আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঘন কুয়াশার স্থায়ীত্ব নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের পূর্বাভাসে আগেই জানিয়েছিল যে, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে বাংলাদেশে ঘন কুয়াশা প্রবেশ করবে। সেই ঘন কুয়াশা ৩ থেকে ৫ দিন স্থায়ী হবার সম্ভাবনাও রয়েছে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, রোববার ভোর থেকেই উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও , নীলফমারীসহ পাশের জেলাগুলো ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে। এছাড়া ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতেও ঘনকুয়াশায় ছেয়ে গেছে। এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি অনেক জায়গায়।

আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আগামী ২ থেকে ৩ দিন কুয়াশা আরও বাড়বে। এতে তাপমাত্রা কমে শীতের অনুভূতি বাড়বে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও বলছে, আগামী অন্তত ৭ থেকে ১০ দিনে শৈত্যপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা তারা দেখছে না। ডিসেম্বরে এখনও শৈত্যপ্রবাহ হয়নি; তাই জানুয়ারিতে স্বাভাবিকভাবেই একটা শৈত্যপ্রবাহ হবে এমন প্রত্যাশা করা যায়। কিন্তু এখনও সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।


আরও খবর



ঢাকাসহ ৫ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

শনিবার (৪ মে) সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তিনি আরও জানান, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।


আরও খবর



১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪০৯৬ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধ পথে দেশে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার (প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে) পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৯৬ কোটি টাকার বেশি। এ হিসাবে গত ১৯ দিনে দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার বা ৭৪১ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে পুরো মাস শেষে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি এপ্রিল মাসের ১৯ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। তার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৩২ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা রয়েছে ৯টি। যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

এর আগে বিদায়ী মার্চ মাসের পুরো সময়ে বৈধ পথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স আসে। ওই মাসটির পুরো সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল এবং দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলার এবং শেষ মাস ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।


আরও খবর



উদ্বোধনের ৫ মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে চালু হয়নি ট্রেন

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উদ্বোধনের ৫ মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে ট্রেন চালু হয়নি। কবে নাগাদ ট্রেন চলাচল শুরু হবে তা এখনও অনিশ্চিত। ৮টি স্টেশন ও রেল ক্রসিংসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য জায়গায় এখনও জনবল নিযুক্ত করা হয়নি। এ অবস্থায় যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারছেন না প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই রুটে ট্রেন চালুর অপেক্ষায় রয়েছে মোংলা ও খুলনার ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করে। এরপর ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথভাবে ভার্চুয়ালি খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। কিন্তু এরপর ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি।   

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, এই রেলপথে ৮টি স্টেশন নির্মাণ করা হলেও সবগুলোতে এখনও আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম দেয়া হয়নি। রেল স্টেশন ও রেল ক্রসিংগুলোতে নিযুক্ত করা হয়নি কোনো জনবল। এছাড়া মোট কতটি ট্রেন চলবে, ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়া এখনও নির্ধারণ হয়নি।

খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম জানান, উদ্বোধনের সময় কিছু ফিনিশিং কাজ বাকি ছিল। সেগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে এখনও জনবল নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। এই রুটে পণ্য পরিবহনকে প্রাধান্য দেয়া হবে, সেই সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনও চলবে।

খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, খুলনা-মোংলা রেল লাইন এখন যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত। ঈদের পরে ট্রেন চলাচল শুরু করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। এই রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ভারতীয় দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টুবরো এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। ভারতের ঋণ সহায়তায় এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।

এই রেলপথে রূপসা নদীর উপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ৯টি স্থানে ভেইকেল আন্ডারপাস-ভিইউপি (রেল লাইনের নিচ দিয়ে যাওয়ার রাস্তা) নির্মাণ করা হয়েছে। ভিইউপি এর কারণে ট্রেন চলাচলের সময় রেল ক্রসিংগুলোতে যানবাহন আটকা পড়বে না। এছাড়া দুর্ঘটনারও ঝুঁকি থাকবে না। এই রেলপথে স্টেশন রয়েছে ৮টি। সেগুলো হলো ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, দ্বিগরাজ, কাটাখালি, চুলকাঠি, বাঘা ও মোংলা।

খুলনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, আমরা চাই দ্রুত এই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হোক। ট্রেন চালু হলে মোংলার সঙ্গে রেলপথে যাতায়াত সুবিধার পাশাপাশি আরও গতিশীল হবে মোংলা বন্দর। পর্যটকরাও খুলনা থেকে ট্রেনে করে সুন্দরবনে যেতে পারবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা সেতুর পর রেল সংযোগ মোংলা বন্দরের জন্য একটা আশীর্বাদ। এখন নদী ও সড়কপথে পণ্য বন্দরে আনা-নেয়া করা যায়। তবে রেলের মাধ্যমে কন্টেইনার পরিবহন সবচেয়ে সাশ্রয়ী একটা মাধ্যম। মোংলার সঙ্গে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের কন্টেইনার পরিবহন সহজ হবে। কমলাপুর আইসিডি ও ঢাকা থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য কন্টেইনারে মোংলা বন্দরে আনা-নেয়া সহজ হবে। মোংলা বন্দরে জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পাবে।


আরও খবর



এবার কুকি-চিনের সহযোগী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) লাল লিয়ান সিয়াম বম নামে এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতে রুমার বেথেল পাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। লাল লিয়ান জেলার সদর ইউনিয়নে ০৪ নং ওয়ার্ডের বেথেল পাড়ার মৃত থন আলহ বমের ছেলে।বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রায়হান কাজেনী বলেন, আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে রুমার সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ার ও কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৫ সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।

সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে প্রত্যেকটি জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীন।

উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল কেএনএফ রুমার সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে এবং পুলিশ ও আনসার সদস্যের ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং এরপর দিন থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ১৭ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ২০২২ সালে সশস্ত্র সংগঠন হিসেবে পাহাড়ে আত্মপ্রকাশ করে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।


আরও খবর



মেহেদির রঙ গাঢ় করতে চান? জেনে নিন কৌশল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আমাদের যেকোনো উৎসবের সঙ্গে মেহেদির সম্পর্ক প্রগাঢ়। মেহেদি পরতে ভালোবাসেন না এমন নারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর ঈদ এলে তো কথাই নেই। তাদের ঈদের কেনাকাটায় যে জিনিসগুলো না হলেই নয় তার মধ্যে একটি হলো মেহেদি। চাঁদরাতে ঘরে ঘরে নারীর হাতে মেহেদি পরার ধুম পড়ে যায় যেন। তবে অনেকে মেহেদি দেওয়ার পর মনের মতো রং আসে না বলে মন খারাপ করেন। কিছু উপায় মেনে চললে মেহেদির রঙ গাঢ় করা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক-

মেহেদির রঙ গাঢ় করার ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে চিনি এবং লেবুর রস ব্যবহার। মেহেদি যখন শুকিয়ে যাবে তখন লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে হাতে সেই মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর শুকিয়ে গেলে হাত মুছে নিতে হবে। এতে রঙ গাঢ় হবে, সেইসঙ্গে হবে দীর্ঘস্থায়ী।

মেহেদি ব্যবহারের আগে হাত-পা শেভ কিংবা ওয়াক্স করবেন না। ফলে ত্বকের উপরের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই পরে ওই ত্বকে মেহেদি ব্যবহার করলে গাঢ় রং পাওয়া যায় না। মেহেদি লাগানোর অন্তত ৩ থেকে ৪ দিন আগে এসব কাজ সম্পন্ন করুন।

মেহেদির রং গাঢ় করার ক্ষেত্রে লবঙ্গ কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমে একটি লোহার কড়াই চুলায় বসিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দিন। এরপর তাতে কয়েকটি লবঙ্গ দিন। কড়াই থেকে ধোঁয়া বের হলে তার ওপর আপনার হাত দুটি ধরে রাখুন। এতে মেহেদির রং সহজেই গাঢ় হবে। তবে সাবধান থাকুন, গরম কড়াই যেন হাতে না লাগে।

গাঢ় রং পেতে উৎসব বা অনুষ্ঠানের অন্তত ২৪ বা ৪৮ ঘণ্টা আগে মেহেদি ব্যবহার করুন। সেইসঙ্গে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ১২ ঘণ্টা মেহেদি হাতে রাখুন। তাহলেই পাবেন গাঢ় রং।

সরিষার তেল ব্যবহার করুন মেহেদির স্থানে। তারপর একটি ব্যান্ডেজ দিয়ে স্থানটি ঢেকে ঘুমিয়ে পড়ুন রাতে। সকালে দেখবেন মেহেদির রং অনেকটাই গাঢ় হয়েছে।

মেহেদি তুলে ফেলার পর হাত গরম রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় হাতে ভিক্স বা অন্য কোনো ব্র্যান্ডের সর্দি-কাশির বাম লাগিয়ে ঘুমাতে গেলে। এতে সারা রাত হাত গরম থাকবে। এরপর সকালে উঠে সুন্দর গাঢ় রঙ পাবেন। তবে হাতে বাম লাগানো অবস্থায় সেই হাত দিয়ে কোনো খাবার খাবেন না বা চোখে-মুখে ডলবেন না।

অন্যদিকে সাবান পানি দিয়ে কখনো মেহেদি তুলবেন না। এমনকি মেহেদি তুলে ফেলার পরও কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা ওখানে পানি লাগাবেন না।


আরও খবর