রাজধানীর কমলাপুর
রেলস্টেশনে ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় বগিতে বসে আছেন যাত্রীরা। কিন্তু পরে জানতে পারলেন,
তাদের রেখেই ছেড়ে গেছে ট্রেন। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস
নামের ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যায়। ওই সময় প্ল্যাটফর্মে রয়ে যায় ট্রেনটির ‘ট’ নম্বর বগি।
জানা গেছে, ট্রেনটি ছাড়ার সঠিক সময় ছিল সকাল ১০টা ১০ মিনিটে। আর ট্রেনটির ‘ট’ নম্বর বগিতে আগে থেকেই ত্রুটি ছিল। তাই সেটিকে বাতিল করা হয় এবং মূল ট্রেনের শেষে রাখা হয়। ফলে বগি বাতিলের তথ্য না জেনেই সেখানে উঠে পড়ে অনেক যাত্রী। একতা এক্সপ্রেসের ‘ট’ নম্বর বগির জন্য ১০৫ জন যাত্রী টিকিট কেটেছিলেন। তাদের অধিকাংশ যাত্রী এ ঘটনায় ট্রেনটি মিস করেছেন।
কর্তৃপক্ষ বলছে, বগি বাতিলের বিষয়টি সকাল ৯টার সময় সবাইকে অবগত করা হয়েছে। তবে আগে যারা বিষয়টি জেনেছেন, তারা অনেকে অন্য বগিতে উঠেছেন। একতা এক্সপ্রেস (৭০৫) ট্রেনটি রাজধানী কমলাপুর স্টেশন থেকে পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন (পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন) পর্যন্ত চলাচল করে।
একতা এক্সপ্রেসের
‘ট’ বগির যাত্রী অমেলা বেগম বলেন,
‘আমাদের
স্টেশনে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়। যার ফলে আমরা এসে দেখি ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেনটি
দাঁড়িয়ে আছে। পরে আমাদের আসন নিশ্চিত করে ট্রেনে বসি। হঠাৎ জানতে পারি, আমাদের বগি
রেখেই একতা এক্সপ্রেস ট্রেন চলে গেছে। এ সময় বগিতে ১০০ থেকে ১৫০ জন যাত্রী ছিল। কিন্তু
এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না।’
এ বিষয়ে কমলাপুর
রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছি সকাল ৯টায়। আমরা সর্বোচ্চ এফর্ট দিয়েছি।
আমাদের কাছে অতিরিক্ত বগি ছিল না। ট্রেনটি আসার পথে বগিতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এটা
কি কারণে হয়েছে আমরা জানি না, এটা বগির মেটেরিয়ালস দুর্বলতা থেকে হতে পারে। ’
কালকে থেকে
কোনো কোচ এমন হলে রিপ্লেস না ছাড়া যাবে না। এ ঘটনায় বগির যাত্রীদের টিকিট ফেরত নেওয়া
হয়েছে বলেও জানান কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার।