চলমান করোনা মহামারিতে
বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত
রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দেড় হাজারের
বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে সাড়ে ৫ লাখের
নিচে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিল,
দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া ও ইতালি। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে
৬০ কোটি ৮৫ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৪ লাখ ৯৭ হাজার।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর)
সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ১ হাজার ৫৬৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় দুইশো।
এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯৪৭ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৫০ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত
ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৮৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮৪ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে
দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪০ জন এবং মারা গেছেন
৩১৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮৯ লাখ
৮৯ হাজার ৩৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৯ হাজার ৮৮০ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক
প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫ হাজার ২১ জন এবং মারা গেছেন ২৬৭ জন। করোনাভাইরাসে
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৬৪ লাখ ৬৪ হাজার ৩৩২ জন করোনায় আক্রান্ত
হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৭২ হাজার ১২০ জন মারা গেছেন। একই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৪৯৯ জন এবং মারা গেছেন ১১২ জন।
লাতিন আমেরিকার
দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয়
অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭৪ জন এবং নতুন
করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ হাজার ৪৯২ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে
মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৯২ হাজার ১৭১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৪
হাজার ২০৩ জনের।
ফ্রান্সে নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৬৪৬ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন। করোনা মহামারির
শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার ৮৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন
এবং ১ লাখ ৫৪ হাজার ১৩৪ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
হয়েছেন ১ হাজার ৩৬৪ জন এবং মারা গেছেন ২৭ জন।
ইতালিতে গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৪৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৬৮ জন।
করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৫
জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৩ জন মারা গেছেন। একইসময়ে তাইওয়ানে
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৬ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৪ হাজার
১১৮ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪
ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৫ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন
৪৯ হাজার ৭৬১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা
১ কোটি ৯৫ লাখ ৭৮ হাজার ৭৩০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪৪১ জনের। একইসময়ে
ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৬৭ জন এবং মারা গেছেন ৫০
জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায়
অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৯৬ জন এবং মারা গেছেন
৫৪ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪ জন এবং
মারা গেছেন ২৫ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৪৮ জন এবং মারা
গেছেন ৫৭ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯
সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০
সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর
আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।