আধিপত্য বিস্তার
নিয়ে সংঘর্ষে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৫ ডাকাতকে আটক করেছে
কোস্টগার্ড। একই সঙ্গে কবির ও সাহারাজ নামে দুই জলদস্যু মারা যাওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে
পড়েছে। এ দুইজনের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী পুলিশ সুপার
মোঃ শহিদুল ইসলাম দুইজন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যু
হয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে মৃত্যুর বিষয়টি
সঠিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেননি কোষ্টগার্ড। তবে স্থানিয়ভাবে মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক
আলোচনা রয়েছে। কোস্টগার্ড ঘটনাস্থল থেকে ৩টি একনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা গোলা ও
কিছু দেশীয় উদ্ধার করা হয়।
স্থানিয় সূত্রে
জানা গেছে, ডাকাতরা হলো উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন চর ঘাসিয়ার বাসিন্দা এবং ডাকাত ফখরুল
গ্রুপের সদস্য কবির ও সাহারাজ। এ দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে গুজব রয়েছে। অপরদিকে, আটককৃত
ডাকাতরা হলো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় বাসিন্দা জিন্টু (৩৬),হারুন (৩৭) লিটন (৩৫)
মোশারফ (৩৬) আজিম বেপারী (২৭)। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিয়া কোষ্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা
লেফটেন্যান্ট সাফিউল কিঞ্জল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ৫ ডাকাতকে আটক
করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর স্থানীয় সূত্র বলছে, ওই ঘটনায় দুই ডাকাত নিহত হয়েছে।
তবে আমরা ঘটনাস্থলে থাকাকালীন দুই ডাকাত নিহত হওয়ার কোন আলামত দেখতে পাইনি। অপর এক
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছে বলে স্থানীয়দের থেকে শুনেছেন,
তবে এর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার বিকেল
সোয়া ৩টার দিকে ৫ ডাকাত আটকের বিষয়টি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ড
সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি। তবে দুই ডাকাত
নিহতের বিষয়ে ওই বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বলা হয়নি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে
আরো বলা হয়েছে, নোয়াখালী জেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন হাতিয়া উপজেলার ঘাসিয়া চর একটি অপরাধ
প্রবণ অঞ্চল। ওই চরে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে ডাকাত খোকন গ্রুপ এবং ডাকাত
ফোকরা বাহিনী বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এমন খবর পেয়ে কোস্টগার্ড
দক্ষিণ জোনের তিনটি অভিযানিক দল ঘাসিয়ার চরে অভিযান চালায়। ডাকাত দল কোস্টগার্ডের উপস্থিতি
টের পেয়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে নৌকা যোগে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় কোস্টগার্ড তাদের ধাওয়া করে লক্ষীপুর জেলার
রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীর চর আবদুল্লাহ থেকে ৩টি একনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা গোলা,৬টি
রামদা ও ৫টি বল্লমসহ ডাকাত খোকন বাহিনীর ৫ সদস্যকে আটক করে। পরে জব্দকৃত অস্ত্রসহ ডাকাতদের হাতিয়া থানায় হস্তান্তর
করা হয়।
এ বিষয়ে
জানতে চাইলে হাতিয়া কোষ্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট সাফিউল কিঞ্জল বলেন,
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ৫ ডাকাতকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর
স্থানীয় সূত্র বলছে, ওই ঘটনায় দুই ডাকাত নিহত হয়েছে। তবে আমরা ঘটনাস্থলে থাকাকালীন
দুই ডাকাত নিহত হওয়ার কোন আলামত দেখতে পাইনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংঘর্ষে
দুই জন নিহত হয়েছে বলে শুনেছেন।