আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম
দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের

এক লাখ মামলার জালে সরকার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সরকারের মাথার ওপর বছরের পর বছর ঝুলছে প্রায় এক লাখ (৯৪ হাজার ১৫০) মামলা। এসব মামলায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী বিষয়ের সঙ্গে রাষ্ট্রের কয়েক হাজার কোটি টাকার স্বার্থ জড়িত। রাষ্ট্রপক্ষের সক্রিয় উদ্যোগের অভাবে মামলাগুলো সহজেই নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এতে সুযোগ নিচ্ছে অনেক স্বার্থান্বেষী মহল। শুধু তাই নয়, অর্থসংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তারাও বিরোধী পক্ষকে সহযোগিতা করছেন-এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

এসব চক্র ভেঙে মামলা পরিচালনার যাবতীয় কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসাবে ইতোমধ্যেই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের আন্তঃমন্ত্রণালয়ের কমিটি কাজ শুরু করেছে। কমিটির প্রথম বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সব মামলার তথ্য একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনার নির্দেশ দিয়েছেন। এটি তৈরির প্রাথমিক কাজ চলছে। এতে প্রত্যেকটি মামলার প্রথমে থেকে সর্বশেষ সব তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করা হবে। সংশ্লিষ্ট মামলা নিয়ে আইন কর্মকর্তারা আপডেট থাকবেন। ফলে কেউ তথ্য গোপন করে আদালতকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।

সূত্র জানায়, সরকারের সব মন্ত্রণালয়-বিভাগ এবং ৬৪টি জেলার মামলা সম্পর্কিত সব তথ্য এখন মন্ত্রিপরিষদের হাতে। এর আগে সরকারি মামলা নিয়ে এত বড় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ৮ সচিবের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৯৪ হাজার ১৫০টি অনিষ্পন্ন মামলার তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার মামলাকে অতি গুরুত্বপূর্ণ মামলা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ মামলা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি মানদণ্ড ঠিক করা হয়েছে। এর মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ মামলার তালিকায় রয়েছে-আইন, অধ্যাদেশ, রাষ্ট্রপতির আদেশ, বিধি, প্রবিধি এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পরিপত্র ও নীতিমালাকে চ্যালেঞ্জ। আরও আছে-ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থানগত গুরুত্ব বিবেচনার সরকারি সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা। জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প, সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প, কেপিআই সংক্রান্ত মামলা। গণমাধ্যমে বহুল আলোচিত মামলাগুলোকেও অতি গুরুত্বপূর্ণ তালিকার মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অন্যদিকে ক্রয়, ইজারা, লিজ, নিলাম, ক্ষতিপূরণ, বকেয়া ও আর্থিক দাবি সংক্রান্ত মামলাগুলো সাধারণ তালিকায় থাকছে। তবে এগুলোর মধ্যে বিপুল আর্থিক মূল্য আছে-এমন মামলাকে গুরুত্বপূর্ণ তালিকায় রাখা হচ্ছে। এছাড়া চাকরি সংক্রান্ত ব্যক্তিগত প্রতিকার, উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর বিষয়ক মামলাগুলোকেও সাধারণ তালিকায় রাখা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৬ হাজার ৭৩টি মামলার বেড়াজালে আছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। অন্যদিকে মাত্র ২টি মামলা নিয়ে সর্বনিম্নে রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ। আর এক হাজারের বেশি মামলা আছে এমন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংখ্যা ১৬টি। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের মামলা ১১ হাজার ৪০৫টি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১১ হাজার ৩৮৬টি, জননিরাপত্তা বিভাগের ৫ হাজার ৩৮টি, অর্থ বিভাগের পাঁচ হাজার ১০টি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৪ হাজার ৬০৩টি। এর বাইরেও হাজারের বেশি মামলা থাকা দপ্তরগুলোর মধ্যে রয়েছে, রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশন, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এতদিন সরকার সংশ্লিষ্ট মামলা ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় কোনো উদ্যোগ ছিল না। মন্ত্রণালয়গুলো নিজস্ব উদ্যোগে মামলা পরিচালনা করে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মামলা সংক্রান্ত জ্ঞানের অভাব, অবহেলা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে মামলার বিপক্ষ পার্টির কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে কেউ কেউ সরকারকে মামলায় হারিয়ে দেওয়ার মতো কাজ করছেন বলে অভিযোগ আছে। তাই মামলা সংক্রান্ত অব্যবস্থাপনা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ এই উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইন অনুবিভাগ। অন্যদিকে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ফোকাল পয়েন্ট অফিসার ঠিক করে দেওয়া হবে। যিনি ওই মন্ত্রণালয়ের মামলা সংক্রান্ত সব কাজে সহযোগিতা করবেন। অন্যদিকে সলিসিটর উইংয়ে একেকজন অফিসারকে কয়েকটি করে জেলার দায়িত্ব দেওয়া হবে। যাতে মাঠ প্রশাসন থেকে আসা মামলার বিষয়গুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হয়। অভিযোগ আছে সরকারি স্বার্থসংশ্লিষ্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার তথ্য সলিসিটর উইং থেকে উধাও হয়ে যায়।

আরও জানা গেছে, মামলার তথ্য পাওয়ার প্রক্রিয়াটিও অনেক কঠিন ছিল। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে আইন অনুবিভাগকে অগুরুত্বপূর্ণ করে রাখা হয়েছে। এই জায়গায় কাজ করা বেশির ভাগ অফিসারই ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেন না। অনেকে মামলা সংক্রান্ত কাজের প্রক্রিয়াও বোঝেন না। এ কারণে তথ্য পেতে সমস্যা হয়েছে। অবশেষে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইন অনুবিভাগ তালিকা তৈরি করেছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক হাজার ৯৯৭টি মামলাকে চিহ্নিত করে বিশেষ উদ্যোগের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। গত বছর আগস্টে এ সংক্রান্ত উদ্যোগ প্রথম নেওয়া হয়েছিল। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে তখন আর এগোয়নি।

জানা গেছে, পুরোনো অনেক মামলায় নতুন দায়িত্ব নেওয়া অফিসারদের বিব্রত হতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি পক্ষের সঠিক উদ্যোগের অভাবে মন্ত্রণালয়ের সচিবদের আদালত অবমাননার মুখে পড়তে হয়। এগুলোর মূল কারণ মামলা সংক্রান্ত তথ্য ঠিকভাবে আদালতে না যাওয়া। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এই উদ্যোগটিতে সফটওয়্যারের মাধ্যমে মামলার হালনাগাদ তথ্য জানা থাকলে এসব ঘটনা ঘটবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠকে কমিটির বেশির ভাগ সদস্য উপস্থিত থাকলেও অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন না। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে কোনো প্রতিনিধি পাঠানো হয়নি। সরকারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলা নিষ্পত্তির জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠকে এই অফিসের প্রতিনিধি না থাকায় বৈঠকে সংশ্লিষ্টরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল সরকারের প্রতিনিধি। তিনি বা তার অফিসের কোনো প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত থাকলে মামলা সংক্রান্ত কার্যক্রম নিষ্পত্তি বেগবান হতো।

সংশ্লিষ্টদের মতে, সরকারি স্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলায় সরকার পক্ষে যারা আইনজীবী থাকেন তারা সামান্য সম্মানী পান। অন্যদিকে সরকারের বিপক্ষ পার্টি বিপুল টাকা বিনিয়োগ করেন। ফলে অনেক মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী, অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিসের কেউ কেউ ম্যানেজ হয়ে যান। ফলে জনস্বার্থ রক্ষা পায় না। তাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ উদ্যোগটি সফল হলে এ ধরনের চাতুরতা ধরা পড়বে। অন্যদিকে সরকার পক্ষের আইনজীবীদের সম্মানী বাড়ানোর বিষয়েও মত দেন বৈঠকে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা।

নিউজ ট্যাগ: মামলার রায়

আরও খবর



ঈদযাত্রায় ভোগান্তি নেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদযাত্রা শুরু হলেও পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌপথে যাত্রী ও যানবাহনের তেমন চাপ নেই। লঞ্চঘাটেও ভিড় নেই যাত্রীদের। ঘাটে আসার পরপরই যাত্রী ও যানবাহনগুলো ফেরিতে উঠে নদী পারাপার হচ্ছে।

তবে রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেল থেকে এ ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুর আগে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ। ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষের যাতায়াতের এ পথে ফেরি পারাপারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে ভোগান্তির শিকার হতেন। ঈদের সময় সেই দুর্ভোগ বেড়ে যেতো কয়েকগুণ। পদ্মা সেতু চালুর পর কমেছে ভোগান্তি; স্বস্তি ফিরেছে ঘাট দিয়ে যাতায়াতকারীদের।

এখন বেশিরভাগ যানবাহন পদ্মা সেতু ব্যবহার করলেও কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, যশোর, মাগুরা, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর বেশ কিছু পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাক এ নৌপথে চলাচল করছে। সাধারণ সময়ে দেড় থেকে দুই হাজার যানবাহন পারাপার হলেও ঈদ ঘিরে দ্বিগুণ হয়েছে। তবে এবার ভোগান্তি ছাড়াই পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঈদে যাত্রী ও যানবাহন নির্বিঘ্নে পারাপারের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিনটি ঘাট প্রস্তুত আছে। পাশাপাশি ১৫টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যানবাহনের বাড়তি চাপ কমাতে ঈদের তিনদিন আগে ও পরে বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার।

তিনি আরও বলেন, ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতে পারাপার হচ্ছেন। কারও কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না।


আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলমান দাবদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে ৭ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, তীব্র গরমের কারণে ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

এর আগে সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, গরমের কারণে স্কুল শুরুর আগে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। কিন্তু ক্লাস চলমান থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

রমজান, ঈদ ও বৈশাখের টানা ২৬ দিনের ছুটি কাটিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ছিল। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ছুটি আরও বাড়ানোর দাবি জানায় অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।


আরও খবর



৯ মাসে মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

দৃঢ় নেতৃত্বে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত বছরগুলোর প্রতিকূলতা কাটিয়ে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। চলতি বছর ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার প্রেক্ষিতে চলতি হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটন হাই-টেকের মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা বা ২০৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ব্যাপক বৃদ্ধিসহ আর্থিক প্রায় সব সূচকেই উন্নতি হয়েছে।  

ওয়ালটন হাই-টেকের চলতি হিসাববছরের জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৮তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাববছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬২.৩৪ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৪৯.৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০৫ শতাংশ।

এদিকে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪) ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৪২১.৯৮ কোটি টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৩৫.৫৫ কোটি টাকা।

বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কস্ট অব গুড্স সোল্ড উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির মোট মুনাফার শতকরা হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের। তাছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.১৭ টাকা; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮.২৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির এনএভিপিএস পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২৫৮.২২ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫৯.৬৮ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২.৮৮ টাকা।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রথম নয় মাসে বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৬.১৪ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪.৭৯ শতাংশ।

এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি ৩৯২.৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়ে মাত্র ৪১.৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৩.০৭ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া, শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন ২০২৪) কোম্পানির মুনাফা আরো দৃঢ় অবস্থানে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওয়ালটন ম্যানেজমেন্ট। 


আরও খবর



৯ মে পর্যন্ত চুয়েট বন্ধ, খোলা থাকবে হল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর আন্দোলন থেকে এসেছে শিক্ষার্থীরা। এর পর আগামী ১১ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এই সময়ে শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর প্রাণহানি হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। গত বুধবার ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চুয়েটের মূল ফটকের সামনে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। এরপর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ সময় তারা জানান, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসচালককে গ্রেপ্তার করার দাবি ছিল। সেই দাবি পূরণ হয়েছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তহবিল গঠন করবে, যেখানে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা- কর্মচারীরা সহযোগিতা করবেন। তাছাড়া চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই সড়কটি প্রশস্ত করার কাজও দ্রুত শুরু করা হবে। এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হবে বলে আশ্বাস পেয়েছেন তারা। এসব দাবি পূরণ কিংবা আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



২ বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল বাফেলো শহর

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ২ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় উত্তাল নায়াগ্রা ফলসখ্যাত বাফেলো শহর। রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিক্ষুব্ধ প্রবাসীদের তোপের মুখে পড়েন বাফেলো শহরের মেয়র ও পুলিশ কমিশনার।

স্থানীয় সময় দুপুরে নামাজের পর হাজারো মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে জড়ো হন বাফেলো মুসলিম সেন্টারে। বিক্ষুব্ধ প্রবাসীরা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

এ সময় স্থানীয় বাফেলো শহরের মেয়র বায়রন ব্রাউন ও পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রামাগলিয়া জনতার তোপের মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা প্রতিবাদ সমাবেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

ঘটনার একদিন পর সন্দেহভাজন বন্দুকধারী দুর্বৃত্তের ছবি প্রকাশ করলেও তার নাম পরিচয় জানাতে পারেনি বাফেলো পুলিশ। অপরাধীকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

এদিকে নিহত বাবুল মিয়ার পাঁচ মাসের অন্তস্বত্ত্বা স্ত্রীর আহাজারিতে নিউইয়র্কের বাফেলো শহরের আকাশ-বাতাস যেন ভারী হয়ে ওঠেছে। অভিবাসন নিয়ে বছর খানেক আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন নুসরাত জাহান। স্বামীকে হারিয়ে তিনি এখন দিশেহারা। এই পৃথিবীতে নিকট আত্মীয় বলে তার আর কেউ রইল না। কিভাবে সন্তানকে মানুষ করবেন তিনি? গর্ভের সন্তানের ভবিষ্যত-ই বা কী হবে?

বাবুল মিয়ার স্ত্রী নুসরাত জাহান বলেন, আজকে আমি এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি যেখানে আমি আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ দেখতে পাই না। আমার স্বামীকে যারা এই নৃশংসভাবে বিদায় করে দিল তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

থমথমে পরিবেশ গুলিতে নিহত অপর বাংলাদেশি আবু সালেহ ইউসূফের বাড়িতে। জনশূন্য মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য ছেড়ে বাংলাদেশিদের সঙ্গে থাকবেন বলে মাত্র সাত মাস আগে ইউসূফও এসেছিলেন নিউইয়র্কের বাফেলোতে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হতে হলো তাকে। ইউসূফের স্ত্রী এখন সন্তানদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। স্বপ্নের যুক্তরাষ্ট্র যেন দিনদিন দু:স্বপ্ন হয়ে উঠছে অভিবাসীদের জন্য।

নিহত আবু সালে ইউসূফের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী কোনো অপরাধ করেনি। যারা আমার সন্তানদের এতিম করলো আমি তাদের বিচার চাই। আমেরিকান সরকারের কাছে আমারদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাই।


আরও খবর