শরীয়তপুরের
জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নে ফের সংঘর্ষে
জড়িয়েছে দুই পক্ষে। এতে অন্তত ১২জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে বিলাসপুরের
বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় এই সংঘর্ষ হয়।
সরেজমিনে গিয়ে
দেখা যায়, প্রথম ধাপে বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মুলাই বেপারী কান্দি হয়ে বুধাইর হাট
পর্যন্ত এরপর বুধাইর হাট বাজার থেকে রাসেল খানের বাড়ি পর্যন্ত এবং সবশেষে মহড় খার কান্দির
পাশে নদীর পারে সংঘর্ষে অন্তত কয়েক হাজার ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
আধিপত্য বিস্তারকে
কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান আ: কুদ্দুস বেপারী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আ:
জলিল মাদবর গ্রুপের লোকজনের মধ্যে এই সংর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১২ জন আহত হওয়ার
খবর পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে এবং বাকিরা জাজিরা
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
দীর্ঘ দিন যাবত
বর্তমান চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারি ও পরাজিত চেয়ারম্যান জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
আনতে জাজিরা থানা পুলিশ ২২ রাউন গুলি করে এবং ৬ টি টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। কয়েক ঘন্টা
সংঘর্ষ চলার পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। এই ঘটনায় সজিব (২২) নামে একজনকে ঘটনাস্থল
থেকে আটক করেছে জাজিরা থানা পুলিশ।
সাবেক যুবলীগ
নেতা ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আ: জলিল মাদবর বলেন, নির্বাচনের পর থেকেই আমার সমর্থকদের
বাড়িতে থাকতে দেয়না। প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়িতে থাকলেও বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দেয়াসহ
প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বোমা কুদ্দুস বাহিনী। বুধবার একইভাবে হামলা চালালে আমাদের
লোকজন প্রতিহত করতে বাধ্য হয়।
বিলাসপুর ইউপি
চেয়ারম্যান আ: কুদ্দুস বেপারী জানান, সকালে হঠাৎ আ. জলিল মাদবরের সমর্থকরা আমার বাড়ি
ঘেরাও করে হামলা চালালে আমার লোকজন তাদেরকে প্রতিহত করে এবং আমি তাৎক্ষণিক প্রশাসনকে
বিষয়টি অবগত করি। এছাড়া এই ধরনের অপ্রীতিকর পরিবেশ আমরা চাইনা , মারামারি হলে আমার
নূন্যতম কোন লাভ থাকলে আমি করতাম। কিন্তু আমার এতে কোন লাভই নেই।
জাজিরা থানার
অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সকালে আমরা সংঘর্ষের খবর পেয়ে সাথে সাথে বিলাসপুরে
ঘটনা স্থানে যাই এবং গুলি ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম
হই। এই ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।