আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

দিনাজপুরে ৪ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

লিচুর রাজ্য দিনাজপুর জেলায় এবার ৪ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রসালো ফল লিচু অনেকের কাছে রসগোল্লা হিসেবে পরিচিত। জেলার সব কয়েকটি উপজেলায় দিন-দিন লিচু বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিটি লিচু গাছে শোভা পাচ্ছে থোকায়-থোকায় মুকুল।

সদর উপজেলার মাসিমপুর গ্রামের লিচু বাগানের মালিক গোলাম মোস্তফা জানায়, প্রতিবছর দিনাজপুর লিচু জেলা হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় পরিচিতি রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত লিচু সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই লিচু সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তার নিজের দেড় একর জমির উপর লিচুর বাগান রয়েছে। তার বাগানে ১৩৭টি লিচুর গাছ রয়েছে। এর মধ্যে ৫২টি দিনাজপুরে সনামধন্য বেদনা লিচুর গাছ। অপর ৮৫টি মাদ্রাজী, বোম্বাই ও স্থানীয় জাতের কাঠালী লিচু রয়েছে।লিচু গাছে খুব ভালোভাবে মুকুল এসেছে। কোন প্রকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার বাম্পার লিচুর ফলন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তার বাগান নিজে পরিচর্যা করছেন। লিচুর ফলন ধরে রাখতে গাছে ভিটামনি জাতীয় স্প্রে করছেন। তার সাথে বাগানে সেচ দিয়ে গাছের গোড়া ঠিক রাখছেন।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে ফল নিয়ে গবেষণা নিয়োজিত কৃষিবিদ সহকারী পরিচালক আশরাফুল ইসলাম জানান, গত বছর প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণে আবহাওয়া খারাপ থাকায় জেলায় চায়না-৩ লিচু হয়নি। এবার লিচু চাষিদের আগাম পরামর্শ দিয়ে চায়না-৩ লিচু বাগানে গাছের গোড়ায় গোবর সার ও পানি সেচ দিয়ে এই লিচুর গাছগুলোতে পর্যাপ্ত খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্য লিচুর মুকুল বছরে বসন্তের ফাল্গুন মাসের আগে মুকুল আসে। চায়না-৩ ফাল্গুন মাসে প্রথম সপ্তাহ শেষে মুকুল আসতে শুরু করে। তিনি সদর উপজেলা ও পাশবর্তী বিরল উপজেলায় গত কয়েকদিন বাগান গুলো পরিদর্শন করেছেন। এবারে চায়না-৩ লিচুর গাছে মুকুল আসছে। বাম্পার ফলন জাতে পাওয়া যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে লিচু বাগান মালিকদের পরার্মশ দেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, সরকার দিনাজপুরে সুস্বাদু লিচু পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতে রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লিচুর ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই জেলাতে লিচু চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও প্রকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবারও দিনাজপুরে রেকর্ড পরিমাণ লিচুর ফলন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান মিয়া জানান, চলতি বছরে দিনাজপুর জেলায় ৪ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানকার লিচু সুস্বাদু ও মিষ্টি হওয়ায় দেশব্যাপী এর চাহিদা রয়েছে। এবার দিনাজপুরের লিচু পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতে রফতানি করা হবে। লিচু গাছে মুকুল এসেছে। আশা করা হচ্ছে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার ফলন আরো ভালো হবে। লিচু বাগান মালিকদের লিচুর মুকুল আসার পূর্ব থেকে তাদের ভালো ফলন পেতে কৃষি বিভাগ থেকে মাঠ কর্মীদের মধ্যে পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করা হচ্ছে। লিচুর ফলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কৃষি বিভাগ বাগান মালিকদের সহযোগীতা করবেন এবং কর্মকর্তারা তদারকি চালাবেন।

সূত্রটি জানায়, দিনাজপুরের লিচুর মধ্যে চায়না-৩, বেদেনা, বোম্বাই ও মাদ্রাজি ও কাঠালী উল্লেখয্যেগ্য। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে এবার এসব প্রজাতির লিচুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকেরা। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দিনাজপুরের প্রতিটি বাড়ির বসতভিটায় বা আঙিনার লিচু গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। মুকুলের সঙ্গে ফুলে-ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন আর ঝিঁ-ঝিঁ পোকার ডাকে এলাকা মুখরিত হতে শুরু করেছে। লিচু বাগানগুলোতে ফুল আসা থেকে লিচু নামানো পর্যন্ত ৩-৪ মাস লিচু বাগানের সঙ্গে সম্পৃক্তদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। ফুল আসার ১৫ দিন আগে এবং ফুল আসার ১৫ দিন পরে সেচ দিতে হয়। সেই অনুযায়ী গাছে মুকুল আসার সঙ্গে সঙ্গেই মুকুলকে টিকিয়ে রাখতে লিচু চাষি ও ব্যবসায়ীরা স্প্রে করে চলছেন। এছাড়াও মুকুল যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি ও সার দেয়া হচ্ছে।

দিনাজপুরের যেসব স্থানে লিচু চাষ হয় তার মধ্যে সদর, বিরল, চিরিরবন্দর, বীরগঞ্জ, খানসামা, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, নবাবঞ্জ ও ঘোড়াঘাট উপজেলা বিখ্যাত।

দিনাজপুর বিরল উপজেলার লিচু চাষি মতিউর রহমান জানান, লিচুর ফুল আসা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই পরিচর্যা শুরু করে দিতে হয়। নিয়মিত স্প্রে ও সেচ দেয়া শুরু হয়েছে। লিচু গাছগুলোতে ফুল আসতেই গত কয়েকদিন আগে থেকেই রাজশাহী, রংপুর, চট্রগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার লিচু ব্যবসায়ীরা আসতে শুরু করেছেন। তারা আগাম লিচু বাগান ক্রয় করছেন।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সাফয়েত হোসেন জানান, কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছেন। কোন সময়ে কোন কীটনাশক, বালাইনাশক ব্যবহার করা উচিত সে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাম্পার লিচুর ফলন অর্জিত করার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ লিচু বাগান মালিকদের সহযোগীতা দিয়ে যাচ্ছেন।


আরও খবর



জনবহুল পয়েন্টে খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ নগরজীবন। প্রকৃতি পুড়ছে গ্রীষ্মের খরতাপে। দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে নগরজীবন। তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠেছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অসহনীয় গরম আর দাবদাহে বিমর্ষ এখন প্রাণ-প্রকৃতি।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করছে ঢাকা ওয়াসা।

ঢাকা ওয়াসার উপ-প্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার গ্রাহকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বা শরীরে পানি শূন্যতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ঢাকা মহানগরীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। গ্রাহকদের প্রয়োজনে পানি সেবা নিয়ে পাশে থাকছে ঢাকা ওয়াসা। আর এ সেবা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চালু থাকবে।


আরও খবর



সকালে ৩৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ‘ফিলস লাইক’ ৪২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে সোমবার (২৯ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছিল, আজ মঙ্গলবার গরমের তীব্রতা বেশি থাকবে। বাতাসে জ্বলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে অস্বস্তিও বেশি বিরাজ করবে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র গরম অনুভূত হতে দেখা গেছে। সকাল ১০টায় গুগল সার্চ ইঞ্জিনে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেখালেও ফিলস লাইক’-এ দেখাচ্ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি হলেও গরম অনুভূত হচ্ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৫৫ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৩ কিলোমিটার।

বেশিরভাগ মানুষ গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সহায়তায় তাপমাত্রা দেখেন। তবে গুগলে তাপমাত্রা দেখার সময় দুই রকম তথ্য সামনে আসে। নির্দিষ্ট এলাকার তাপমাত্রা জানতে সার্চ করলেই বিরাজমান তাপমাত্রা বড় করে দেখানো হচ্ছে। বড় অক্ষরে লেখা ওই তাপমাত্রার নিচে ছোট করে লেখা থাকে ফিলস লাইক’...। যেটি মূলত অনুভূত হওয়া তাপমাত্রা নির্দেশ করে। কোনো এলাকায় তাপমাত্রা যদি ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে ফিলস লাইক’-এ তার চেয়ে তিন থেকে চার ডিগ্রি বেশি দেখানো হয়।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা যেভাবে তাপমাত্রা রেকর্ড করি তাতে ফিলস লাইক’ বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ, আমরা সরাসরি রোদের মধ্যে তাপ মাপি না। আমরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত পদ্ধতিতে তাপমাত্রা রেকর্ড করি। স্বীকৃত পদ্ধতি হলো স্টিভেনসন স্ক্রিনের মাধ্যমে তাপমাত্রা রেকর্ড করা। সে পদ্ধতিতে থার্মোমিটার থেকে বাতাসের তাপমাত্রা নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, যদি আমরা সরাসরি রোদের তাপমাত্রা রেকর্ড করতাম, তাহলে প্রকৃত তাপমাত্রা আরও বেশি হতো। রোদে গেলে যেটা ফিল’ হচ্ছে সেটাকেই গুগল ফিলস লাইক’ বলছে। এছাড়া বর্তমানে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। এজন্য গরমে বেশি অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



প্রাইভেট হাসপাতালের রোগ নির্ণয় পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হবে

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করে দেশের সকল প্রাইভেট হাসপাতালের রোগ নির্ণয় পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, গাজীপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেসা  মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালকে কিভাবে আরো সচল করা যায়, মানুষজন কিভাবে সহজে সেবা নিতে পারে সে বিষয়ে আমরা কাজ করবো। গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হোসেন পাপন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব মেডিকেল কলেজের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মাদ নুরুল হক, জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, জেলা সিভিল সার্জন মাহমুদা আক্তার।

এর আগে হাসপাতালের নারী ও পুরুষ ওর্য়াড পরিদর্শন করে চিকিৎসাধীন রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে ১৫০০ কোটি টাকা টোল আদায়ের মাইলফলক

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পদ্মা সেতু চালুর পর গত ২২ মাসে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি টোল আদায় করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১২টা এ টোল আদায়ের মাইলফলক অর্জিত হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে গত ২২ মাসে ১ হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ সময়ে সেতু দিয়ে মোট ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি যান চলাচল করেছে। এর মধ্যে মাওয়া দিয়ে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২ এবং জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে।

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ৯ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পদ্মা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। ওই দিন দুই প্রান্ত দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি গাড়ি পারাপার হয়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পরদিন থেকেই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সেতুটি। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা এবং দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।


আরও খবর



ঢাকার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভবন সিলগালার নির্দেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার 'অধিক ঝুঁকিপূর্ণ' ৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন ৭ দিনের মধ্যে খালি করে সিলগালার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

রাজউকের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশ করে মাউশি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন 'আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প: রাজউক অংশ' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ঢাকার সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থার 'অধিক ঝুঁকিপূর্ণ' ভবন ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়।

এ তালিকার মধ্যে মাউশির আওতাধীন ৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে।

'অধিক ঝুঁকিপূর্ণ' শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, তেজগাঁও মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, আজিমপুরের অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাড্ডার আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ।


আরও খবর