আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

খোলা বাজারে ডলারের দাম ১০৭ টাকা ছাড়ালো

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দিন যতই যাচ্ছে ডলারের সংকট ততই বাড়ছে। ফলে, ডলারের দামও দিন দিন ঊর্ধ্বমুখী। সোমবার (২৫ জুলাই) ব্যাংকগুলোর কাছে সর্বশেষ ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রোববার ডলারের দাম ছিল ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা। এক দিনের ব্যবধানে টাকার মান কমলো ২৫ পয়সা।

এদিকে, আজ খোলা বাজারে প্রতি ডলার ১০৭ টাকা থেকে ১০৭.৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল রোববার (২৪ জুলাই) খোলা বাজারে ডলার ১০৪.৫০ টাকা থেকে ১০৪.৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আজ ব্যাংকগুলোতেই ১০১ টাকা থেকে ১০২ টাকায় ডলার বিক্রি হয়েছে।

রাজধানীর মতিঝিলের অর্নেট মানি এক্সচেঞ্জের মাসুম আহমেদ বলেন, আজ আমরা সর্বশেষ প্রতি ডলার ১০৭ টাকায় বিক্রি করেছি।

গুডউইল মানি এক্সচেঞ্জের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, আজ তারা প্রতি ডলার ১০৭ টাকা থেকে ১০৭.৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন।

তিন মাসের মধ্যে ১৮ দফা বাড়ানো হয়েছে ডলারের দাম। আলোচ্য সময়ে টাকার মান কমেছে ৮.২৫ টাকা। এর আগে গত ২৯ মে দেশে ডলারের এক রেট ৮৯ টাকা বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই রেট উঠিয়ে দিয়ে ডলারের দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়ার পর দু-এক দিন পরপরই বাড়ছে ডলারের দাম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সোমবার ৯৪.৭০ টাকা দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ১৩ কোটি ২০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এখন থেকে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হবে ৯৪.৭০ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী, এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর।

ডলারের দাম পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এর পর বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলার সংকট শুরু হয়, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতেও আন্তঃব্যাংক লেনদেনে প্রতি ডলারের মূল্য একই ছিল। ৩ আগস্ট থেকে দু-এক পয়সা করে বাড়তে বাড়তে গত বছরের ২২ আগস্ট প্রথমবারের মতো ডলারের দাম ৮৫ টাকা ছাড়ায়।

এদিকে, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কেনাবেচা হয়েছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সায়, যা ৯ জানুয়ারি বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬ টাকায়। গত ২৩ মার্চ ৮৬ টাকা ২০ পয়সায় বেচাকেনা হয় প্রতি ডলার। গত ২৭ এপ্রিল ডলার প্রতি দাম ২৫ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা হয়। ১০ মে ডলার প্রতি দাম আরও ২৫ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা হয়। ১৬ মে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পর ২৩ মে ফের ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করে। এরপরও বাজার স্থিতিশীল হয়নি। পরে সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস, বাংলাদেশের (এবিবি) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৯ টাকা বেঁধে দেয়। আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির জন্য বিসি সেলিং রেট নির্ধারণ করা হয় ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা। যদিও ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক লেনদেনে প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৮৯ টাকা ৮০ পয়সা করার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু তাতেও বাজার স্থিতিশীল না হওয়ায় ডলারের এক রেট উঠিয়ে দিয়ে গত ২ জুন আরও ৯০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। ৬ জুন প্রতি ডলার ৯১.৫০ টাকা, ৭ জুন ৯১.৯৫ টাকা, ৮ জুন ৯২ টাকা এবং ১৩ জুন ৯২.৫০ টাকায় বিক্রি হয়। ১৫ জুন ডলারের দাম ছিল ৯২.৮০ টাকা। ২১ জুন ডলারের দাম বেড়ে ৯২.৯০ টাকা হয়। পরের  দিন তা বেড়ে ৯২.৯৫ টাকা বিক্রি হয়েছে। গত ২৮ জুন ডলারের দাম বেড়ে ৯৩.৪৫ টাকা, ২৯ জুন ৯৩.৪৪ টাকা, ৩০ জুন ৯৩.৪৫ টাকা, ১৪ জুলাই ৯৩.৬১ টাকা, ১৭ জুলাই ৯৩.৯৫ টাকা হয়েছে। গত ২১ জুলাই ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৯৪.৪৫ টাকা। আজ আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলার বিক্রি হয়েছে ৯৪.৭০ টাকায়।

নিয়ম অনুযায়ী, একটি ব্যাংক তার মূলধনের ১৫ শতাংশের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা কাছে রাখতে পারে। এর অতিরিক্ত হলেই ব্যাংকটিকে বাজারে ডলার বিক্রি করতে হয়।


আরও খবর



সন্ধ্যায় আ.লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠক, আলোচনা হবে যেসব বিষয়ে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আজ মঙ্গলবার। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

উপজেলা নির্বাচনের আগে দলের কার্যনির্বাহীর এ বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৈঠকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে যেসব এমপি, মন্ত্রীর স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন তাদের বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কার্যনির্বাহী বৈঠকে।

এছাড়া তৃণমূলের যেসব নেতাকর্মী দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার, বিশৃঙ্খলা ও নীতিবহির্ভূত কর্মকাণ্ড করেছেন তাদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসবে বৈঠক থেকে। ৮ মে দেশে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে দলের যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হবে বৈঠকে।

নিউজ ট্যাগ: আওয়ামী লীগ

আরও খবর



সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

পবিত্র রমজানের ইবাদতের মধ্যে সদকাতুল ফিতর আদায় করা অন্যতম একটি ইবাদত। রমজানের সিয়াম সাধনা শেষে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ ধনী-গরিব সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং এ আনন্দে যেন মুসলিম জাতির প্রতিটি সদস্য শরিক হতে পারে এ জন্য ওয়াজিব করা হয়েছে সদকাতুল ফিতর। রমজানের রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিপূর্ণতার জন্যই আবশ্যক করা হয়েছে এটি।

ইমাম ওয়াকি ইবনুল জাররাহ বলেন, রমজান মাসের জাকাতুল ফিতর নামাজের সিজদায়ে সাহুর সমতুল্য। অর্থাৎ নামাজে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে যেমন সিজদায়ে সাহু দিলে এটা পূর্ণ হয়ে যায় তেমনি রোজার মধ্যে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে সাদকাতুল ফিতর দিয়ে এর প্রতিকার হয়। তাছাড়া ধনী-গরিব উভয়ে যেন অন্তত ঈদের দিন উত্তম পোশাক ও উন্নতমানের খাবার খেতে পারে এ জন্যই ফিতরার ব্যবস্থা।

ফিতরার নিসাব

যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ঋণ  ছাড়া সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা কিংবা এর সমমূল্য কোন সম্পদ বা টাকা থাকে, তাহলে তার ওপর সদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব।

সদকাতুল ফিতর উত্তম হলো ঈদের নামাজের আগে আদায় করে দেয়া। কেননা রাসুল (সা.) ঈদগাহে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।

জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর দিতে হবে। একজন দরিদ্র মানুষকে একাধিক ফিতর দেওয়া যেমন জায়েজ, তেমনি একটি ফিতরা বণ্টন করে একাধিক মানুষকে দেয়াও জায়েজ।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-রাসুলুল্লাহ (সা.) সদকাতুল ফিতর আদায় করাকে আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি :  ১৫১২)।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজা পালনকারীর জন্য সদকাতুল ফিতর আদায় অপরিহার্য করে দিয়েছেন, যা রোজা পালনকারীর অনর্থক, অশ্লীল কথা ও কাজ পরিশুদ্ধকারী এবং অভাবী মানুষের জন্য আহারের ব্যবস্থা। যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের আগে এটা আদায় করবে, তা সদকাতুল ফিতর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে। আর যে ঈদের সালাতের পর আদায় করবে তা অপরাপর (নফল) সদকা হিসেবে গৃহীত হবে। (আবু দাউদ : ১৬০৯)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য, যব, বা খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির বা কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করতাম ৷ (বোখারি : ১৫০৬)।

হাদিস শরিফে এ পাঁচটি দ্রব্যের যে কোনো একটি দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে ৷ যেন প্রত্যেকে নিজ নিজ সামর্থ্যানুযায়ী আদায় করতে পারে তবে সবার জন্য সবচেয়ে কম দামের দ্রব্য দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করা অনুচিত; বরং যে ব্যক্তি খেজুর, কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করার সামর্থ রাখে, সে তা দিয়েই আদায় করবে ৷

সদকায়ে ফিতর যাদের উপর ওয়াজিব

ঈদের দিন সুবহে সাদেকের সময় যার কাছে যাকাত ওয়াজিব হওয়া পরিমাণ অর্থাৎ অত্যাবশ্যকীয় আসবাব সামগ্রী ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, বাসগৃহ ইত্যাদি বাদ দিয়ে সাড়ে ৫২ তোলা রূপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সমমূল্য পরিমান সম্পদ থাকে, তাহলে তার উপর সদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।

ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় এ পরিমাণ মালের মালিক থাকলে, তার উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে। যে শিশু-সন্তানটি ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের পূর্বে ভূমিষ্ট হবে, তার ফিতরাও আদায় করতে হবে।

অর্থাৎ পরিবারের যতজন সদস্য ততটি ফিতরা হিসেবে) সকলের ফিতরা আদায় করতে হবে। প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী তার নিজের পক্ষ থেকে এবং নাবালেগ সন্তানের পক্ষ থেকে সদাকাতুল ফিতর আদায় করবেন।

সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ

ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি  : ১৫১২)।

ইবনে আব্বাস (রা.) একবার রমজানের শেষ দিকে বসরায় খুতবা প্রদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, তোমাদের রোজার সদকা আদায় করো। লোকেরা যেন ব্যাপারটা বুঝতে পারে নি।

তখন ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন, এখানে মদিনার কে আছে দাঁড়াও। তোমাদের ভাইদেরকে বলো, তারা তো জানে না। বলো যে, রাসূল (সা.) এই সদকা আবশ্যক করেছেন। এক সা খেজুর বা যব অথবা আধা সা গম প্রত্যেক স্বাধীন-দাস, পুরুষ-নারী, ছোট-বড় সবার ওপর ওয়াজিব।  (আবু দাউদ: ১৬২২)।

যারা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর প্রদান করতে হবে। জাকাতের জন্য সম্পদের বর্ষপূর্তি শর্ত হলেও ফিতরায় এ শর্ত নেই। নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নিজের পক্ষ থেকে, নিজের প্রাপ্ত এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে এবং নিজের সেবক-সেবিকাদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করতে হবে। সন্তান বা অধীনস্থরা অমুসলিম হলেও তাদের ফিতরা আদায় করা আবশ্যক।

গম বা আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির- এ পাঁচটি জিনিস বা তার মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। সামর্থ্যানুসারে সবার উচিত উৎকৃষ্ট জিনিস সদকা করা। রাসূল (সা.)-এর সময়ে সামর্থ্যানুযায়ী সবাই উত্তম পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতেন।

সর্বোত্তম দান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, দাতার কাছে যা সর্বোৎকৃষ্ট এবং যার মূল্যমান সবচেয়ে বেশি। (বোখারি : ১৯৭৪)।

এ বছরের সদকাতুল ফিতরের নির্ধারিত পরিমাণ‌

ইসলামী ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ' এর অনুকরণে নিম্নে এবছরের (১৪৪৫ হিজরী/২০২৪ইং) এর সদকাতুল ফিতরের বাজার মূল্য তুলে ধরা হলো:

১. উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা) বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা।

২. যবের ক্ষেত্রে (এক সা) ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৪০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

৩. খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৪৭৫ টাকা

৪. কিসমিসের ক্ষেত্রে  ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ১৪৫ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে।

৫. পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে।

ফিতরা আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা অদ্ভুত মানসিকতার পরিচয় দেই। আমাদের দেশে সাধারণত সর্বনিম্ন পরিমাণ অর্ধ সা গম এর মূল্য হিসেবে জনপ্রতি ১০০ টাকা হিসেবে সবাই আদায় করতে চান।

কোটিপতি হতে মধ্যবর্তী সবাই সর্বনিম্ন টাকা দিয়েই দায়মুক্ত হতে চান। সবচেয়ে কম মূল্যের গমের হিসাবে সবাই সাদকা করার প্রবণতা খুব বেশি। বিষয়টি রাসূল (সা.)-এর শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।  বরং এটা তো সর্বনিম্ন সম্পদের মালিকের জন্য চলে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে তাওফিক দিয়েছেন, তাদের অন্যান্য দ্রব্য দিয়ে সর্বোচ্চ সদকায়ে ফিতর আদায় করা উচিত। তাই সামর্থ্যানুযায়ী বেশি মূল্যের পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে কলম্বিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। গতকাল বুধবার বোগোটায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে এক জনসভায় দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।

ইসরায়েলের রাষ্ট্রপ্রধানকে গণহত্যাকারী বলে উল্লেখ করে পেত্রো জানান, কলম্বিয়া বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গাজার এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।

এর আগে ফেব্রুয়ারিতে গাজায় খাদ্য সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়ানো ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালানোর পরে কলম্বিয়া ইসরায়েল থেকে অস্ত্র ক্রয় স্থগিত করে।

গুস্তাভো পেত্রো গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর থেকে প্রতিবাদে সরব ছিলেন। চলমান ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের চরম বিরোধী তিনি। এ সম্পর্কে পেত্রো বিভিন্ন সময় তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের নেতাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ কাজ সহজ করতে অন্যান্য দেশকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে কলম্বিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিকল্পনা সম্পর্কে ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের মিত্ররা ভালোভাবে নেবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।


আরও খবর



হাসপাতালে ভর্তি সৌদি বাদশাহ সালমান

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে জেদ্দার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে কয়েক ঘণ্টার জন্য তিনি হাসপাতালে অবস্থান করেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ এপ্রিল) এমনটি জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর রক্ষক বাদশাহ সালমান ক্রাউন প্রিন্স এবং উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে আড়াই বছরেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর ২০১৫ সালে বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশটির শাসক হিসেবে দায়িত্ব পান।

৮৮ বছর বয়সী বাদশাহকে শেষ বার ২০২২ সালের মে মাসে কোলনোস্কোপি এবং মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২০২০ সালে তার পিত্তথলিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।


আরও খবর



কী করবেন গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। এই সময়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা আছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। ভরদুপুরে গরমে বাইরে কোথাও যাওয়ার পথেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা হরহামেশাই হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই এই ভ্যাপসা গরমে একেবারে অচেতন হয়ে যান।  প্রচণ্ড রোদ আর গরমে হিটস্ট্রোক হতে পারে যে কোনো বয়সের মানুষের।

যদি মনে হয় কেউ  হিটস্ট্রোক হয়েছে তাহলে সবার আগে অসুস্থ ব্যক্তিকে একটু শীতল জায়গায় নিন, গাছের নিচে বা কোনো দোকানের ভেতরে ফ্যানের বাতাসের নিচে। সম্ভব হলে ঠান্ডা পানিতে বা বরফে ভেজা কাপড় দিয়ে বারবার গা মুছে দিন বা শরীরে পানি স্প্রে করুন এবং শিগগির হাসপাতালে স্থানান্তর করুন।

সারাদিন নানা কাজে রোদের মধ্যেই ঘুরেছেন। গরমে অসুস্থতা আচমকা আপনার পেটে ও পা দুটোয় যেন টান লাগল বা কেউ খামচে ধরল। এ সমস্যার নাম হিট ক্র্যাম্প। শরীরে পানি ও লবণের অভাবে এমনটা ঘটে। এমন অবস্থায় দ্রুত গরম ও রোদ থেকে সরে যান। তুলনামূলক ঠান্ডা জায়গায় বসে পড়ুন। প্রচুর পানি ও লবণসমৃদ্ধ তরল (যেমন: ডাবের পানি, লেবু-লবণের শরবত) পান করুন। পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন। খুব ধীরে মাংসপেশি নাড়াচাড়া এবং পায়ের হালকা ব্যায়াম করুন।

সারা দিন রোদে গরমে ঘুরে দেখলেন ত্বক লালচে হয়ে গেছে বা পুড়ে গেছে। র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। এটাকে বলা হয় হিট র‍্যাশ। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ত্বকে ঠান্ডা বরফ বা ভেজা কাপড় লাগান।

তীব্র গরমে যে কেউ এমন আকস্মিকভাবে যে কেউ অসুস্থ হতে পারে তাই সাবধান থাকতে হবে। গরমে বাড়ির বাইরে গেলে সঙ্গে রাখুন পানি, ছাতা এবং সানগ্লাস। সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল পান করবেন। বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। গরমে ঘরে ফিরেই ঠান্ডা পানি খাবেন না কিংবা গোসল করা থেকে বিরত থাকুন। আগে শরীরটা বাতাসে জুড়িয়ে নিন। প্রচণ্ড গরমে ঘরের ভেতরের বদ্ধ পরিবেশে হাঁসফাঁস লাগলে ছাদে যান কিংবা বারান্দায় গিয়ে বসুন।


আরও খবর