আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

এবার নিষিদ্ধ হলো অনন্য মামুনের মেকআপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সেন্সর বোর্ড থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে অনন্য মামুন পরিচালিত চলচ্চিত্র মেকআপ। সিনেমা শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষকে বাজেভাবে উপস্থাপনের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন বোর্ডের সদস্য ও প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু।

তিনি বলেন, এই চলচ্চিত্রে সিনেমা শিল্পের মানুষকে খুবই খারাপভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা কখনও কাম্য নয়। তাই সেন্সর বোর্ড সদস্যদের সম্মতিক্রমে সিনেমাটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন নির্মাতা চাইলে এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে আপিল বিভাগে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।

এ বিষয়ে অনন্য মামুন বলেন, এখনও নিষিদ্ধ করার লিখিত নোটিশ হাতে পাইনি। চিঠি হাতে এলে এ বিষয়ে মন্তব্য ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

নিউজ ট্যাগ: মেকআপ

আরও খবর



সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ধোঁয়া দেখলেই পানি স্প্রে

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া এলাকায় লাগা আগুন নেভানোর কাজ দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে আগুন নেভানোর কাজ করছেন বনবিভাগ, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। এখন শুধুমাত্র কোথা থেকে সামান্য ধোঁয়া বের হলে ওই স্থানটি দেখা হচ্ছে।

সোমবার (৬ মে) সকাল ৮টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মো. নুরুল করিম।

এদিকে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ সহকারী বনসংরক্ষক রানা দেব জানান, গত রাত ১টা পর্যন্ত বনবিভাগ এককভাবে আগুন নেভাতে পাম্প মেশিন দিয়ে পানি স্প্রে করেছে। এর ফলে এখন আর কোথাও তেমন একটা আগুন দেখা যাচ্ছে না। যেখানে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে সেখানেই পানি দেওয়া হচ্ছে। নিয়ন্ত্রিত আগুন পুরোপুরি নেভাতে সোমবার সকাল ৭টা থেকে বনবিভাগের সহায়তায় কাজ শুরু করেছেন নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আগামী আরও দুইদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখে পানি ছিটানো হবে। তবে আপাতত আর ভয়ের কোনো কারণ নেই। কারণ, আগুন যাতে আর ছড়াতে না পারে সেজন্য রোববার ফায়ার লাইন কেটে সেখানে পানি দিয়ে রাখা হয়েছে। আর আগুনের অস্তিত্ব তেমন একটা নেই, শুধু কিছু কিছু জায়গায় ধোঁয়া রয়েছে।

রোববার (৫ মে) বিকেলে প্রধান বনসংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সন্ধ্যায় বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২০ সদস্যের সমন্বয়ে পৃথক ২টি টিম করে দেন। আর তারই পরামর্শে রাতে আগুন নেভাতে পানি স্প্রে করে বনবিভাগ। কারণ, রাতে আগুন ভালো দেখা যায়, তাই আগুন দেখে দেখে পানি দেওয়ায় রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

উল্লেখ্য, শনিবার (৪ মে) দুপুরে সুন্দরবনের আমরবুনিয়ার লতিফের ছিলা এলাকায় আকস্মিক এ আগুন লাগে।

নিউজ ট্যাগ: সুন্দরবনে আগুন

আরও খবর



গণমাধ্যমকর্মী আইন: অংশীজনদের মতামত নেওয়া শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলী) আইন, ২০২১ এর খসড়ার ওপর পুনরায় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও অংশীজনদের মতামত নেওয়া শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় মতামত নেওয়া শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।

সভায় মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনে শ্রম আইনের অধীনে সাংবাদিকদের প্রাপ্য সব ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। সংবাদকর্মীরা শ্রম আইনের আওতায় যে সুবিধাগুলো পায়, সে সুবিধাগুলোর শতভাগ সুরক্ষা প্রস্তাবিত আইনে আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে। যদি কোথাও ব্যত্যয় থাকে, সে জায়গা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রম আইনের অধীনে সংবাদমাধ্যমকর্মীরা যে সুরক্ষা পান, তার কোনও ব্যত্যয় বা ঘাটতি প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনে থাকবে না।

তিনি আরও যোগ করেন, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিতে গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। এ জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমকর্মী আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

সব অংশীজনদের সহযোগিতা ও মতামতের ভিত্তিতে গণমাধ্যমকর্মী আইন সুন্দর পরিসমাপ্তির দিকে যাবে বলেও এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। সাংবাদিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অন্য অংশীজনদের গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়ার ওপর লিখিত মতামত দেওয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ উল আলম, যুগ্ম সচিব মো. আসাদুজ্জামান, বেসরকারি টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এটকো) সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ফরিদ হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ওনাব) সভাপতি মোল্লাহ আমজাদ হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির সভাপতি একরামুল হক সায়েম, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. রেফায়েত উল্লাহ মীরধা, এনার্জি রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. শামীম জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ সংবাদপত্রের কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব মো. খাইরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মনজু, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মো. নুর হাকিম, জাস্টিস ফর জার্নালিস্টের সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বিকেলে দুবাই পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি আজ রোববার সকালে পারস্য উপসাগরের কাসাব উপকূল অতিক্রম করছে। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী বৈশ্বিক সংস্থা মেরিন ট্রাফিক এ তথ্য জানিয়েছে। জানা গেছে, দুবাই পৌঁছার পর জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হবে। আর কয়লা খালাসের পর জাহাজটি চট্টগ্রামে চলে আসতে পারে।

মেরিন ট্রাফিকের তথ্য বলছে, এমভি আবদুল্লাহ গতকাল রাতে ওমান সাগর পারি দিয়ে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করে। জাহাজটি ঘণ্টায় ৯ দশমিক ৩ কিলোমিটার গতিতে দুবাইয়ের দিকে আগিয়ে যাচ্ছে। জাহাজটির অবস্থান ও গতিবেগ অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় আজ বিকেল ৪টার মধ্যে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে।

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ গণমাধ্যমকে জাহাজের ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। দুবাই পৌঁছানোর পর নাবিকদের দুইজন ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন কয়লা খালাসের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাহাজ নিয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে দুবাই বন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করে। এর আগে হেলিকপ্টার দিয়ে দস্যুদের কাছে ডলার পাঠানো হয়েছিল। ডলার পাওয়ার পরই জাহাজ ও জিম্মি ২৩ নাবিককে মুক্তি দেয় দস্যুরা।


আরও খবর



‘আমার পিতা দেশ ছেড়ে পালাননি, আমিও পালাবো না’

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ উল্লেখ করে সবসময় তাদের পাশে থাকার কথা বলেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নিজ এলাকা আনোয়ারায় টানেল-মুখ সড়কে ঈদ পুনর্মিলনী ও বর্ষবরণ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার পর তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসেছিলেন। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। আমিও বলবো, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ।

প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের মেয়ে ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, আমরা পিতা কখনও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। আমিও পালাবো না। আমি ১০ বছর এমপি ছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারও এমপি করেছেন, অর্থ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন। আনোয়ারায় রাস্তা করলে রাস্তা কেটে দিতো, নামফলক ভেঙে দিতো।

ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের শিখিয়েছেন উন্নয়নের রাজনীতি। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেশের জনগণের তদারক করার অধিকার আছে। প্রতিটি কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না, সেটা অবশ্যই জনগণ পাহারা দেবে। জনগণকে বলবো, কাজে ফাঁকিবাজি করতে দেবেন না। সরকারের অর্থ আপনাদেরও অর্থ। নিজেকে দুর্বল ভাববেন না। ভদ্রতাকে কেউ দুর্বলতা ভাববেন না। নিজেদের মধ্যে কোন্দল থাকলে দুষ্টুরা সুযোগ নেয়। সে সুযোগ দেবেন না।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা জিয়াউদ্দিন বাবলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, দক্ষিণের সহ সভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দিন, বিএমএর চট্টগ্রামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মাহমুদ, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক, জেলা পরিষদের সদস্য ইসলাম আহমেদ।


আরও খবর



সড়ক দুর্ঘটনায় এপ্রিলে ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সড়ক দুর্ঘটনায় এপ্রিল মাসে দুই হাজার ১১৯ কোটি ১১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। রবিবার (১২ মে) সংগঠনটি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

গত এপ্রিল মাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৭২টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭৯ জন আর আহত হয়েছেন ৯৩৪ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ৯৩ জন এবং শিশু ১০৮।

সংগঠনটি বলেছে, বিদায়ী মাসটিতে ৩১৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৫৯ জন নিহত হন, যা মোট প্রাণহানির ৩৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৭ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১১৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট প্রাণহানির ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯৬ জন, যা মোট মৃত্যুর ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।

এই সময়ে সাতটি নৌ-দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ৬৮ জন আহত হয়েছেন (একটি লঞ্চে আগুন ধরলে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে ৬০ জন আহত হয়েছেন)। ৩৮টি রেল দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়- মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২৫৯ জন (৩৮.১৪ শতাংশ), বাসের যাত্রী ৩৪ জন (৫ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-ডাম্প ট্রাক আরোহী ৬৫ জন (৯.৫৭ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-পাজেরো জিপ আরোহী ৪৫ জন (৬.৬২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১৩১ জন (১৯.২৯ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-পাওয়ারটিলার) ২২ জন (৩.২৪ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা আরোহী ১০ জন (১.৪৭ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২৩৫টি (৩৪.৯৭ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২৬৬টি (৩৯.৫৮ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৮৭টি (১২.৯৪ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৭৯টি (১১.৭৫ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং ৫টি (০.৭৪ শতাংশ) অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনাসমূহের ১৭৪টি (২৫.৮৯ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৬২টি (৩৯ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১২০টি (১৭.৮৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৯৭টি (১৪.৪৩ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৯টি (২.৮২ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।


আরও খবর