আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

এরশাদের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৪ জুলাই)। ২০১৯ সালের এই দিনে তিনি ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় পার্টির (জাপা) পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আজ সকাল ৯টায় কাকরাইলস্থ জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপর্ণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিকেল ৩টায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) মিলনায়তনে স্মরণসভা অনুষ্ঠান।

স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি। সভায় জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখবেন।

এ ছাড়া সারা দেশের ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা, মহানগর, জেলা ও বিভাগীয় কমিটি এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে ও আলোচনা সভার আয়োজন করবে।

আগামী ১৫ ও ১৬ জুলাই জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাধারণ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল নির্ধারণ

১৬ জুলাই দুপুর ১২টায় ঢাকা মহানগর উত্তর-এর আহ্বায়ক ও জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টুর উদ্যোগে মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট সংলগ্ন কার্যালয়ে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ করা হবে।

এ ছাড়া আগামী ২০ জুলাই বেলা ১১টায় হাজারীবাগ শাহজাহান মার্কেট চত্বরে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

রংপুরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ১৯৬৯ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়ে ১৯৭১-৭২ সালে সপ্তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তন করে ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি লাভ করেন তিনি। ওই বছরের আগস্টে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে তাকে সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে সেনাবাহিনীর প্রধান হন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ১৯৭৯ সালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন তিনি। দেশের একটি ঐতিহাসিক সংকটময় মুহূর্তে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। দীর্ঘ নয় বছর দেশ পরিচালনা শেষে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন।

দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। ১৯৯১ সালে গ্রেপ্তার হন তিনি। অন্তরীণ থাকা অবস্থায় ওই বছরই রংপুরে জাতীয় সংসদের পাঁচটি আসনে বিজয়ী হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। কারাগারে থেকেই ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিয়ে তিনি পাঁচটি আসনে জয়ী হন।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি পূরণে সহায়তা করতে মার্কিন ভিসানীতি

১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি জামিনে মুক্ত হন এরশাদ। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দল জাতীয় পার্টি ১৪টি আসনে জয়ী হয়। ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে মহাজোট গঠন করেন তিনি।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তার দল ২৭টি আসনে জয়ী হয়। এরপর দশম ও চলতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালনের মধ্যেই অসুস্থ হন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সিএমএইচে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন এবং শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।


আরও খবর



নিজেদের সব করোনা টিকা প্রত্যাহার করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এমন পরস্থিতি বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। দ্য টেলিগ্রাফের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিজেদের করোনা টিকা সারা বিশ্ব থেকে প্রত্যাহার করছে সংস্থাটি। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।

এতে জানানো হয়, বাজারে বর্তমানে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বৈশ্বিকভাবে টিকার আর সেই চাহিদাও নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়ার পর এক বছরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে পৃথিবীজুড়ে। এসব টিকার ডোজ প্রাণ বাঁচিয়েছে বিশ্বের ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষের।  কিন্তু বর্তমানে মূল করোনা ভাইরাসটি প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় এবং এটি থেকে উদ্ভূত অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলোও দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এসব টিকা এখন অতিরিক্ত। তাই সব টিকা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ বলছে, কোভিশিল্ড ও ভ্যাক্সজেভরিয়া নামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার টিকা সরবরাহ করেছে অক্সফোর্ডঅ্যাস্ট্রাজেনেকা। তবে, এই টিকা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ এসেছে অনেক। এই অভিযোগ মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে অনেক পরিবার।

তেমনই একজন জেমি স্কট। ২০২১ সালের এপ্রিলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা গ্রহণ করেন তিনি। পরে মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দেয়। জমাট বেঁধে যায় রক্ত। এ নিয়ে মামলা করেন তিনি।  একই অভিযোগে ব্রিটিশ হাইকোর্টে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রায় ১০ কোটি পাউন্ড দাবি করে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এরপরই যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করে, করোনার টিকার কারণে খুব বিরল টিটিএসের লক্ষণ দেখা যেতে পারে।


আরও খবর



ফের মিয়ানমারে ভারী গোলাবর্ষণ, কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের উত্তরে সুধাপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘাতের জেরে ব্যাপক ভারী গোলাবর্ষণ হচ্ছে। এর বিকট শব্দে কাঁপছে কক্সবাজারে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত। এতে সীমান্তঘেঁষা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার (১৩ মে) রাত থেকে মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ২টা পর্যন্ত টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাইট্যং পাড়া থেকে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ এলাকা পর্যন্ত নাফ নদীর বিভিন্ন সীমান্তে গোলাবর্ষণের বিকট শব্দ শুনেছেন তারা। এখনো মাঝে মধ্যে গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

 সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সাবরাং ইউনিয়নের আছারবনিয়া, ডেগিল্যারবিল, নয়াপাড়া ও শাহপরীরদ্বীপসহ কয়েকটি এলাকায় নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে। মাঝে মধ্যে ভারী গোলাবর্ষণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে এপারের সীমান্তের জনবসতিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

তিনি আরও বলেন, দুপুরে মিয়ানমার থেকে ভেসে আসা পর পর কয়েকটি ভারী গোলাবর্ষণের বিকট শব্দে শাহপরীরদ্বীপ সীমান্ত কেঁপে উঠলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এ সময় নাফ নদীর পাড়ে থাকা অনেককে নিরাপদে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের উত্তরে সুধাপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় আরাকান আর্মি ও দেশটির সরকারি বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। সেখানকার দখল-বেদখলের জেরে সংঘর্ষের কারণে বিস্ফোরণ ও গোলাবর্ষণে বিকট শব্দ ভেসে আসছে।

তবে নাফ নদী সীমান্তের অন্তত তিন কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষে বিবাদমান উভয়পক্ষের ছোড়া কোনো গোলাবারুদ এপারে আসেনি বলে জানান নুর হোসেন।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, সোমবার রাত থেকে টেকনাফ পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নের নাইট্যংপাড়া, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, কুলালপাড়া, নাজিরপাড়া, পল্লানপাড়া, কাঁয়ুকখালী পাড়া ও অলিয়াবাদসহ কয়েকটি এলাকায় থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

তিনি আরও বলেন, বিস্ফোরণের বিকট শব্দে সীমান্তে বসবাসকারী বাসিন্দাদের বসতঘর কেঁপে ওঠে। আতঙ্কে রাত কাটিয়েছেন তারা। এখনো বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসা অব্যাহত থাকায় স্থানীয়রা আতঙ্কে রয়েছেন।

বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটানিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাত মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ বিষয়। অনুপ্রবেশসহ সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

টেকনাফের ইউএনও আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তে উদ্ভুদ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিজিবি ও কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টরা সজাগ রয়েছে। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে যেন কোনভাবে অনুপ্রবেশ না ঘটে, এ ব্যাপারে সীমান্ত সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


আরও খবর



ঈশ্বরদীতে জমি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২১

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

পাবনার ঈশ্বরদীতে জমিজমা বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে খাইরুল ইসলাম (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২১ জন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ী আলহাজ্ব মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত খাইরুল ইসলাম চরগড়গড়ী আলহাজ্ব মোড়ের পশ্চিমপাড়ার মৃত নসিম উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। 

পুলিশ জানায়, জমি-জমার বিরোধ নিয়ে সাহাপুর ইউনিয়নের দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই দিন ধরে তাদের মধ্যে মারামারারি ঘটনা ঘটে। সেই বিরোধের জেরে বিকেলে তারা আবারও সংঘর্ষ জড়ায়। এতে ঘটনাস্থলেই খাইরুলের মৃত্যু হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলতে পারব।


আরও খবর



যশোরে গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি

Image

যশোরে ধান কেটে বাড়ি আসার পর আহসান হাবিব (৩৭) নামে একজন শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুবরণকারী শিক্ষক যশোর সদরের আমদাবাদ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক।

স্থানীরা বলছেন, হিট স্ট্রোকে তিনি মারা গেছেন। সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বলছেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া তাঁর মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম বলেন, আহসান হাবিব সকালে মাঠে ধান কেটে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসেই সকাল পৌনে ৯টার দিকে হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা এবং শরীর জ্বলে যাচ্ছে বলে কাতরাতে থাকেন। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আমাদের ধারণা, প্রচণ্ড তাপের কারণে হিট স্ট্রোকে তিনি মারা গেছেন। আসরের নামাজের জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হবে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আল হাসান জানান, হাসপাতালে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা সম্ভব নয়।

এদিকে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষক আহসান হাবিব মাদকাসক্তও ছিলেন। নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। ফলে তাপপ্রবাহে মাঠে কাজ করার প্রভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।


আরও খবর



গণমাধ্যমকর্মী আইন: অংশীজনদের মতামত নেওয়া শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলী) আইন, ২০২১ এর খসড়ার ওপর পুনরায় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও অংশীজনদের মতামত নেওয়া শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় মতামত নেওয়া শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।

সভায় মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনে শ্রম আইনের অধীনে সাংবাদিকদের প্রাপ্য সব ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। সংবাদকর্মীরা শ্রম আইনের আওতায় যে সুবিধাগুলো পায়, সে সুবিধাগুলোর শতভাগ সুরক্ষা প্রস্তাবিত আইনে আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে। যদি কোথাও ব্যত্যয় থাকে, সে জায়গা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রম আইনের অধীনে সংবাদমাধ্যমকর্মীরা যে সুরক্ষা পান, তার কোনও ব্যত্যয় বা ঘাটতি প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনে থাকবে না।

তিনি আরও যোগ করেন, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিতে গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। এ জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমকর্মী আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

সব অংশীজনদের সহযোগিতা ও মতামতের ভিত্তিতে গণমাধ্যমকর্মী আইন সুন্দর পরিসমাপ্তির দিকে যাবে বলেও এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। সাংবাদিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অন্য অংশীজনদের গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়ার ওপর লিখিত মতামত দেওয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ উল আলম, যুগ্ম সচিব মো. আসাদুজ্জামান, বেসরকারি টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এটকো) সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ফরিদ হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ওনাব) সভাপতি মোল্লাহ আমজাদ হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির সভাপতি একরামুল হক সায়েম, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. রেফায়েত উল্লাহ মীরধা, এনার্জি রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. শামীম জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ সংবাদপত্রের কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব মো. খাইরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মনজু, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মো. নুর হাকিম, জাস্টিস ফর জার্নালিস্টের সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর