আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মাদারীপুর-কক্সবাজার-সুনামগঞ্জে নতুন ৩ উপজেলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মাদারীপুরসহ দেশের তিন জেলায় নতুন তিনটি উপজেলা হচ্ছে। উপজেলা তিনটি হচ্ছে মাদারীপুরের ডাসার, সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ এবং কক্সবাজারের ঈদগাঁও। এই তিনটি উপজেলা নিয়ে দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা হবে ৪৯৫টি।

প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনটি নতুন উপজেলার সঙ্গে একটি উপজেলার নাম পরিবর্তন, একটি সিটি করপোরেশন ও দুটি পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে নিকারের বৈঠকে ১০ জন মন্ত্রী ও ১২ জন সচিবকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলায় ঈদগাঁও নামে একটি নতুন উপজেলা গঠন করা হবে। সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলায় মধ্যনগর থানাকে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় উন্নীত করা ও মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার ডাসার থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হবে। এই তিনটি উপজেলা নিয়ে দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা হবে ৪৯৫টি।

উপজেলা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ একক। কয়েকটি ইউনিয়ন মিলে একটি উপজেলা গঠিত হয় এবং কয়েকটি উপজেলা নিয়ে একটি জেলা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগে ৬৪টি জেলায় মোট ৪৯২টি উপজেলা রয়েছে।

সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার নাম পরিবর্তন করে শান্তিগঞ্জ নামকরণ করা হচ্ছে। মাদারীপুর জেলার শিবচর পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ঢাকা জেলার দোহার পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারণ ও একই সঙ্গে সংকোচন করা হচ্ছে। এছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের সীমানা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর সর্বশেষ নিকারের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ফরিদপুর সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব শর্তসাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে নিকার। ওই বৈঠকের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল বিভাগীয় সদর দপ্তরই হবে সিটি করপোরেশন। ফরিদপুর এখনো বিভাগীয় শহর হয়নি। যখন বিভাগীয় শহর হবে তখন থেকেই ফরিদপুর সিটি করপোরেশন কার্যকর হবে।

২০১০ সালের স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) প্রতিষ্ঠা বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো পৌর এলাকায় সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আটটি শর্ত পূরণ করতে হয়। বিধিমালা অনুসারে পৌর এলাকার জনসংখ্যা হতে হবে ন্যূনতম ৪ লাখ। বিধি অনুয়ায়ী জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩ হাজার জন থাকতে হবে। স্থানীয় আয়ের উৎস ৫ কোটি টাকা হতে হয়। প্রস্তাবিত এলাকায় শিল্পপ্রতিষ্ঠান থাকতে হবে ও এগুলো বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে হবে। সিটি করপোরেশন হতে হলে আয়তন হতে হবে কমপক্ষে ২৫ বর্গকিলোমিটার। একই ধরনের শর্ত রয়েছে উপজেলা, পৌরসভা ও থানা গঠনের ক্ষেত্রেও।


আরও খবর



গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ 'বংশমর্যাদা'

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ মেলায় নানা জাতের গরু নিয়ে হাজির হয়েছিল সাদিক এগ্রো। এর মধ্যে আমেরিকার ব্রাহামা জাতের একটি গরুর দাম হাঁকানো হয় এক কোটি টাকা। ১ হাজার ৩০০ কেজি ওজনের গরুটি দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।

গরুর দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমরান হোসেন বলেন, গরুটির বংশমর্যাদার জন্য দাম বেশি। এই গরুটার বাবা, দাদা, দাদার বাবার পরিচয় আছে।

মেলার আকর্ষণ রোজু নামের গরুটির রং সাদার ওপর হালকা কালো শেড ছাপ ছাপ, ছোট শিং, নাকে নথ। গলায় স্বর্ণের আদলে তৈরি চেইনের সঙ্গে লকেট। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান ইমরান হোসেন।

তিনি বলেন, গরুটার দাম এক কোটি চাওয়া হচ্ছে, এটার অনেক কারণ আছে। এক নম্বর হচ্ছে- এই গরুটার ১১০ বছরের পেডিগ্রি (বংশ পরম্পরা) আছে। আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে, এই গরুটার বাবা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন ব্লাড লাইন। এটা হচ্ছে আমেরিকান ভিয়েট ল্যাঞ্চের নোবেল সিরিজ, ওদের সবচেয়ে বেস্ট সিরিজ এটা। এই জাতের গরু কম খাদ্য খেয়ে দ্রুত বড় হতে পারে। মাংস কিংবা ওজনের চিন্তা করে না বরং এটা বংশমর্যাদাপূর্ণ গরু। এর জন্যই দাম বেশি। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলেও জানান ইমরান হোসেন।

সাদিক এগ্রোর মালিক আরও বলেন, মেলায় আমরা গরু, ছাগল, উট, দুম্বা, ভেড়াসহ অনেক প্রাণি নিয়ে এসেছি। শুধু যে বেচাকেনা করার জন্য এনেছি সেটি নয়, অনেক প্রাণি আছে মানুষ দেখেনি, তাই নিয়ে আসা। আজকে যেসব বাচ্চারা আসছে, এরা অনেকেই হয়তো উট দেখেনি, আজ দেখতে পারবে। আমরা মনে করি, এটা আমাদের মেলার একটা অর্জন। এই প্রাণিগুলোর সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটাও আমাদের একটা লক্ষ্য।

এ ছাড়া সাদিক এগ্রোর আরেক কর্মকর্তা সৌরভ জানান, মেলা উপলক্ষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি গরু, ৪টি ছাগল, ৫টি দুম্বা, ৭টি ভুট্টি গরু মেলায় প্রদর্শন করছে। একেকটি দুম্বা ৪ লাখ করে আর ভুট্টি জাতের গরু ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচার বন্ধে কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে গত (২ মে) তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীরাই সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে।

২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।

৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।

৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিংয়ের অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫) বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

৬) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত অন্য কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতীত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৭) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোনও ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত নিজস্ব কোনও অনুষ্ঠান যেমন- ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোনও উপায়ে কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনও চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৮) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনও ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী ব্যতীত অন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটররা এ সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে।

১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



সরিষাবাড়ীতে দুই রাউন্ড গুলিসহ পিস্তল উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি:

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পৌর এলাকার বাউশী বাঙ্গালী পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ও ১টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ।

শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলার সরিষাবাড়ী থানা পুলিশের টহলরত একটি দল অভিযান চালিয়ে এ অস্ত্র উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে দুপুরে সরিষাবাড়ী থানার এসআই মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে রুকন (৩৭) কে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রুকন বাউশী বাঙ্গালী পাড়ার মোতালেব মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। 

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, অবৈধ অস্ত্র আছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকালে পৌর এলাকার বাউশী বাঙালি পাড়ার রুকনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।

এসময় অভিযানে অভিযুক্ত রুকনের আলমারীর মধ্য থেকে ২ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রুকন পালিয়ে যায়।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌর এলাকার বাউশি বাঙালি এলাকা থেকে একটি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত রুকনকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।


আরও খবর



হবিগঞ্জে হাওরে ধান কাটা শেষের পর সরকারিভাবে সংগ্রহ শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জে শুরু হয়েছে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান। তবে হাওরের প্রায় ৯৯ শতাংশ ধান কাটা-মাড়াই শেষ হওয়ার পর অভিযান শুরু হওয়ায় লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষকরা বলছেন, ধান সংগ্রহে সরকারের কালক্ষেপণের কারণে কৃষকরা যেমন সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন, তেমনি দৌড়াত্ব বাড়বে মধ্যসত্বভোগীদের।

খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি বোরো মৌসুমে ৩২ টাকা কেজি (১২৮০ টাকা) দরে ধান, ৪৫ টাকায় সিদ্ধ চাল এবং ৪৪ টাকায় আতপ চাল কিনবে সরকার। সেই হিসেবে হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলা থেকে ১৪ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন ধান ৪ হাজার ১৬৬ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ১৪ হাজার ৯৬৬ মেট্রিক টন সেদ্ধচাল কেনার লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।

ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। তবে জুনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ অর্জনের নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী। এদিকে, কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, পুরো জেলায় সার্বিকভাবে ধান কাটা শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ। হাওরের কাটা ও মাড়াই শেষ হয়েছে প্রায় ৯৯ শতাংশ।

কৃষকরা বলছেন, জেলায় সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হয় হাওরে। সেই ক্ষেত্রে হাওরের ধান কাটা-মাড়াই শেষে কৃষক কম দামে পাইকার ও ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। বাকি ধান বছরের খাবার জন্য গোলায় তুলছেন। এরপর ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হওয়ায় হাওরের কৃষকরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবেন। একই সাথে বাড়বে মধ্যসত্বভোগীদের দৌড়াত্ব।

বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা এলাকার কৃষক সুমন মিয়া বলেন, সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করেছে ১২৮০ টাকা মণ। আর আমরা পাইকারের কাছে বিক্রি করছি ৭৭০ টাকা মণ। অনেক অপেক্ষা করছি কখন সরকার ধান কিনবে। আমরা ঋণ পরিশোধ করতে ধান কেটে বিক্রি করে ফেলেছি। এখন সরকার ধান কিনলেও আমাদের কোন লাভ নেই।

একই এলাকার কৃষক আনুয়ার মিয়া বলেন, একেতো সরকার ধান কিনতে দেরি করে ফেলছে। তার উপর আবার মাত্র ১২৮০ টাকায় ধান কিনছে। সরকারকে ধান দিতে হলে ট্রাক ভরে খাদ্য গুদামে নিয়ে যেতে হয়। যে কয়টা টাকা লাভ হওয়ার কথা, সেটি গাড়ি ভাড়া আর শ্রমিকের মজুরিতেই চলে যাবে। এরপর দেখা যাবে খাদ্য কর্মকর্তা বলতেছেন, ধান পরিস্কার না, ভালোভাবে শুকানো হইছে না। নানা অজুহাত।

এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা চাই থোয়াই প্রু মার্মা বলেন, অন্য বছর কৃষকরা যে অভিযোগ করেন এবার তা পারবেন না। কারণ এ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে ধান বিক্রি করতে হবে। এছাড়া ধান বিক্রির টাকা কৃষক তার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে পাবেন।

চলতি বছর জেলা ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৩৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন।

নিউজ ট্যাগ: হবিগঞ্জ

আরও খবর



কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন ওরফে বাক্কা জামালকে গুলি করে হত্যার দায়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। মামলা থেকে পাঁচ আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় একজন যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ও দুজন খালাসপাপ্ত উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা সবাই পলাতক।

রোববার (১২ মে) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। নিহত জামাল উদ্দিন উপজেলার আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগে সভাপতি ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মো. জহিরুল হক সেলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, একই ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের সালাউদ্দিন, আব্দুর রহমান, মফিজুর রহমান খন্দকার, জিয়াউদ্দিন শিমুল, জাহিদ বিন শুভ, রেজাউল করিম বাবলু, মো. রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজী ও মমতা আমির হোসেন।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুলাসার গ্রামের নুরুল আলম, কফিল উদ্দিন, নুরুন্নবী সুজন, ইকবাল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান খন্দকার, মোশারেফ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী হোসেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিনকে তৎসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে জামাল উদ্দিনের ওপর হামলা করে আহত করা হয়। এ ঘটনায় জামাল উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে কুমিল্লার আদালতে মামলা করেন। এতে চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাত ৮টায় বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা জামাল ঢাকায় যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের পদুয়ায় সড়কের ওপর চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর নেতৃত্বে অন্য আসামিরা গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত জামালের বড় বোন জোহরা আক্তার বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

দীর্ঘ শুনানির পর রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন তিন আসামির উপস্থিতিতে ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: কুমিল্লা

আরও খবর