুর্গন্ধ বের হলে পরে সেখানের মেঝেতে শিশু সিয়ামের লাশটি পাওয়া যায়।
শিশুটির মামা হেদায়েতুল্লাহ বলেন, মাদ্রাসা থেকে জানানো হয়, সিয়ামকে পাওয়া যাচ্ছে না। গত ৩ মাস আগে সিয়ামের খালার সঙ্গে ওই মাদ্রাসার বাবুর্চি জাহাঙ্গীরের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এই জেরেই সিয়ামকে সে মেরে চলে যায়। যেদিন থেকে সিয়ামে পাওয়া যাচ্ছিল না সেদিন থেকে এই বাবুর্চি জাহাঙ্গীর মাদ্রাসা থেকে উধাও হয়ে যায়। সেই সিয়ামকে হত্যা করেছে। আমরা তার ফাঁসি চাই।
বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিশুটি যে মাদ্রাসায় পড়তো ওই মাদ্রাসার বাবুর্চি জাহাঙ্গীরই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ হচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য আমাদের টিম কাজ করছে। গ্রেপ্তারের পর হত্যার মূলরহস্য উদঘাটন হবে বলে মনে করছি।