সিলেটের জৈন্তাপুর
উপজেলা পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।
চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের গণসংযোগ, উঠান
বৈঠক, মাইকিং আর বাড়িতে বাড়িতে কুশল বিনিময়ের মধ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী তৎপরতা।
জৈন্তাপুর উপজেলা
পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
পদে ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্ধন্দিতায় থাকলেও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল
আহমদ ও হোসেন আহমদ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
তাই এ পদে জৈন্তাপুর
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী (আনারস), আমেরিকা প্রবাসী আওয়ামী
লীগনেতা আবদুল গাফফার চৌধুরী খসরু (কাপ-পিরিচ), ইসমাইল আলী আশিক (দোয়াত কলম) প্রতিক
নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভোটারদের মতে,
এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতিকের ইসমাইল আলী আশিকের
নাম তেমন আলোচিত না হলেও ফ্রন্টলাইনে রয়েছেন আনারস প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী। তার সাথে আলোচনায় আছেন কাপ পিরিচ প্রতিকের প্রার্থী
আমেরিকা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল গাফফার চৌধুরী খসরু।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে
কথা হয় ভোটারদের সাথেও। আলুবাগানের রিসোর্ট ব্যবসায়ী রাজু আহমদ, আসামপাড়া মানিক চৌধুরী
হরিপুরের বাসিন্দা শামসুদ্দিন বলেন, এবারের নির্বাচনে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে
রয়েছেন আনারস প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী।
কারণ, তিনি জনগণের জন্য মাঠেঘাঠে সবসময় তাকে পাওয়া যায়। তাই আমরা আসন্ন নির্বাচনে তাকে
আনারস প্রতিকে ভোট দিবো।
ছাতারখাই দরবস্ত
এলাকার আব্দুস ছালাম বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমি আবদুল
গাফফার চৌধুরী খসরু ভাইকে কাপ পিরিচ প্রতিকে ভোট দিবো। বিপদে-আপদে আমরা তাকে পাশে পাই।
নাম প্রকাশ
অনিচ্ছুক জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে
অপরাপর প্রার্থীদের মতো বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমদ
প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়ায় শুরু থেকেই প্রচারণায় নজর কাড়ছেন লিয়াকত আলী। ইতিমধ্যে তার আনারস প্রতিকের পক্ষে
গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। নির্বাচনে দল মনোনীত প্রার্থী বা প্রতিক না থাকলেও দলের পরীক্ষিত
কর্মি এম লিয়াকত আলীর পক্ষে প্রকাশ্যে ও আড়ালে কাজ করছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ
ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।