আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

জাফলংয়ে পর্যটকদের উপর হামলার ঘটনায় আটক ২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সিলেটের গোয়াইনঘাট পর্যটন এলাকা জাফলংয়ে পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসনের নিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকরা। এতে নারী শিশুসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, গোয়াইনঘাটের পন্নগ্রামের মৃত রাখালচন্দ্রের পুত্র লক্ষ্মণচন্দ্র দাস (২১) ও ইসলামপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার পুত্র মো. সেলিম আহমেদ (২১)। আটক অন্য তিনজনের ক্ষেত্রে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কিনা যাচাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে জাফলং পর্যটন কেন্দ্রে টিকিট কেনাকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকদের বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকরা পর্যটকদের ওপর চড়াও হলে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টিকিট কেনার সময় পর্যটকদের সঙ্গে টিকিট কাউন্টারে কর্তব্যরতদের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে কাউন্টারে থাকা স্বেচ্ছাসেবকরা লাঠি দিয়ে পর্যটকদের পেটাতে শুরু করে। তখন সেখানে থাকা একজন তরুণী ও শিশু হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লেখা নীল ইউনিফর্ম পরা ৩ জন হাতে লাঠি নিয়ে একদল পর্যটককে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। এ সময় কয়েকজন নারী পর্যটক তাদের থামাতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন।

জানা যায়, ২০২১ সাল থেকে পর্যটন কেন্দ্রে সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাফলংয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে পর্যটকদের ১০ টাকা প্রবেশ ফি নির্ধারণ করে দেয় প্রশাসন। এর আগে পর্যটকদের সেখানে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হতো না। যে কারণে পর্যটকরা জাফলং বেড়াতে এসে টিকিট কাটতে হবে শুনে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।

গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাহমিলুর রহমান বলেন, টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি থেকে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সূত্রপাত। যেহেতু হামলাকারীরা আমাদের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, তাই আমি দায় নিচ্ছি।

ট্যুরিস্ট পুলিশের জাফলং-এর ইনচার্জ মো. রতন শেখ বলেন, জাফলং-এ পানিতে পড়ে একজন পর্যটক নিখোঁজ হয়েছেন, এমন সংবাদে আমরা অন্যদিকে ব্যস্ত ছিলাম। এই সুযোগে পর্যটকদের উপর হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনা যাই হোক আমরা ব্যবস্থা নেব।

সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম বলেন, জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ডিবি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ রয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। 


আরও খবর



মিরসরাইয়ে পিকআপচালক খুন, মরদেহ মিললো রেললাইনে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে তৌহিদুল ইসলাম খোকন (৩০) নামে এক পিকআপচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল লাইনের হিঙ্গুলী খান সিটি সেন্টারের পূর্বপাশে রেললাইন থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, তাকে খুন করে রেললাইনে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। নিহত খোকন হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের মৃত হাসেম ড্রাইভারের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে এক শিশু তৌহিদুল ইসলাম খোকনের মরদেহটি রেললাইনে পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয়। এসময় পরিবারের লোকজন এসে শনাক্ত করে মরদেহটি বাড়ি নিয়ে যায়।

নিহতের স্ত্রী সানজিদা আক্তার বলেন, আমার স্বামী গতকাল (বুধবার) রাতে একই এলাকার শাহাজাহান মেম্বারের বাড়িতে তাঁর ভাতিজির গায়ে হলুদে যায়। সেখানে যাওয়ার আগে স্থানীয় বখাটে ইয়াবা সেবনকারী মোতালেব, আমজাদ, রাসেল তাদের জন্য ইয়াবা নিতে উনার মোবাইলে বার বার ফোন করে। কিন্তু তিনি রাজি হননি। রাতে গায়ে হলুদে গিয়ে আর ফেরেনি। সকালে রেললাইনে মরদেহ পাওয়া গেছে। তারা আমার স্বামীকে খুন করে রেললাইনে ফেলে যায়, যাতে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে এটা বুঝানোর জন্য। আমার স্বামীর হত্যায় জড়িতদের শাস্তি চাই।

হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়েছি খোকন মারা গেছে। কে বা কারা তাকে খুন করে রেললাইনে ফেলে গেছে। আমি পুলিশকে খবর দিয়েছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের শরীরের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে খুন করা হয়েছে। তবে মাদকের কারণে খুন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



বিশ্ব গণমাধ্যম সূচকে দুই ধাপ পিছিয়ে ১৬৫তম বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ২৭ দশমিক ৬৪ স্কোর নিয়ে ২ ধাপ পিছিয়ে ১৬৫তম অবস্থানে বাংলাদেশ। এ বছর ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) শুক্রবার (৩ মে) এই সূচক প্রকাশ করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দিক দিয়ে এবার শীর্ষস্থান দখল করেছে নেপাল; ৬০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ৭৪তম অবস্থান দখল করেছে। এর পরের অবস্থানে আছে মালদ্বীপ। ৫২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১০৬তম অবস্থানে। এবারের তালিকায় প্রথম অবস্থান থেকে ছিটকে তৃতীয় স্থান পেয়েছে ভুটান। ৩৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১৪৭তম অবস্থানে রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটানের পেছনে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ।

দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারত। এই তিন দেশের বৈশ্বিক অবস্থান যথাক্রমে ১৫০, ১৫২ ও ১৫৯তম।

গত বছরের ১৬১ থেকে দুই ধাপ এগিয়ে এবার ১৫৯তম অবস্থান পেয়েছে ভারত। আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বশেষ স্থান পেয়েছে। ২৬ ধাপ পিছিয়ে দেশটির বৈশ্বিক অবস্থান ১৭৮তম, পয়েন্ট মাত্র ১৯ দশমিক ০৯।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জের দিক দিয়ে গোটা বিশ্বে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এই প্রতিবেদনে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক কর্মস্থল হিসেবে মিয়ানমার, চীন, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও আফগানিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বৈশ্বিক সূচকে শীর্ষস্থান অটুট রেখেছে নরওয়ে। তাদের পয়েন্ট ৯১ দশমিক ৮৯। শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলো হলো ডেনমার্ক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানি।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সাংবাদিকরা কতটুকু স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন, তা যাচাই করা হয়। এই সূচকে পাঁচটি বিষয় আমলে নেয়া হয়। এগুলো হলো-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, আইনি অবকাঠামো, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও নিরাপত্তা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সারা বিশ্বের মুক্ত গণমাধ্যম রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, যাতে রাজনৈতিক সূচকের উল্লেখযোগ্য হ্রাস থেকে নিশ্চিত হয়েছে। এ বছর এই সূচকের বৈশ্বিক গড় সাত দশমিক ছয় শতাংশ কমেছে।


আরও খবর



বিয়ে করছেন শাকিব, পাত্রী ডাক্তার

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সিনেমায় অনিয়মিত হলেও অপু বিশ্বাস বুবলীর সঙ্গে নিয়মিত ঝগড়া করেন। তাদের ঝগড়ার মূল কারণ শাকিব খান। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন এই অভিনেতা।

নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।

শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, সেই পার্শ্ববর্তী জেলাটি হলো মুন্সিগঞ্জ। এখন অবধি ২-৩ পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এরমধ্যে মুন্সিগঞ্জের ডাক্তার মেয়েই এগিয়ে আছেন। ইতোমধ্যেই শাকিবের মত নিয়ে তার মা, বাবা, বোন, বোনজামাই মিলে পাত্রী দেখছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।

শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।

এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।

শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তিনি।


আরও খবর



আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ভারত সহায়তা করতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী মহিববুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, পরিবেশগত মিল থাকায় আমরা একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হই। ডিজাস্টার রিজিলিয়েন্ট ইনফ্রাসটাকচারসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার সদস্য বাংলাদেশ। কাজেই এসব ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

তিনি বলেন, গতবছর দুই দেশের এই মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালে আমরা একটি সমঝোতা স্মারকও সই করেছি। এই সমঝোতার বাস্তবায়ন নিয়েও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। যেমন, রিমোট সেন্সিং, দুর্যোগ ব্যবস্থা কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ও তথ্য বিনিময়ে দুই দেশ পরস্পরকে সহায়তা করার কথা বলা হয়েছে।

প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, রিমোট সেন্সিং নিয়ে আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সব উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রতিমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করায় আমি খুবই সন্তুষ্ট।

এ সময়ে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। তারা বাংলাদেশকে সমর্থন দিচ্ছে, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে। ভারত ও বাংলাদেশের প্রকৃতি এক হওয়ায় সমস্যা মোকাবিলায় আমরা ভবিষ্যতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।


আরও খবর



শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে স্থায়ী জামিন চাইবেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চাইবেন বলে নিশ্চিত করে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। তাই এ মামলায় ড. ইউনূস মঙ্গলবার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চাইবেন।

ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মঙ্গলবার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে সাজার বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের আপিল শুনানি হবে বলেও জানান তিনি। সকাল ১০টার পর তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেন বলেও জানান এ আইনজীবী।

গত ৩ মার্চ ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।

ওইদিন পর্যন্ত চারজনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা। অপর তিনজন হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

আদালতে ওইদিন ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। এ সময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এই মামলায় ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।


আরও খবর