আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

জাতীয় সংগীতের অবমাননা করে টিকটক ভিডিও, আটক ৫

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জাতীয় সংগীতকে অবমাননা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে ভিডিও বানানোয় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২৩ আগস্ট) সারারাত বগুড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, টিকটকে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক বগুড়া জেলার সরকারি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতকে বিকৃত ও ব্যঙ্গ করে ভিডিও পরিবেশন করছে। এই পোস্টটি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের দৃষ্টিতে আসে। ভিডিওটি বগুড়া জেলার সদর থানার ওসি মো. সেলিম রেজাকে পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট যুবকদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশনা দেয় মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।

বার্তা পেয়ে ওসি মো. সেলিম রেজা বগুড়া সদর থানার এসআই জাকির আল আহসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিমকে মাঠে নামান। তারা সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করে সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচজনকে আটক করেন।

আটককৃতরা হলো- মো. মিশকাত হোসেন, মো. নূর-ই-ইসলাম আলিফ, মেহেদী হাসান অন্তর, আলিফ আহমেদ সুজন ও মো. আরিফ আলী।

তিনি আরও জানান, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রচারণা ও প্রপাগান্ডা এবং অসম্মান ও অশ্রদ্ধা সংক্রান্তে আইনি ব্যবস্থা নিতে দি বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যানথেম, ফ্ল্যাগ অ্যান্ড এমব্লেম অর্ডার, ১৯৭২ রয়েছে। এছাড়া কোনো ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে এ ধরনের অপরাধ সংক্রান্তে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে।



আরও খবর



আজ দেশের আকাশে দেখা যাবে সূর্যের খুব কাছে আসা বিরল ধুমকেতু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

প্রায় ৭১ বছর পর আজ রোববার (২১ এপ্রিল) সূর্যের সবচেয়ে কাছে অবস্থান করবে ধূমকেতু ১২পি/পনসব্রুকস। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে এটি দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও।

এ উপলক্ষ্যে রোববার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর পদ্মা নদীর ধার টি বাঁধ এলাকায় ডেভিল ধূমকেতু এবং বৃহস্পতিগ্রহ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। রাজশাহী অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার এবং বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন যৌথভাবে এর আয়োজক।

আয়োজকরা জানান, বিগত ৭১ বছর পর আজ রোববার (২১ এপ্রিল) ডেভিল ধূমকেতুটি সূর্যের সবচাইতে কাছে অবস্থান করবে। রোববার সূর্যস্তের সময় থেকে ঘণ্টাখানেক ধূমকেতুটি আকাশে অবস্থান করবে। দিগন্তের খুব কাছে থাকাতে নানা কারণে ধূমকেতুটি দেখাবার সম্ভাবনা খুব কম। তারপরও আয়োজকরা প্রস্তুত থাকবে ধূমকেতুটি দেখবার জন্য। মেঘমুক্ত আকাশ হলে এটি দেখতে পাবার সম্ভাবনা প্রবল হতে পারে। এছাড়াও আকাশে বৃহস্পতি গ্রহ এবং চাঁদ একই সঙ্গে দৃশ্যমান থাকবে। ধূমকেতুটি যতক্ষণ সম্ভব দেখার চেষ্টা করার পর আয়োজকরা টেলিস্কোপে বৃহস্পতিগ্রহ এবং চাঁদ দেখবে।

আয়োজনকরা আরও জানান, রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬টা থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত রাজশাহী নগরীর টি বাঁধ পদ্মার পাড়ে এ আয়োজন করা হয়েছে। আগ্রহী সবার জন্য ডেভিল ধূমকেতু-বৃহস্পতিগ্রহ এবং চাঁদ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পটি উন্মুক্ত থাকবে।

আয়োজক কমিটির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিত্ব চলচ্চিত্রকার আহসান কবির লিটন জানান, রাজশাহী অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার এবং বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে শক্তিশালী টেলিস্কোপ দিয়ে ক্যাম্পটি পরিচালনার সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। যে কেউ এখানে এসে এই ক্যাম্পে অংশ নিতে পারবেন। তবে আকাশে মেঘ থাকলে দৃষ্টি সীমা বাধাগ্রস্থ হবে। তখন ধূমকেতু সহ গ্রহ উপগ্রহগুলো না ও দেখা যেতে পারে।

প্রসঙ্গত, সূর্যের কাছাকাছি ধূমকেতুটি দেখতে কিছুটা শিংয়ের মতো হয়। তাই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ডেভিল কমেট বা শিংওয়ালা ধূমকেতু


আরও খবর



অর্থ আত্মসাৎ মামলায় জামিন পেলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এদিন সকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস পূর্বশর্তে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেয় দুদক। গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন। তখন আসামি করা হয়েছিল ১৩ জনকে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ড. মুহাম্মদ ইউনূস, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।


আরও খবর



মেহেদির রঙ গাঢ় করতে চান? জেনে নিন কৌশল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আমাদের যেকোনো উৎসবের সঙ্গে মেহেদির সম্পর্ক প্রগাঢ়। মেহেদি পরতে ভালোবাসেন না এমন নারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর ঈদ এলে তো কথাই নেই। তাদের ঈদের কেনাকাটায় যে জিনিসগুলো না হলেই নয় তার মধ্যে একটি হলো মেহেদি। চাঁদরাতে ঘরে ঘরে নারীর হাতে মেহেদি পরার ধুম পড়ে যায় যেন। তবে অনেকে মেহেদি দেওয়ার পর মনের মতো রং আসে না বলে মন খারাপ করেন। কিছু উপায় মেনে চললে মেহেদির রঙ গাঢ় করা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক-

মেহেদির রঙ গাঢ় করার ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে চিনি এবং লেবুর রস ব্যবহার। মেহেদি যখন শুকিয়ে যাবে তখন লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে হাতে সেই মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর শুকিয়ে গেলে হাত মুছে নিতে হবে। এতে রঙ গাঢ় হবে, সেইসঙ্গে হবে দীর্ঘস্থায়ী।

মেহেদি ব্যবহারের আগে হাত-পা শেভ কিংবা ওয়াক্স করবেন না। ফলে ত্বকের উপরের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই পরে ওই ত্বকে মেহেদি ব্যবহার করলে গাঢ় রং পাওয়া যায় না। মেহেদি লাগানোর অন্তত ৩ থেকে ৪ দিন আগে এসব কাজ সম্পন্ন করুন।

মেহেদির রং গাঢ় করার ক্ষেত্রে লবঙ্গ কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমে একটি লোহার কড়াই চুলায় বসিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দিন। এরপর তাতে কয়েকটি লবঙ্গ দিন। কড়াই থেকে ধোঁয়া বের হলে তার ওপর আপনার হাত দুটি ধরে রাখুন। এতে মেহেদির রং সহজেই গাঢ় হবে। তবে সাবধান থাকুন, গরম কড়াই যেন হাতে না লাগে।

গাঢ় রং পেতে উৎসব বা অনুষ্ঠানের অন্তত ২৪ বা ৪৮ ঘণ্টা আগে মেহেদি ব্যবহার করুন। সেইসঙ্গে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ১২ ঘণ্টা মেহেদি হাতে রাখুন। তাহলেই পাবেন গাঢ় রং।

সরিষার তেল ব্যবহার করুন মেহেদির স্থানে। তারপর একটি ব্যান্ডেজ দিয়ে স্থানটি ঢেকে ঘুমিয়ে পড়ুন রাতে। সকালে দেখবেন মেহেদির রং অনেকটাই গাঢ় হয়েছে।

মেহেদি তুলে ফেলার পর হাত গরম রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় হাতে ভিক্স বা অন্য কোনো ব্র্যান্ডের সর্দি-কাশির বাম লাগিয়ে ঘুমাতে গেলে। এতে সারা রাত হাত গরম থাকবে। এরপর সকালে উঠে সুন্দর গাঢ় রঙ পাবেন। তবে হাতে বাম লাগানো অবস্থায় সেই হাত দিয়ে কোনো খাবার খাবেন না বা চোখে-মুখে ডলবেন না।

অন্যদিকে সাবান পানি দিয়ে কখনো মেহেদি তুলবেন না। এমনকি মেহেদি তুলে ফেলার পরও কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা ওখানে পানি লাগাবেন না।


আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্রতাপে পুড়ছে মানুষ, টিউবওয়েলে মিলছে না পানি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখের বিদায় ঘন্টার সুর উঠেছে। তবুও বৃষ্টির দেখা নেই। ভয়ানক গরমে পুড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিটি মানুষ। অতিমাত্রার দাবদাহে গ্রাম থেকে শহর সবখানেই নাভিশ্বাস অবস্থা। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আবাদি জমি। হাসপাতালেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।

শুধু ঠাকুরগাঁও নন, অন্যান্য জেলাগুলোতেও একই চিত্র। দিনে-রাতে সমান গরম। এ পরিস্থিতিতে ঘরের ভেতরেও টিকে থাকা বড়ই দায়। ফ্যানের বাতাসেও যেন প্রাণ জুড়ায় না। সব মিলে বলা যায় অতিষ্ঠ প্রাণ। অনেকেই রোদের আগুনে পুড়ে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ।

ইতোমধ্যে তাপের প্রকোপ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। এমনকি তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় জমকালোভাবে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছেন এলাকাবাসী।

গত সোমবার শহরের মথুরাপুর এলাকায় স্থানীয়দের আয়োজনে ব্যাঙের বিয়েতে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুরা অংশগ্রহণ করেন। বিয়ের গীত আর নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল-ডাল সংগ্রহ করে ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

অন্যদিকে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠাকুরগাঁও গ্রাম ও হরিপুর উপজেলার শাহানাবাদ, হাটপুকুর, খালেকপাড়া গ্রামের টিউবওয়েল গুলোতে পানি উঠছে না। নেমে গেছে পানির স্তর। এতে করে অনেক নলকূপে মিলছে না পর্যাপ্ত পানি। তাতে খাবার পানিসহ দৈনন্দিন পানির সংকট দেখা দিয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপপ্রবাহে নেমে গেছে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্থর৷  টিউবওয়েলের পানি ঠিকমতো উঠছে না। পাম্প বসিয়েও পানি মিলছে না। বাড়িতে ব্যবহৃত কাপড়, থালাবাসন ধোয়া ও রান্নাবান্না করতে যে পানি দরকার তা মিলছে না। এতে নানান ধরনের ভোগান্তিতে রয়েছেন গ্রামবাসী।

ভুক্তোভুগীরা জানান, এমনি গরমে জীবন অতিষ্ঠ। তারপর আবার টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছেনা। অনেক ক্ষণ ধরে পানি দিয়ে পানি উঠানোর চেষ্টা করলেও পাওয়া যায় না। হঠাৎ করে অল্প পানি উঠলে আবার নাই হয়ে যায়। এতে করে বাড়ির যে কাজ গুলো এসব করা কঠিন হয়ে যায়। যাদের গভীর নলকূপ আছে তাদের বাড়িতে যেতে হয়।

অপদিকে, তীব্র গরমে ও খরা-অনাবৃষ্টিতে ফল-ফসল হিটশকের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় ফসলি জমিতে সেচ দিয়ে দুয়েক ইঞ্চি পরিমাণ পানি রাখার এবং আম, লিচু, জামসহ ফল গাছে পানি ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছেন জেলার কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

আজিজ নামে এক এনজিও কর্মী বলেন, আমি অফিসের কাজে তেঁতুলিয়া যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দিয়েছি। আজকে প্রচণ্ড গরমে গাড়ি চালাতে হাত-পা জ্বলছে। তাই গাছের নিচে একটু থেমেছি। এই রোদে এখন গাড়ি গন্তব্যে যাবো কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি। আসলে এমন তাপদাহ চলতে থাকলে জনজীবন থেমে যেতে পারে।

বাবু নামে এক অটোচালক বলেন, তাপের কারণে অটোর কন্ট্রোলার তাড়াতাড়ি কেটে যাচ্ছে ও চাকা ঘন ঘন পাংচার হচ্ছে। রোদের জন্য প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বেড় হচ্ছে না তাই যাত্রীও কম। এতে আমাদের খুব কষ্ট হয়ে গেছে চলাচল করতে।

এদিকে গরমের কারণে ২৫০ শয্যা ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে দেখা যায় তাপমাত্রাজনিত কারণে ছোট-বড় সব বয়সের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, তাপমাত্রাও বৃদ্ধির ফলে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত গরমের ফলে ডিহাইড্রেশন রোগ, যেটা পানি শূন্যতা বলে জানান তিনি।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

অব্যাহত অতি তীব্র তাপদাহে স্বস্তি নেই চুয়াডাঙ্গায়। সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এখানকার জনপদ। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। এরই মাঝে আজ মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান।

তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুই দিন এমন অবস্থা বিরাজ করতে পারে।

এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দুপুর থেকেই মরুভূমির মতো তাপ অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে।

চলমান তাপদাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবীরা। তীব্র তাপদাহে নষ্ট হচ্ছে ধান, ভূট্টা, কলা, আম, লিচুসহ মৌসুমি ফসল।


আরও খবর