ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে স্পিড ব্রেকারের বেহাল দশা। ফলে মহাসড়কে বাস-ট্রাক চলাচল করে অনিয়ন্ত্রিত গতিতে। এতে যে কোন সময় সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার সময় ইবি প্রধান ফটকের সামনে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে একজন মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়। এছাড়া ১ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা: ছোয়া ঈসরাইল।
নিহত সাইফুল ইসলাম সুমন ঝিনাইদহর মহেশপুর উপজেলার মহিশাকুন্ডু গ্রামের আকুল মন্ডলের ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় রাজু মন্ডল নামে একজন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেল যোগে কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ যাচ্ছিলেন সাইফুল ইসলাম ও রাজু মন্ডল। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রধান ফটকের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে যায় মোটরসাইকেলটি। এসময় চলন্ত ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মোটরসাইকেলে থাকা দুইজনই মারাত্মকভাবে জখম হয়। পরে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নেয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার করেন। হাসপাতালে নেয়ার পথে মোটরসাইকেল চালক সাইফুলের মৃত্যু হয়।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা: ছোয়া ঈসরাইল জানান, হাসপাতালে আসার পূর্বেই সাইফুলের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুর্ঘটনায় বুকে আঘাত পেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ইয়ামিন মাসুম বলেন, এক্সিডেন্টের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। যিনি ভিক্টিম তাকে সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে করে ঝিনাইদহে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননূর যায়েদ বিপ্লব বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে এবং চালক পুলিশ হেফাজতে আছেন।