আজঃ শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪
শিরোনাম

করোনা: বিশ্বে সুস্থ হয়েছেন ৮ কোটি ৭ লাখ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এক বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস। চীন থেকে প্রাদুর্ভাব হওয়া এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মারা যাওয়ার সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ কোটি ৮৭ লাখ ১৩ হাজার ৬১২। এদের মধ্যে মারা গেছে ২৩ লাখ ৯২ হাজার ৬৫২ জন। ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৮ কোটি ৭ লাখ ২৩ হাজার ২৩৮ জন।

এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যু সবচেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৮১ লাখ ৬ হাজার ৭০৪। এর মধ্যে মারা গেছে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৫২১ জন। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ৮০ লাখ ৪০ হাজার ৩১২ জন। সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে ভারত। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৮৯ লাখ ২ হাজার ৫৫০। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৮৮ জন। দেশটিতে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৯ জন।

এদিকে ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৯৭ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৪ জন। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৬০১ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮৬ লাখ ৭৮ হাজার ৩২৭ জন। রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ৪২ হাজার ৮৩৭। এর মধ্যে মারা গেছে ৭৯ হাজার ১৯৪ জন। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩৫ লাখ ৫৯ হাজার ১৪২ জন।

যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ১৩ হাজার ৭৯৯। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৮৭ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ২০ লাখ ৯৪ হাজার ৭ জন। ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ লাখ ২৭ হাজার ৩৮৬। এর মধ্যে মারা গেছে ৮১ হাজার ৪৪৮ জন। দেশটিতে ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৭৫৩ জন। এদিকে, স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫। এর মধ্যে মারা গেছে ৬৪ হাজার ৭৪৭ জন। ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ লাখ ৯৭ হাজার ২৯৬। এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৯৩ হাজার ৪৫ জন। এছাড়া ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের অবস্থান তালিকায় ৮৩তম স্থানে। দেশটিতে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ৭৪৮ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: করোনাভাইরাস

আরও খবর



বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাঙালির আত্মিক মুক্তি ও সার্বিক স্বনির্ভরতার প্রতীক, বাংলাভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষের নায়ক, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী বুধবার (৮ মে)। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখের এই দিনে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

তার লেখা আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অনেক কবিতা ও গান ছিল সীমাহীন প্রেরণা উৎস।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে তার গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। কবির গান-কবিতা, বাণী এই অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে প্রভূত সাহস যোগায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শুধু নয়, চিরকালই কবির রচনাগুলো প্রাণের সঞ্চার করে। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ নোবেল বিজয়ী এই বাঙালি কবিকে স্মরণ করবেন তার অগণিত ভক্তরা। শুধু দুই বাংলার বাঙালিই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষাভাষী কবির জন্মবার্ষিকীর দিবসটি পালন করবে হৃদয় উৎসারিত আবেগ ও শ্রদ্ধায়।

বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী  উপলক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার পতিসরে, কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

কবি গুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বেলা ১১টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ছায়ানটের রবীন্দ্র-উৎসব ২৫ ও ২৬ বৈশাখ (৮ ও ৯ মে) ছায়ানট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। দুইদিনব্যাপী এই উৎসবে পরিবেশিত হবে একক ও সম্মেলক গান, নৃত্য, পাঠ-আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে ছায়ানটের শিল্পী ছাড়াও আমন্ত্রিত শিল্পী ও দল অংশ নেবেন। ছায়ানট মিলনায়তনে আয়োজিত এই উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত।


আরও খবর



কলকাতার সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের টুকরো উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেন্সের সেপটিক ট্যাংক থেকে একটি মরদেহের খণ্ডিতাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এটি ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীমের মরদেহের অংশ।

তবে এই দেহাংশ যে আনোয়ারুল আজিম আনারের তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি কলকাতায় যাওয়া ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কলকাতায় যাওয়া ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের ডিসি মো. আব্দুল আহাদ বলেন, আমরা কলকাতা স্থানীয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি, সঞ্জীবা গার্ডেন্সের সেপটিক ট্যাংক থেকে একটি মরদেহের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেটি সংসদ সদস্য আনারের কি না তা আমরা এখনও নিশ্চিত নই। তাছাড়া কলকাতা সিআইডি বা পুলিশ আমাদের এখনও অফিসিয়ালি নিশ্চিত করেনি।

আমরা এই মুহূর্তে ঘটনা তদন্তের স্বার্থে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের একটি খালে তল্লাশীর কাজ পরিদর্শনে রয়েছি। এর মধ্যে আমরা এই তথ্য পেয়েছি। আমরা এখন ঘটনাস্থলের (সঞ্জিভা গার্ডেন) দিকে যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারব।

তিনি আরো বলেন, মরদেহ বা দেহাংশ উদ্ধার হলেও সেটি যে সংসদ সদস্য আনারের তা আগাম বলার সুযোগ নেই। ডিএনএ টেস্ট করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এদিকে ডিবি সূত্র বলছে, ভারতের সিআইডি সেপটিক ট্যাংক-এ তল্লাশি করে আশানুরূপ ফল পেয়েছে। কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া কসাই জিহাদ হাওলাদার বলেছিল প্রায় ৪ কেজি ওজনের দেহাংশ কমোডে ফেলা হয়েছে।

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করছে ডিবিপ্রধানের নেতৃত্বে চার সদস্যের গোয়েন্দা প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার (২৮ মে) দিনের শুরুতে নিউটাউনের ওয়েস্টিন হোটেল থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে কথা বলেন হারুন অর রশীদ।


আরও খবর



মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাদ দেবে জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো নিয়ে ডয়চে ভেলের রিপোর্ট প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে জাতিসংঘ।

বুধবার (২২ মে) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ বলেছে তাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগপ্রাপ্তরা যেন সততা এবং দক্ষতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয় তা নিশ্চিতে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডোজাররিক বলেছেন, শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিতদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে মিশন থেকে বাদ দেয়া হবে।

ব্রিফিংয়ে ডয়েচে ভেলের রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে একজন সাংবাদিক জানতে চান- ডয়চে ভেলের সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তাদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত অসংখ্য কর্মকর্তাকে শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে পুরস্কার স্বরূপ এদের অনেককে পাঠায় সরকার। জাতিসংঘ মহাসচিব কী এ বিষয়ে অবগত?

জবাবে ডোজাররিক বলেন- হ্যাঁ। ডয়চে ভেলের ডকুমেন্টারি আমরা দেখেছি। আপনি হয়তো জানেন যে, শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সহকর্মীরা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা রিপোর্ট নিয়ে (খবর প্রকাশকারী মিডিয়াকে) জাতিসংঘের তরফে বিবৃতি দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন- আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে, শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগের ক্ষেত্রে যেনো দক্ষতা এবং সততার সর্বোচ্চ মানদণ্ড নিশ্চিত করা হয় সে বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ প্রতিশ্রুতির মধ্যে আরও রয়েছে, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং প্রতিশ্রুতি, জাতিসংঘের মানবাধিকার যাচাই পদ্ধতির অধীনে শান্তিরক্ষী নিয়োগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাযথ নিয়ম এবং কৌশল মেনে চলা।

এরপর একই বিষয়ে ওই সাংবাদিক জানতে চান- শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মকর্তা নিয়োগের সময় স্বাগতিক দেশগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছে। কিন্তু যে দেশ শান্তিরক্ষা মিশনে লোক পাঠাবে সে দেশের সরকার যদি নিজেই চরম পর্যায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হয় তাহলে এ বাছাই প্রক্রিয়া কীভাবে স্বচ্ছ হবে?

জবাবে মুখপাত্র ডোজাররিক বলেন- আমরা বাছাই প্রক্রিয়া তিন ধাপে সম্পন্ন করি। প্রথম পর্যায়ে বাছাই হয় ব্যক্তিগত মানদণ্ডে, পরের ধাপে বাছাই কাজটা করে স্বাগতিক দেশ এবং অন্য বাছাই প্রক্রিয়াটা হয় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস থেকে। তিনি বলেন- আপনাকে বলবো, বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি, খুব অল্প সংখ্যক দেশ থেকে শান্তিরক্ষীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। যখনি এ ধরনের ঘটনা ঘটে তখনি আমাদের শান্তিরক্ষা মিশনের সহকর্মীরা যাচাই-বাছাই নীতি, কর্ম কৌশল অনুসারে শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন। এধরনের ঘটনার (মানবাধিকার লঙ্ঘন) কারণে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া জড়িত কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল হতে পারে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের মিশন থেকে সরিয়ে দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২১ মে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা যখন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ডয়চে ভেলে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা নির্যাতন ও হত্যার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠিয়েছে।


আরও খবর



চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাচন

এমপি সুম‌নের বিরু‌দ্ধে আচরণ‌বি‌ধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হ‌বিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হকের (সুমন) বিরুদ্ধে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাচনে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে এ অভিযোগ করেছেন মো. আবু তাহের না‌মের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী।

অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংসদ সদস্য সা‌য়েদুল হক পছন্দের চেয়ারম্যান প্রার্থী রায়হান আহমেদের পক্ষে ভোট চাওয়া, অনুদান ঘোষণা এবং নগদ অর্থ প্রদানের অঙ্গীকার করে যাচ্ছেন। এমনকি ওই প্রার্থীর বিভিন্ন সমাবেশেও তিনি বক্তব্য দিচ্ছেন। উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সভাসমাবেশ করে টিআরকাবিখাকাবিটা, টিউবওয়েল, ব্রিজ কালভার্টসহ বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। একই সভায় তাঁর স্বজন রায়হান আহমেদকে নির্বাচিত করার জন্য ইশারাইঙ্গিত ও প্ররোচনা দিয়ে ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করছেন। তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী রায়হানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সম্প্রতি সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের শীলপাড়া এলাকায় একটি ট্রান্সফরমার লাগিয়েছেন এবং সেখানে সভায় তাঁকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি তাঁর বাসায় বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও গণমান্য ব্যক্তিকে ডেকে এনে রায়হানের মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে কাজ করার জন্য অনুরোধ ও আহ্বান জানাচ্ছেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ব্যারিস্টার সুমন চাবাগানের শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখান। তিনি রায়হান আহমেদের মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে মোবাইল ও হোয়াটসঅ্যাপে ভোট চাচ্ছেন। এগুলো নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। আগামী ৫ জুন চুনারুঘাট উপ‌জেলা প‌রিষ‌দের নির্বাচন হবে।

এ ব্যাপারে চুনারুঘাটের ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, তিনি অভিযোগ পে‌য়ে‌ছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে সংসদ সদস্য সৈয়দ সা‌য়েদুল হকের মু‌ঠো‌ফো‌নে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল ধরেননি।


আরও খবর



ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সিলেটে ব্যস্ত খামারিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশু প্রস্তুতে ব্যস্ত সিলেট বিভাগের খামারিরা। গো-খাদ্য, ওষুধসহ বিদ্যুতের বাড়তি দামে খরচ বেড়েছে খামারীদের। গেল বছরের তুলনায় প্রতিটি গরু লালন-পালনে খরচ বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। গো-খাদ্যের এ বাড়তি দামে খরচ সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা খামারিদের।

খামারিরা জানিয়েছেন গো খাদ্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেড়েছে ব্যয়। ফলে দাম বেড়েছে পশুর। পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে চোরাই গরু আসা নিয়ে লোকসানের মুখে পড়ায় শঙ্কায় রয়েছেন। তবে স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে।

অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, এক বছরের ব্যবধানে সিলেটে কোরবানীর পশু বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। সিলেটে এবার কোরবানী যোগ্য পশুর কোন ঘাটতি নেই বরং উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩৬ হাজার ১৪৬টি পশু।

অথচ গেল বছর ঈদুল আজহায় সিলেট বিভাগে কোরবানীযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮১৯ টি। আর চাহিদা ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৯৩টি। গত বছর যেখানে বিভাগে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৭৪টি পশুর ঘাটতি ছিল, সেখানে এ বছর বিভাগে কোরবানীর পশু ১ লাখ ৯৫ হাজার ৬৭৪টি বেড়ে উদ্বৃত্ত থাকছে ৩৬ হাজারের বেশী।

প্রাণিসম্পদ ও খামারি সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের সময়ের ভয়াবহ বন্যা, নিত্যপণ্য ও পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গেল বছর খামারিদের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় কমে ছিল পশুর উৎপাদন। প্রাণিসম্পদের নানা উদ্যোগ, প্রণোদনা ও স্বাবলম্বীকরণ প্রজেক্টের কারণে এবার বিভাগে খামারিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে বেড়েছে উৎপাদিত পশুর সংখ্যা। এক বছরে বিভাগে ষাড়-বলদ-গাভী ও মহিষের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ১৬০টি এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩৫টি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল আযহায় সিলেট বিভাগে কোরবানী যোগ্য পশুর চাহিদা ৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৫১টি। এর মধ্যে সিলেট বিভাগে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত আছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৭টি। উদ্বৃত থাকা ৩৬ হাজার ১৪৬ পশু দেশের অন্যান্য জেলায় রপ্তানী করা যাবে।

বিভাগের ৪ জেলার বিভিন্ন খামারে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত প্রায় সাড়ে ৪ লাখ গবাদি পশু। গত কয়েক বছরের মধ্য এবার স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়ে চাহিদা মিটানো সম্ভব। বিভাগে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২২ হাজার ৫৭৬ টি খামারে দিন রাত প্রাকৃতিক উপায়ে চলছে পশু হৃষ্টপুষ্ট করণ কাজ। প্রতিটি খামারে ছোট, মাঝারি ও বড় সব ধরণের কুরবানির পশু রয়েছে। এরমধ্যে সিলেট জেলার ৬ হাজার ৮৫৮ টি, সুনামগঞ্জ জেলায় ৩ হাজার ৪৫৮ টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৫ হাজার ৩৬৯টি ও হবিগঞ্জ জেলায় ৬ হাজার ৫১৯ টি খামার রয়েছে।

এদিকে প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খামারিকে গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্ট করণের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্টেরয়েডের ব্যবহার রোধে উপজেলা পর্যায়ে উঠান বৈঠক করে খামারিকে হাতে কলমে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

সিলেটের একাধিক খামারিদের সাথে আলাপকালে তারা জানান- এমনিতেই সবধরণের পশুখাদ্যের দাম বাড়তি এরমধ্যে তীব্র গরমের কারণে পশুর জন্য বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে আইপিএস দিয়ে ফ্যান চালাতে হচ্ছে। দিনে দুবার গোসল করাতে হচ্ছে। পশুকে ২৪ ঘণ্টা বাতাসের মধ্যে রাখতে হয়। খাবারের সঙ্গে সোডা দিতে হয়। প্রতিনিয়ত শ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা করতে হয়। আবার ফসলের মৌসুম হওয়ায় শ্রমিকের মজুরি বেশি দিতে হচ্ছে।

দেশে প্রচলিত পশুখাদ্যের উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে সয়াবিন খৈল, গমের ভূসি, রাইস পলিশ, মসুর ভূসি, সরিষার খৈল, ভুট্টা, মুগ ভূসি ও মটর ভূসি। এসব উপাদানের দাম এবার ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

অনেক ব্যাপারী শুধু কোরবানির জন্যই কয়েক মাস আগে পশু কিনে ব্যবসা করেন। তাদের মতো একজন শহীন। তিনি বলেন, ৬৫ হাজার টাকায় গরু কিনেছি। ২০ হাজার টাকার খাবার খাওয়ানো হয়েছে। এখন যদি ১ লাখ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দাম না পাই তাহলে পোষাবে না।

সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর সিলেট বিভাগে কুরবানী হবে প্রায় ৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৫১টি পশু। অথচ প্রস্তুত আছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৭ টি পশু। এরমধ্যে ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৮০ টি ষাড়, ৪৯ হাজার ১০৩ টি বলদ, ৩৩ হাজার ৩৭৫টি গাভী, ৪ হাজার ৫৩৩টি মহিষ, ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৩টি ছাগল, ৭০ হাজার ৯৫৩টি ভেড়া ও ১১০ টি অন্যান্য পশু রয়েছে।

সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিসের পরিচালক ডা. মারুফ হাসান আলাপকালে জানান, এবার সিলেট বিভাগে কোরবানী যোগ্য পশুর কোন ঘাটতি নেই বরং উদ্বৃত্ত আছে ৩৬ হাজার ১৪৬টি পশু। তাই এবার পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে পশু আসার কোন দরকার নেই। গো খাদ্য ও সব জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিদের ব্যয় বেড়েছে। সিলেটে আগে ঘরোয়াভাবে কোরবানীযোগ্য পশু পালন হতো। সেটা এখন কমে গেছে। তাই খামারিদের পশু দিয়েই কোরবানীর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।


আরও খবর