আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইতিহাসে আজকের এই দিনে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলি:

১৭৫৬ - লর্ড রবার্ট কাইভ মাদ্রাজ থেকে ৫টি যুদ্ধজাহাজে ৯০০ সৈন্য নিয়ে কলকাতা দখলের জন্য যাত্রা করে।

১৯০২ - হল্যান্ডের হেগ শহরে আন্তর্জাতিক আদালতের প্রথম বৈঠক বা এজলাস অনুষ্ঠিত হয়।

১৯১১ - চীনে দু হাজার বছরের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে।

১৯১৩ - পানামা খালের গাম্বোয়া বাধ ভেঙে আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগর একাকার হয়ে যায়।

১৯১৭ - জার্মানির বিরুদ্ধে ব্রাজিল যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯১৯ - পানামা খাল খনন শেষ হয় এবং একে উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়।

১৯৩২ - সোভিয়েত ইউনিয়নের নেভা নদীর উপর লেনিন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হয়।

১৯৪২ - কবি কাজী নজরুল ইসলাম মস্তিক ব্যাধিতে আক্রান্ত (মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি আর সুস্থ হননি) হন।

১৯৪৩ - চিয়াং কাই শেক চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

১৯৫৬ - মাদ্রাজ থেকে লর্ড ক্রাইভের কলকাতা দখল অভিযানের যাত্রা শুরু হয়।

১৯৫৯ - আজেন্টিনায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

১৯৬৪ - এশিয়ার প্রথম টোকিও অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৬৭ - প্রায় ১০০ দেশের মধ্যে মহাশূন্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

১৯৭০ - দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপ দেশ ফিজি দ্বীপপুঞ্জ ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৭১ সালেই এই দিনে দিনাজপুরের চড়ারহাট গ্রামে হানাদার বাহিনী মেতে ওঠে হত্যাযজ্ঞে। প্রায় শতাধিক মানুষকে গভীর রাতে ঘুম থেকে তুলে একত্রিত করে নির্মমভাবে হত্যা করে তারা। তাদের মধ্য থেকে গুলিবিদ্ধ ১১ জন প্রাণে বেঁচে গেলেও শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয় সেখানে। পাশের আন্দোল গ্রামটিও রেহাই পায়নি হানাদারদের হাত থেকে।

১৯৭২ - বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বশান্তি পরিষদের সর্বোচ্চ সম্মান জুলিও কুরি পদক প্রদান করা হয়।

১৯৮৬ - সালভাদের ভুমিকম্পে দুই সহস্রাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে।

১৯৯২ - থেকে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হচ্ছে।

১৯৯৭ - ফ্রান্সের ৪০ জাতি শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়।

জন্ম:

১৪৬৫ - প্রথম সেলিম, তিনি ছিলেন উসমানীয় খলিফা ও নবম উসমানীয় সুলতান।

১৬৮৪ - জাঁ-আন্টইনে ওয়াটেয়াউ, তিনি ছিলেন ফরাসি চিত্রশিল্পী।

১৭৩১ - হেনরি ক্যাভেন্ডিস, তিনি ছিলেন ফরাসি ইংরেজি রসায়নবিদ, পদার্থবিদ ও দার্শনিক।

১৮১৩ - জুসেপ্পে ভের্দি, তিনি ছিলেন ইতালীয় সুরকার।

১৮২৫ - পল ক্রুগার, তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনীতিবিদ ও ৫ম প্রেসিডেন্ট।

১৮৩০ - দ্বিতীয় ইসাবেলা, তিনি ছিলেন স্পেনের রানী।

১৮৪৪ - বদরুদ্দিন ত্যাবজী, তিনি ছিলেন অবিভক্ত ভারতের খ্যাতনামা বিচারপতি।

১৮৬১ - ফ্রিডটজফ নান্সেন, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নরওয়েজিয়ান এক্সপ্লোরার ও বিজ্ঞানী।

১৯০০ - হেলেন হায়েজ, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেত্রী।

১৯০১ - আলবার্তো গিয়াকোমেটি, তিনি ছিলেন সুইস ভাস্কর ও চিত্রকর।

১৯০৬ - আর. কে. নারায়ণ, তিনি ছিলেন ভারতীয় লেখক।

১৯০৮ - সবুর খান, তিনি ছিলেন রাজনৈতিক পার্লামেন্টারিয়ান।

১৯১২ - অনিল মুখার্জি, তিনি ছিলেন বাংলাদেশী লেখক ও রাজনীতিবিদ।

১৯১৩ - ক্লাউডে সাইমন, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মালাগাসি ফরাসি লেখক।

১৯১৬ - সমর সেন, তিনি ছিলেন ভারতীয় বাঙালি কবি ও সাংবাদিক।

১৯২৪ - এড উড, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৩০ - হ্যারল্ড পিন্টার, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্রিটিশ অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও নাট্যকার।

১৯৩০ - ইভস চাউভিন, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি রসায়নবিদ ও অধ্যাপক।

১৯৩৫ - খলিল আল-ওয়াজির, তিনি ছিলেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা।

১৯৩৬ - গেরহার্ড এরটল, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ।

১৯৩৭ - সিরাজুল ইসলাম, তিনি ছিলেন বাংলাদেশী মঞ্চ, বেতার ও টিভির সুপরিচিত অভিনেতা।

১৯৪১ - কেন সারো-ওয়িওা, তিনি ছিলেন নাইজেরিয়া লেখক ও সমাজ কর্মী।

১৯৫৪ - ফার্নান্দো সান্টস, তিনি সাবেক পর্তুগিজ ফুটবলার ও ম্যানেজার।

১৯৫৭ - রুমিকো তিনি তাকাহাশি, তিনি জাপানি লেখক ও অঙ্কনশিল্পী।

১৯৬৬ - টনি আলেকজান্ডার অ্যডামস, তিনি সাবেক ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড় ও ম্যানেজার।

১৯৭৪ - জুলিও রিকার্ডো ক্রুজ, তিনি সাবেক আর্জেন্টিনার ফুটবলার।

১৯৭৯ - নিকোলাস মাসু, তিনি চিলির টেনিস খেলোয়াড়।

১৯৮২ - ইয়াসির আল-কাহতানি, তিনি সৌদি আরব ফুটবল।

১৯৮৬ - এজেকিয়েল গারাই, তিনি আর্জেন্টিনীয় ফুটবলার।

১৯৯১ - জারদান শাকিরি, তিনি সুইস ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৯৪ - বায় সূজী, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার গায়ক, ড্যান্সার ও অভিনেত্রী।

মৃত্যু:

০০১৯ - গেরমানিকুস, তিনি ছিলেন রোমান জেনারেল।

০৬৪৪ - পলিনুস, তিনি ছিলেন ইয়র্কের আর্চবিশপ।

০৬৮০ - আল-হোসেইন ইবন আলী ইবন আবি তালিব, তিনি ছিলেন ফাতিমা জাহরা-এর পুত্র ও হাসান ইবন আলী-এর কনিষ্ঠ ভ্রাতা।

১৫৩৯ - নানক, তিনি ছিলেন প্রথম শিখগুরু।

১৬৫৯ - আবেল তাসমান, তিনি ছিলেন ডাচ বণিক ও এক্সপ্লোরার।

১৮২৭ - উগো ফস্কল, তিনি ছিলেন ইতালীয় লেখক ও কবি।

১৮৩৭ - চার্লস ফুরিয়ার, তিনি ছিলেন ফরাসি দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ।

১৮৭২ - উইলিয়াম এইচ. সেওারড, তিনি ছিলেন আমেরিকান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ২৪ তম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

১৯১৩ - জাপান কাতসুরা তারো, তিনি ছিলেন জাপানি রাজনীতিবিদ ও ৬ষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী।

১৯৬৩ - এডিথ পিয়াফ, তিনি ছিলেন ফরাসি গায়ক, গীতিকার ও অভিনেত্রী।

১৯৭১ - সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, তিনি ছিলেন একজন বাঙালি কথাশিল্পী।

১৯৮৪ - আবদুল করিম আমিরি ফিরুজকুহি, তিনি ছিলেন ইরানের প্রখ্যাত কবি, গবেষক ও অধ্যাপক।

১৯৮৪ - আয়াতুল্লাহ মীর্যা খলিল কামারেহয়ী, তিনি ছিলেন বিখ্যাত মুফাসসির ও অধ্যাপক।

১৯৮৫ - ইয়ুল বরয়নের, তিনি ছিলেন রাশিয়ান অভিনেতা।

১৯৮৫ - জর্জ অরসন ওয়েলস, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৯৪ - শেখ মোহাম্মদ সুলতান (এস এম সুলতান), তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশী প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী।

২০০০ - সিরিমাভো বন্দরনায়েকে, তিনি ছিলেন শ্রীলঙ্কার ৬ষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ।

২০০৪ - ক্রিস্টোফার রীভ, তিনি সুপারম্যান চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন।

২০০৫ - মিল্টন অবোটে, তিনি ছিলেন উগান্ডা রাজনীতিবিদ ও ২য় প্রেসিডেন্ট।

২০১০ - জোয়ান সুথেরলান্ড, তিনি ছিলেন অস্ট্রেলীয় সুইস সরু ও অভিনেত্রী।

২০১১ - জগজিৎ সিং, তিনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম গজল গায়ক।

২০১৫ - রিচার্ড এফ. হেক, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান রসায়নবিদ ও শিক্ষাবিদ।


আরও খবর
ইতিহাসে আজকের এই দিনে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

২৫ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪




সোমবার ঢাকা আসবেন কাতারের আমির, সই হবে ৬ চুক্তি ও ৫ স্মারক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানি। এদিন বিকেলে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সফরকালে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রীয় অতিথি কাতারের আমির শেখ তামিমকে অভ্যর্থনা জানাবেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে তার কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই নেতার বৈঠক হবে এবং এরপর আরও একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

পরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির। সেখানে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর শেষে আমির মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং রাষ্ট্রপতি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

এছাড়া মঙ্গলবার বিকেলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানীর একটি সড়ক ও একটি পার্কের নামকরণ করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় পার্ক এবং মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কের নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কাতারের আমির।

নির্বাচিত ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে একান্ত একটি বৈঠকও করবেন দেশটির আমির। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।

সরকার এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে কাতারের আমিরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাকে স্বাগত জানাতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। সফর উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের ছবি দিয়ে ঢাকার কয়েকটি রাস্তা সাজানো হয়েছে।

প্রায় ১৯ বছর পর বন্ধুপ্রতীম দেশ কাতারের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো ব্যক্তি ঢাকা সফরে আসছেন। ২০০৫ সালের এপ্রিলে কাতারের তৎকালীন আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আলে সানি বাংলাদেশ সফর করেন।


আরও খবর



শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে স্থায়ী জামিন চাইবেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চাইবেন বলে নিশ্চিত করে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। তাই এ মামলায় ড. ইউনূস মঙ্গলবার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চাইবেন।

ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মঙ্গলবার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে সাজার বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের আপিল শুনানি হবে বলেও জানান তিনি। সকাল ১০টার পর তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেন বলেও জানান এ আইনজীবী।

গত ৩ মার্চ ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।

ওইদিন পর্যন্ত চারজনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা। অপর তিনজন হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

আদালতে ওইদিন ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। এ সময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এই মামলায় ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।


আরও খবর



দ্রুত সময়ের মধ্যে মুজিবনগরে স্থলবন্দর হবে : জনপ্রশাসনমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

ঐতিহাসিক মুজিবনগরে স্থলবন্দরের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, স্থলবন্দরের জন্য আমাদের এপারে যেমনি সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে ওই দিকেও (ভারতের অংশে) সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, একটি স্থলবন্দর হতে গেলে দুই অংশের (বাংলাদেশ-ভারত) রাস্তাঘাট ঠিক করতে হয়। সেক্ষেত্রে আমরাও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা মুজিবনগর-দর্শনা সড়কটি প্রশস্ত করেছি। এখান থেকে অন্যান্য সংযোগ সড়কগুলোর ডিপিপি কার্যক্রম চলমান আছে।

স্থলবন্দরের জন্য দুদেশেরই কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, দ্বিপাক্ষিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিগগিরই স্থলবন্দর চালু হবে।

এর আগে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর জলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন। এরপর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন তিনি।


আরও খবর



বিজ্ঞান জাদুঘর ট্রাস্টি বোর্ডসভা: ৫০ প্রতিষ্ঠানকে ৬৫ লাখ টাকা অনুদান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের আওতাধীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়ন ট্রাস্টি বোর্ডের এক সভা বুধবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব ও জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী সভা সঞ্চালনা করেন। সভায় দেশের ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক বিজ্ঞান ক্লাবের জন্য ৬৫ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।

বোর্ডের সভাপতি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, গত ১৫ বছর যাবৎ বর্তমান সরকার মানুষের কল্যাণে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করছে। ট্রাস্টি বোর্ডের অনুদানের মাধ্যমে সরকার প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিজ্ঞান চর্চায় উদ্বুদ্ধ করছে। বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল, তা বাস্তবায়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তথ্য প্রযুক্তির সুবাদে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এখন সারা পৃথিবী অবলোকন করছে।

এছাড়া বিজ্ঞান জাদুঘরের মিউজিয়াম বাস ও মুভি বাসের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিজ্ঞান সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মানুষ তৈরি করা কঠিন কাজ। মানষিকতার পরিবর্তন ও সততা ছাড়া কোন জাতি এগোতে পারেনা। বিজ্ঞানের ব্যবহারিক শিক্ষার অংশ হিসেবে প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য এ অনুদান প্রদান করা হয়।


আরও খবর



অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কলেজ বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) জানিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর।

এতে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে শনিবার দুপুরে চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলবে স্কুল-কলেজ।

এর আগে তীব্র গরমের কারণে সাত দিন মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ছুটি ঘোষণা করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাউশির পক্ষ থেকে বলা হয়, সারাদেশের ওপর দিয়ে চলমান দাবদাহ ও আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা জারির প্রেক্ষিতে মাউশি অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল থেকে খোলার কথা ছিল।

দাবদাহের কারণে তিন দিন হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ শনিবার থেকে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। এ সময় সবাইকে গরম থেকে বাঁচতে সতর্কতার সঙ্গে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়।


আরও খবর