দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি মাত্র কয়েক মাস। এরই মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুরের দুটি শূন্য আসনে রোববার (৫ নভেম্বর) উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শূন্য আসন দুটি হলো- লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ)।
এই দুই আসনের সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। সংসদের আসন শূন্য হলে, শূন্য ঘোষণার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে। এই দুই উপনির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংসদের কোনো অধিবেশনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। তিনি গত ২৯ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে শূন্য এই আসনে ৫ নভেম্বরের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৫ জন প্রার্থী।
আসনটি সরাইল উপজেলার নয়টি এবং আশুগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১০ হাজার ৭২। এর মধ্যে সরাইলে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬০৫ ও আশুগঞ্জে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৬৭ ভোটার আছে। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩২টি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী হলেও প্রকৃত লড়াই হবে ২ জনের মধ্যে- এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। এই আসনে ৫ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের শাহজাহান আলম সাজু, কলার ছড়া প্রতীকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা, লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম এবং আম প্রতীক নিয়ে এনপিপির রাজ্জাক হোসেন।
এ দিকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামালের মৃত্যুতে ৪ অক্টোবর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৪৪ জন।
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোটের মাঠে লড়বেন ৪ প্রার্থী। তারা হলেন- নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির রাকিব হোসেন, গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে জাকের পার্টি মনোনীত শামছুল করিম খোকন ও আম প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন এনপিপির সেলিম মাহমুদ।