আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

জমে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় নৌকার হাট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাঈম, রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে বর্ষা মৌসুমে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় নৌকার কদর বেড়েছে। আটঘর-কুড়িয়ানা ভিমরুলী পেয়ারা বাগান থেকে পেয়ারা সংগ্রহ করে বাজারজাত করার কাজে নৌকার বিকল্প নেই। এছাড়া ধান কাটাসহ বিভিন্ন ফসল সংগ্রহ কাজে নৌকা ব্যবহার করা হয়।

তাই দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় নৌকারহাট পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার পূর্ব দিকে আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নে। বছরের জ্যৈষ্ঠ থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত নৌকা কেনাবেচায় ব্যস্ত হয়ে ওঠে এই হাট। এই নৌকার চাহিদা মেটাতে দিন রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌকা তৈরির কারিগররা। বর্ষা মৌসুম এলেই ঝালকাঠিসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদী-নালা, খাল-বিল বৃষ্টিতে এলাকায় নৌকার কদর বেড়ে যায়। তখন কৃষকদের প্রয়োজনীয় একমাত্র বাহন নৌকা।

বর্ষা মৌসুম এলেই সন্ধ্যা নদীর শাখা আটঘর-কুড়িয়ানা খালের পাড়ে আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বসে ডিঙিনৌকার ভাসমান এই হাট। সকাল ৮টা থেকে বিকেল পর্যন্ত খালের পাড়ে এবং সড়কের দুই পাশে ডিঙিনৌকা সাঁড়ি বেধে সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। স্থানীয় কৃষক, জেলে, গৃহস্থরা ছাড়াও বরিশাল, বানারীপাড়া, উজিরপুর, ঝালকাঠি, পিরোজপুরের কাউখালী, নাজিরপুর থেকে মানুষ আটঘরের হাটে আসেন নৌকা কিনতে। ২ থেকে ৬ হাজার টাকায় এখানে মেলে কাঠের তৈরি ছোট ডিঙিনৌকা।

নৌকায় মূলত পেয়ারা, কচু, চিচিঙ্গা, লেবু, ঝিঙা, আমড়া, কলাসহ নানা কৃষিপণ্য বহন করা হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকাররা নৌকা থেকেই সেগুলো কিনে নিচ্ছেন।

স্থানীয় নৌকার কারিগররা জানান, কোষা মূলত নৌকার ক্ষুদ্র সংস্করণ। অন্যান্য নৌকার মতো এ গুলোর কাঠ বড় থাকে না। অঞ্চলবিশেষে এর আকারে কম-বেশি দেখা যায়। এর আদর্শ দৈর্ঘ্য নয় মিটার। কখনো কখনো ছয় মিটার দৈর্ঘ্যের কোষাও দেখা যায়। এই হাটে দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা দামের নৌকা পাওয়া যায়। কাঠের মান, আকার অনুযায়ী দাম। নৌকার খোলে পণ্য পরিবহনের জন্য দুটি বাক্স আকারের আলাদা ডেক রয়েছে। মাঝখানটায় পানি জমার জন্য ফাঁকা। পানি সেচের সুবিধার্থে নৌকাগুলোর এমন ডিজাইন করা হয়েছে।

হাটে নৌকা কিনতে আসা বানারীপাড়ার আসলাম সরদার বলেন, নৌকা কিনতে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এই হাটে আসি। এক বছর পর ডিঙিনৌকা নষ্ট হয়ে যায়। কৃষিকাজ ও মাছ ধরার জন্য নৌকা ব্যবহার করি।

নৌকা ব্যবসায়ী স্বরূপকাঠির দ্বীন ইসলাম বলেন, আগে বাবা বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছর এই হাটে নৌকা কেনাবেচা করতেন। এখন আমি এই ব্যবসা শুরু করেছি। প্রতি বছরের তুলনায় এবার নৌকা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের বারে না লভ্যাংশ।

ব্যবসায়ী তাহের উদ্দিন বলেন, হাটের দিন খুব সকালে কারিগরদের কাছ থেকে নৌকা কিনে ট্রলারে করে হাটে নিয়ে আসেন। বেচাকেনা ভালো হলে প্রতি হাটে ৩৫থেকে ৪৫টি নৌকা বিক্রি হয়। নৌকাপ্রতি লাভ হয় ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। কোন কোন সময় আবার লোকসানও গুনতে হয়।

আটঘর-কুড়িয়ানা নৌকার হাটের ইজারাদার আবদুর রহিম বলেন, আগে প্রতি বছর নৌকা বিক্রির মৌসুমে প্রতি হাটে ১০০০ থেকে ১২০০টাকায় নৌকা বিক্রি হতো। এবছর নৌকা কিছু কম বিক্রি হচ্ছে। আগের তুলনায় এবছর নৌকার দাম অনেক বেশি।

নৌকা তৈরির কারিগর আলতাফ মিয়া, সোহরাফ, সুখরঞ্জন মিস্ত্রি বলেন, কড়াই, চাম্বল ও মেহগনি কাঠ দিয়ে নৌকা তৈরি করা হয়। বিক্রি বাড়লেও এবার কমেছে লাভের অংক। আগে সুন্দরী কাঠ দিয়ে নৌকা তৈরি করতাম। ওই সময় বেশি লাভ হতো। এখন সুন্দরী কাঠ পাওয়া যায় না তেমন। বিগত বছরের তুলনায় এবছর দাম বেশি। তবে কাঠ, লোহাসহ সবকিছুর খরচ বেড়ে যাওয়ায় লাভ কমেছে।

নৌকা তৈরির কারিগর ইউসুফ আলী, বিপুল বিশ্বাস বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে আটঘর-কুড়িয়ানা হাট বসে। ধীরে ধীরে হাটের ব্যাপ্তি বেড়েই চলেছে। কিন্তু উন্নতি হয়নি কারিগরদের অর্থনৈতিক অবস্থার। কাঠ, লোহাসহ নৌকা তৈরির উপকরনের দাম বাড়লেও সেই তুলনায় নৌকার দাম বাড়ে নায়। তাছাড়া নিজস্ব পূঁজি না থাকায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে উপকরণ কিনতে হয়। যে কারণে তেমন দাম পাওয়া যায় না। তবুও প্রতি হাটে তৈরি করা নৌকা নিয়ে আসি। বর্তমানে এ পেশায় থেকে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

ঝালকাঠি বিসিক শিল্প সহায়ক কেন্দ্রের উপ-ব্যাবস্থাপক এইচএম ফাইজুর রহমান বলেন, নৌকা তৈরির কারিগরদের পূঁজি সংকট আছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য তাদেরকে বিসিক থেকে স্বল্প সুদে মৌসুমী ঋণ দেওয়ার একটি প্রকল্প আছে। তারা যদি ঋণের জন্য আসে তাদের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: নৌকার হাট

আরও খবর



পাঁচ দিনের ব্যবধানে ডজনে ২০ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে চাহিদা আর সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ডিমের দাম বেড়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) গত বছরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সাধারণত প্রতিদিন ৪ কোটি ডিম উৎপাদিত হয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, উৎপাদনের পরিমাণ আরেকটু বেশি।

পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও মুদি দোকানে প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা। যা গত সপ্তাহের বিক্রি হয়েছিল ১১৫-১২০ টাকা। অর্থাৎ কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। তবে সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার বলেন, আমরা দিন এনে দিন খাই। মাছ-মাংস তেমন কিনে খেতে পারি না। আমাদের জন্য ডিমই একমাত্র আমিষ জাতীয় খাদ্য। তাও আবার দাম বেড়ে গেল। বিকেলে আমি ২৫ টাকা দিয়ে দুইটা ডিম কিনেছি।

ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ডিমের সরবরাহ অনেক কম। তাছাড়া গরমে অনেক মুরগী মারা গেছে। সেই সঙ্গে বাজারে দিনদিন ডিমের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

খামারিরা বলছেন, ডিমের উৎপাদন খরচ বাড়লেও পাইকারি বাজারে তারা ডিমের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। তারা জানান, এখন খামারি পর্যায়ে একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে ৯ টাকার মতো, যা খুচরা বাজারে একজন ক্রেতাকে ১২ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

মূলত উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। বাজারে ডিমের সরবরাহ কম থাকলে বাজার এমনিতেই বাড়তি থাকে। খামারিরা উৎপাদনে ফিরতে পারলে ডিমের দাম আবার কমে আসবে-এমনটাই গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ এগ প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী।

এর আগে ১৫ মার্চ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিল। এতে একটি ডিমের খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয় ১০ টাকা ৪৯ পয়সা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজারদর অনুযায়ী, প্রতিটি ডিমের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১১ টাকা ৭৫ পয়সা।

নিউজ ট্যাগ: ডিম

আরও খবর



সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপির মাথা খারাপ: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আমলে তারা যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলবদর এবং নিজেরা পাকিস্তানের দালাল হয়ে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ, শাসন এবং অত্যাচার করতো। আর বর্তমান চিত্র, বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়ন হচ্ছে- এ উন্নয়ন দেখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। সেজন্য এখন তাদের মাথা খারাপ অবস্থা।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংসদীয় এলাকা আখাউড়া উপজেলায় বনগজ-কৃষ্ণনগর সড়কের তিতাস নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতু পরিদর্শনে আসলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এর আগে স্থানীয়দের উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক ওই এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় আখাউড়া উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মহানগর প্রভাতী ট্রেনযোগে ঢাকা-আখাউড়া রেল স্টেশনে পৌঁছলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনটি ছিল (১৭ মে) বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বপ্ন দেখার দিন, নতুন ভবিষ্যৎ গড়ার যে স্বপ্ন সেই স্বপ্ন দেখার দিন। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের আজকের ১৭ মে বাংলাদেশের ফিরে এসে মানুষ যে স্বপ্ন দেখত মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছে শেখ হাসিনা মানুষের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। এইজন্য ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে গাঁথা থাকবে।

এ সময় আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ঋণ খেলাপির তালিকা বিএনপির আমলে সবচেয়ে বেশি ছিল।

নিউজ ট্যাগ: মির্জা ফখরুল

আরও খবর



জাতির পিতার সমাধিতে বিএসএমএমইউ এর নতুন উপ-উপাচার্যের শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ- উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

পরে তিনি বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

এরপর তিনি পবিত্র ফাতেহাপাঠ করে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের নিহত সদস‌্য ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। 

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের প্রশাসনিক ভবনে যান। সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে তিনি মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।

এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর আদি পৈতৃকবাড়ি ও স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো পরিদর্শন করেন।

এ সময় অধ্যাপক ডা. একেএম খুরশিদুল আলম, ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়াদ্দার টিটো, ডা. জাকির সুমন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফোরকান বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



এপ্রিলে ৬৫৮ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৩২ : বিআরটিএ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এপ্রিল মাসে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৫৮টি। এসব দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৬৩২ জন মানুষ। একইসঙ্গে আহত হয়েছে আরও অন্তত ৮৬৬ জন মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এসবের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০৮টি দুর্ঘটনায় ১১৫ জন নিহত এবং ১৫৭ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৫টি দুর্ঘটনায় ১২৩ জন নিহত এবং ২২৭ জন আহত হয়েছেন; রাজশাহী বিভাগে ১০০টি দুর্ঘটনায় ৯৩ জন নিহত এবং ১১২ জন আহত হয়েছেন; খুলনা বিভাগে ৯৮টি দুর্ঘটনায় ৮৭ জন নিহত এবং ৯৫ জন আহত হয়েছেন; বরিশাল বিভাগে ৪৫টি দুর্ঘটনায় ৪৯ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন; সিলেট বিভাগে ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন; রংপুর বিভাগে ৬৮টি দুর্ঘটনায় ৬৫ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭০টি দুর্ঘটনায় ৬২ জন নিহত এবং ৮৩ জন আহত হয়েছেন।

এপ্রিল মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত মোটরযানের মধ্যে মোটরকার/জিপ ৪১টি, বাস/মিনিবাস ১৫৭টি, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান ১৭০টি, পিকআপ ৫০টি, মাইক্রোবাস ২৮টি, অ্যাম্বুলেন্স ১২টি, মোটরসাইকেল ২৫২টি, ট্রাক্টর ১৭টি, ভ্যান ২১টি, ইজিবাইক ৩৪টি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ৩১টি, অটোরিকশা ৬৮টি এবং অন্যান্য যান ১৭৫টিসহ সর্বমোট ১০৫৬টি যানবাহন রয়েছে।

এসবের মধ্যে মোটরকার দুর্ঘটনায়/জিপ ২৬ জন, বাস/মিনিবাস দুর্ঘটনায় ৬৭ জন, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় ৬২ জন, পিকাপ দুর্ঘটনায় ৩০ জন, মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ২০ জন, অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় ১৩ জন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯১ জন, ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় ৯ জন, ভ্যান দুর্ঘটনায় ১৮ জন, ইজিবাইক দুর্ঘটনায় ৩০ জন, ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় ১৭ জন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় ৪৫ জন ও অন্যান্য যান দুর্ঘটনায় ১০৪ জনসহ সর্বমোট ৬৩২ জন নিহত হয়।

এর আগে, গত ২১ এপ্রিল বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানিয়েছিলেন, ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের ১৭ দিনে (৪ থেকে ২০ এপ্রিল) সারা দেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩২০ জন ও আহত হয়েছেন ৪৬২ জন। এ সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।


আরও খবর



মার্কিন সিনেটে ইউক্রেন-ইসরায়েল সহায়তা বিল পাস

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন সিনেটে পাস হল ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে বৈদেশিক সহায়তা বিল। কয়েক মাস বিলম্বের পর মঙ্গলবার সহজেই বিলটি পাস হল। এর ফলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইউক্রেনকে নতুন করে তহবিল জোগান দেওয়ার পথ সুগম হল।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ইউক্রেন, ইসরায়েল, তাইওয়ান ও ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন অংশীদারদের ৯৫ বিলিয়ন (৯ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের প্রধানত সামরিক সহায়তা দেওয়া নিয়ে চারটি বিল পাস হয়। বিলগুলো ৭৯-১৮ ভোটে অনুমোদিত হয়।

এর আগে গত শনিবার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান নেতারা এসব বিল নিয়ে নিজেদের অবস্থান আকস্মিকভাবে বদলে ফেলেন ও ভোটাভুটিতে সেগুলো পাস করেন।

সিনেটে বিল চারটি একটি প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত করে উপস্থাপন করা হয়। প্রথম বিলে ইউক্রেনে জরুরিভিত্তিতে তহবিল জোগানের লক্ষ্যে সবচেয়ে বেশি অঙ্কের ৬১ বিলিয়ন (৬ হাজার ১০০ কোটি) ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় বিলে ইসরায়েলকে ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতকবলিত অঞ্চলের বেসামরিক লোকজনকে মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৬ বিলিয়ন (২ হাজার ৬০০ কোটি) ডলার এবং তৃতীয় বিলে ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলায়’ ৮ দশমিক ১২ বিলিয়ন (৮১২ কোটি) ডলার সহায়তা দেওয়ার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

চতুর্থ বিলটি গত সপ্তাহে ওই প্যাকেজে যুক্ত করে প্রতিনিধি পরিষদ। এ বিলে চীনা নিয়ন্ত্রিত সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করা, ইউক্রেনে জব্দ করা রাশিয়ার সম্পদ স্থানান্তরে পদক্ষেপ নেওয়া ও ইরানে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের জন্য বিলগুলো তার কাছে পাঠানো হবে। তার স্বাক্ষরের পর বিলগুলো মূলত আইনে পরিণত হবে।

দু’জন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, বিলগুলো টেবিলে পৌঁছানোর পর দ্রুত সেগুলো সই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।


আরও খবর