হবিগঞ্জ শহরে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ভারি বর্ষণে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে নগরবাসী পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
বৃহস্পতিবার রাত হবিগঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক ঘণ্টা থেমে থেমে টানা বর্ষণ হয়। এতে শহরের প্রায় এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় কাদা জমে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পৌরবাসী।
তবে আজ শুক্রবার স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ভোগান্তির পরিমাণ কিছুটা কম হয়েছে।
শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখো যায়- শায়েস্তানগর, ইনাতাবাদ, চৌধুরী বাজার, সার্কিট হাউস রোড, নোয়াহাটি, পুলিশ সুপারের বাস ভবন, বগলবাজার, উত্তর শ্যামলী, নোয়াবাদ, মোহনপুর, শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। ফলে মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। অনেক বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান অনেকে।
পৌরবাসীর অভিযোগ, পানিনিষ্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বছরের পর বছর পৌরবাসী জলাবদ্ধতার সাথে যুদ্ধ করে আসলেও সমস্যা সমাধানে উদাসিন পৌর কর্তৃপক্ষ।
শায়েস্তানগর এলাকার ব্যবসায়ি মো. তোফায়েল মিয়া বলেন- ‘শায়েস্তানগর এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে আমরা ব্যবসায়ীসহ এলাকাবসীকে সীমাহীন দূর্ভোগে পড়তে হয় অথচ পৌর কর্তৃপক্ষ এই দুর্ভোগ নিরসনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।’
জলাবদ্ধতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দা ইমন আহমেদ বলেন, ‘শহরের ড্রেনগুলো পরিস্কার করা হয়না। এছাড়া পুকুরগুলো ভরাট করে ফেলা হয়েছে। যে কারণে অল্প বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় শহরে।’