মোহাম্মদ খোরশেদুজ্জামান মামুন। বয়স মাত্র
২১ বছর। বাবা-মায়ের বড় আদরের ছেলে ছিল সে। তাকে ঘিরে বাবা-মায়ের কতো শত আশা ছিল। স্বপ্ন
ছিল। কিন্তু তাদের সেই আশা আর স্বপ্ন নিভে গেছে। দুবাইয়ে আলনাদা স্থানে হিট স্ট্রোক
করে তাদের আদরের ছেলে মামুনের জীবনপ্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছে চিরতরে। গত ২২শে জুলাই দুবাইয়ে
একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শে বাসায় বিশ্রাম নিলে মামুনের
নিজ কর্মস্থলে বাসায় মারা যায়। তার মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মৃত্যুর ৭ দিন পর বৃহস্পতিবার সকালের দিকে
ঢাকার হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ফ্লাইটে মামুনের লাশ দেশে এসে পৌঁছায়।
সেখান থেকে স্বজনরা আছরের দিকে মামুনের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
বাড়িতে লাশ পৌঁছার পর এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের
অবতারণা হয়। এ সময় বাবা-মা আর স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। গতকাল মাগরিবের নামাজের পর
মামুরখাইন শাহী জামে মসজিদ ময়দানে জানাজা শেষে মামুনের লাশ দাফন করা হয়।খোরশেদুজ্জামান
মামুন উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের মামুরখাইন গ্রামের মোহাম্মদ নুরুল আবছারের ছেলে।
মামুনের চাচা হাসান জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী
জানান, মামুনকে তিনি কোলেপিঠে করে মানুষ করেছেন। মামুন তাদের বড় আদরের ভাতিজা ছিল।
তার মৃত্যুতে তাদের পরিবারের শোকের ছায়া নেমেছে। তিনি মামুনের আত্মার মাগফেরাতের জন্য
সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।