আজঃ বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ইউএনওর বদলির খবরে শিবপুরে মিষ্টি বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর শিবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিনিয়া জান্নাতকে বদলি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এটিএম শরিফুল আলমের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বদলি করা হয়। জিনিয়া জান্নাতকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষে বদলি করা হয়েছে। এদিকে তার বদলির খবরে শিবপুরে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ আগস্ট) রাতে শিবপুরের ইউএনওকে বদলির খবরে শিবপুরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

ইউএনও জিনিয়া জান্নাতের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ উঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তাকে শোকজ করা হয়েছিল।

জানা গেছে, জিনিয়া জান্নাত ইউএনওর দায়িত্বের পাশাপাশি শিবপুর পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন। দুটি দায়িত্বে থাকার সুযোগে তিনি ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। ঘুষ ছাড়া দপ্তরের কোনো ফাইল ছাড় করতেন না তিনি। তাছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানের মৃত্যুর পর উপজেলা পরিষদের অর্থ কেলেঙ্কারিতেও জড়িয়ে পড়েন এ কর্মকর্তা। একইসঙ্গে শিবপুর পৌরসভার প্রশাসকের ক্ষমতা খাটিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। পৌরসভার ইজারাদারের নাম করে সড়ক থেকে চাঁদা তোলা হয়, যা নিয়ন্ত্রণ করেন ইউএনও।

এর বাইরে তার স্বামী দিনরাত সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে আসছিলেন। তাছাড়া সহকর্মীদের সঙ্গে জিনিয়া জান্নাতের অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং সরকারি বিধিনিষেধ ভঙ্গের বিস্তর অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই তাকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ডেকে সতর্ক করা হয়।  তারপরও তার অনিয়ম থেমে থাকেনি।

এসবের জের ধরে সোমবার (২৮ আগস্ট) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিনিয়া জান্নাতকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন ঈদুল আজহার আগের দিন রাতে ইউএনওর স্বামী সরকারি গাড়ি নিয়ে বের হন। পরে শহরের ছোনপাড়া কাঞ্চন আঞ্চলিক সড়কের মাঝামাঝি স্থানে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ইউএনওর সরকারি গাড়িটির। এতে গাড়ির সামনের বাম্পার ও ডানদিকে বডিতে প্রচন্ড চোট খায় এবং ফগ ও ইন্ডিকেটর লাইট ভেঙে যায়। তখন ট্রাক থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও আদায় করে ইউএনওর স্বামী। কোন ক্ষমতায় তিনি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন। সরকার গাড়ি দিয়েছে আমাদের (জনগণের) সেবায় নিয়োজিত থাকার জন্য, স্বামী বা আত্মীয়-স্বজন সেই গাড়িতে ঘুরে হাওয়া খাওয়ার জন্য নয়। ওনার বদলিতে আমরা শিবপুরবাসী আনন্দিত। তাই আমরা মিষ্টি মুখের মাধ্যমে সেই আনন্দ ভাগাভাগি করছি।


আরও খবর



মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের মানতে হবে যেসব বিধিনিষেধ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা তাদের পদে থেকেই আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। তবে তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আচরণ বিধিমালা মেনে চলতে হবে। এর উল্লেখ রয়েছে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালায়।

আচরণ বিধিমালা মূলত কার্যকর হয় নির্বাচনপূর্ব সময়ে। আর নির্বাচনপূর্ব সময় বলতে বোঝায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ফলাফলের সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত সময়কে।

আচরণ বিধিমালায় বলা হয়েছে, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তাদের সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনী কর্মসূচি বা কর্মকাণ্ড যোগ করতে পারবেন না। তারা নিজের বা অন্যের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি যানবাহন, সরকারি প্রচারযন্ত্রের ব্যবহার বা অন্যান্য সরকারি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না এবং এ উদ্দেশ্যে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ব্যবহার করতে পারবেন না।

সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হলে তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচিতে কর্তৃত্ব করতে পারবেন না বা এসংক্রান্ত সভায় যোগ দিতে পারবেন না। এ ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে সভাপতি বা সদস্য হয়ে থাকলে বা তার মনোনীত কোনো ব্যক্তি পর্ষদে থাকলে নির্বাচনপূর্ব সময়ে তিনি বা তার মনোনীত ব্যক্তি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো সভায় সভাপতিত্ব বা অংশ নিতে পারবেন না অথবা ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো কাজে জড়িত হতে পারবেন না। 

আরও পড়ুন>> আগামীকাল জানা যাবে কারা পাচ্ছেন নৌকার টিকিট

সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিজে প্রার্থী বা অন্য কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট না হলে ভোট দেওয়া ছাড়া নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ বা ভোট গণনার সময় গণনাকক্ষে প্রবেশ বা উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া যায়।

সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমপদমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র।

নিউজ ট্যাগ: সংসদ সদস্য

আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




মারাত্মক দূষণ ঠেকাতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর চিন্তা দিল্লির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বায়ুদূষণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আম আদমির সরকার দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর চিন্তা করছে। গত বুধবার দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই এ পরিকল্পনার কথা জানান। কানপুর আইআইটির বিজ্ঞানীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তাঁর আলোচনাও হয়েছে।

গোপাল রাই বলেন, দূষণ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ক্লাউড সিডিং অর্থাৎ, কৃত্রিম বৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে আইআইটি কানপুর দলের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে বৈঠকে বিজ্ঞানীরা এই প্রস্তাব পেশ করেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা সরকারের কাছে বিস্তারিত প্রস্তাব পাঠাবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাতাসে জলীয়বাষ্প বা মেঘ থাকলে তবেই এই কৃত্রিম বৃষ্টি নামানো সম্ভব বলে জানান আবহাওয়াবিদেরা। তাঁরা বলছেন, ২০-২১ নভেম্বর দিল্লিতে তেমন পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা আছে। তাই চলতি মাসের শেষেই তা করা সম্ভব হতে পারে। বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ নিয়ে শীর্ষ আদালতে দিল্লি সরকার শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেবে। 

আরও পড়ুন>> পশ্চিম তীরে ইসরায়েলিদের ওপর হামলা

শীতের শুরু থেকেই সাধারণত দিল্লির বাতাস মারাত্মকভাবে দূষিত হতে থাকে। এই দূষণের প্রধান কারণ দিল্লির সংলগ্ন পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থানের গ্রামগুলোতে কৃষকদের খড় পোড়ানো। ধান বা গমের খেতগুলো থেকে শীতের শুরুতে ফসল তোলার পর পরবর্তী চাষের জন্য জমিকে প্রস্তুত করতে ধান-গমের গাছের গোড়া পুড়িয়ে দেন কৃষকেরা।

দিল্লির বাতাসের মান অত্যন্ত খারাপ থাকায় গত কয়েক দিন ধরে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত সব ক্লাস অনলাইনে করার নির্দেশ দিয়েছিল কেজরিওয়াল সরকার। ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুলগুলোতে আগাম শীতের ছুটি দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে শিশুরা যে ছুটি পেয়ে থাকে, এটি সেই ছুটিরই অংশ। পরে শীতের ছুটির সময়ে দিন কমিয়ে দেওয়া হবে। শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। 

আরও পড়ুন>> গাজা উপকূলে ভাসমান হাসপাতাল পাঠাচ্ছে ইতালি

এরই মধ্যে নাসার স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, উত্তরে পাঞ্জাব থেকে পূর্বে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ধোঁয়াশার চাদর বিস্তৃত। দিল্লির এই ভয়াবহ দূষণের দায় গিয়ে পড়েছে মূলত পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারের ওপরে।


আরও খবর



উপকূলের বিষমুক্ত শুঁটকি যাচ্ছে বিদেশে

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় উপকূলে শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গহিরা গ্রামের বাসিন্দারা। কেউ সাগর থেকে নৌকায় করে নিয়ে আসছে মাছ, কেউবা ঝুঁড়িতে করে মাছ নিয়ে আসছে মহালে বালুর চরে। আবার পলিথিন কিংবা তেরপালে ছিটিয়ে রোদে শুকাচ্ছে সেই মাছ। এভাবে চলছে শুঁটকি শুকানোর কাজ।

বর্ষাকাল বিদায় নেওয়ার পরই উপজেলায় শুঁটকি তৈরির মৌসুম শুরু হয়। শীত থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত চলে শুঁটকি তৈরি। সাগর ঘেঁষে উপকূলে বাঁশ দিয়ে মাচাং তৈরি করে চলছে শুটকি শুকানোর কাজ। অনেকে আবার সাগরের মধ্যে মাছ ধরার নৌকায় শুকাচ্ছেন শুটকি। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে শুটকির চাহিদা ব্যাপক। দেশের সবচেয়ে বড় শুটকির বাজার চট্টগ্রামের চাক্তাই এলাকায়। সেখান থেকে সারাদেশের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হয় শুটকি। আর চট্টগ্রামের অতি সন্নিকটে আনোয়ারা উপজেলার অবস্থান। এখানে রয়েছে সামুদ্রিক মাছের ব্যাপক উৎস। আনোয়ারা উপকূলে তাই একটি মানসম্মত, আধুনিক শুটকি পল্লী গড়ে তুলতে পারলে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

জানা যায়, উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বঙ্গোপসাগর উপকূলের গ্রাম গহিরা। এখানকার বেশির ভাগ মানুষের জীবিকা চলে সমুদ্রের মাছ ধরে। বিগত ১০ বছর ধরে শুষ্ক মৌসুমে চলছে শুঁটকি ব্যবসার কাজ। এ কাজে ৩৫টি শুঁটকি মহালে হাজারেরও অধিক নারী-পুরুষ কাজ করেন। এ ছাড়া আরও তিন-চার হাজার মানুষ নানাভাবে এ কাজে যুক্ত। শুঁটকি ব্যবসায়ীদের বেশির ভাগই স্থানীয় মৌসুমি ব্যবসায়ী। আবার অনেকে কক্সবাজারের চকরিয়া, মহেশখালী থেকেও আসেন ব্যবসা করতে। চিংড়ির পাশাপাশি লইট্যা, ছুরি শুঁটকি, বাইলাসহ আরও কয়েক ধরনের শুঁটকি তৈরি হয় এখানে। সাগর থেকে জেলেরা বিভিন্ন প্রজাতির ইছা-চিংড়ি মাছ সংগ্রহ করে উপকূলে নিয়ে আসেন। উপকূলের শুঁটকি ব্যবসায়ীরা এই মাছ প্রতি কেজি ১০০ থেকে দেড় শ টাকা দিয়ে কিনেন। এরপর বালু চরে পলিথিন বিছিয়ে চলে শুঁটকি শুকানোর কাজ। প্রতি মহালে দৈনিক ১০০০ থেকে ১২০০ কেজি শুঁটকি উৎপাদন হয়।

আনোয়ারা উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা রাশিদুল হক বলেন, আমাদের তালিকাভুক্ত ২০জন শুঁটকি ব্যবসায়ী রয়েছেন। এদেরকে শুঁটকির ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শীত মৌসুমের তিন থেকে চার মাস উপকূলে শুঁটকির কাজ চলে। শুঁটকির ব্যবসায় বিভিন্নভাবে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়। এই শুঁটকি পাইকারি ব্যবসায়ীরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে বিদেশে নিয়ে যান।


আরও খবর



গাজায় তিন দিনের যুদ্ধবিরতি!

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হামাসের হাতে আটক প্রায় এক ডজন জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে গাজায় তিন দিনের মানবিক যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানায়, এই চুক্তির ফলে সীমিত পরিমাণে জ্বালানিসহ অন্যান্য সাহায্য প্রবেশ করতে সক্ষম হবে। কর্মকর্তা ও কূটনীতিকের মতে কাতার, মিসর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিলে এ মধ্যস্থতার আয়োজন করছে।

মিসরের দুই কর্মকর্তা, জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা, একজন পশ্চিমা কূটনীতিক এ সমঝোতা আলোচনায় বসবেন। সংবেদনশীল কূটনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনার কারণে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন।

হামাসের সাথে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র দাবি করেছে, মুক্তির তালিকায় থাকাদের মধ্যে ছয়জন আমেরিকান।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার সন্ধ্যায় জোর দিয়ে বলেছেন, বন্দিদের মুক্তি ছাড়া গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না। তবে কতজন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি। বন্দিদের জাতীয়তার ব্যাপারে কোনো অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে কিনা তাও জানা যায়নি। 

আরও পড়ুন>> ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতির দাবিতে ব্রিটিশ এমপির পদত্যাগ

এদিকে, ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর এখন পর্যন্ত তাদের ৩১ সেনা নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৬০ সেনা।

এদিকে গাজায় স্থল অভিযান চলাকালে ইসরায়েলের ১৩৬ সামরিক যান ধ্বংসের দাবি করেছে ফিলিস্তিন। হামাসের সামরিক শাখা জানিয়েছে, তারা গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের ১৩৬ সামরিক যান ধ্বংসের তালিকা নথিভুক্ত করেছে।

সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু উবায়দা আল আকসা টিভিতে বক্তৃতাকালে বলেন, আমরা ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ১৩৬ যান ধ্বংস করেছি। এগুলোর কোনোটা আংশিক আবার কোনোটা পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে এসব যান ধ্বংস করা হয়েছে।


আরও খবর



দেশের ৫ প্রকল্পে এই অর্থায়ন

এডিবির সঙ্গে ১০৩ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের পাঁচ উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় ১০৩ কোটি ডলার ঋণ দিতে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা।

আজ মঙ্গলবার সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং এডিবির বাংলাদেশ অফিসের মধ্যে এই  ঋণচুক্তি হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইআরডির সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং।

এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আবাসিক গ্রাহকদের জন্য সাড়ে ৬ লাখ স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপনের একটি প্রকল্পে ২০ কোটি ডলার ঋণের একটি চুক্তি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে এর কাজ চলবে। গোপালগঞ্জে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগ কোম্পানির টিকা উৎপাদন কারখানা প্রতিষ্ঠায় ৩৩ কোটি ৬৫ লাখ ডলার ঋণের আরেকটি চুক্তি হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ এশীয় উপআঞ্চলিক সহযোগিতা কর্মসূচির ( সাসেক) অধীনে ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলে আধুনিক মহাসড়ক নির্মাণে ৩০ কোটি ডলার এবং বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যশোর ইউিনভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কম্পিউটার ও আইটি শিক্ষার প্রকল্পে ১০ কোটি ডলার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নয়নের একটি প্রকল্পে ৯ কোটি ডলার ঋণের চুক্তি সই হয়েছে।


আরও খবর
চার মাসে রাজস্ব আয় বেড়েছে ১৪.৩৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩