আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

ধর্ম পরিচয় নিয়ে দ্বন্দ্ব, ২৩ দিন ধরে হিমাগারে লাশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

চট্টগ্রামের কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া মনসা বাদামতলা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক যুবকের। লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় মর্গে। এরপর বাধে ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে দ্বন্দ্ব। নিহত যুবক হিন্দু না মুসলিম, তাকে সৎকার করা হবে নাকি কবর দেওয়া হবে এই বেড়াজালে আটকে ২৩ দিন ধরে চমেকের হিমঘরে পড়ে আছে ২৯ বছর বয়সী ওই যুবকের মৃতদেহ।

২৯ জানুয়ারি দুপুরে তেলবাহী লরিচাপায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তার। একই ঘটনায় রউফুল হাসান নামে আরো এক যুবক গুরুতর আহত হয়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন তিনি।

নিহত যুবকের পরিবার শুরু থেকেই দাবি করে আসছিল রতন দাস সনাতন ধর্মের অনুসারী ছিলেন। তাই হিন্দু ধর্মের নিয়ম মেনে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে চায় তারা। কিন্তু তার সহপাঠীদের দাবি, রতন ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের লালখান বাজার এলাকার একটি মাদরাসায় মাওলানা হারুন এজাহারের কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাদের দাবি, এর পর থেকে তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন ও ইসলাম ধর্মের সব নিয়ম-কানুন মেনে চলতেন। তাই মুসলিম হিসেবে তার লাশ দাফন করতে আগ্রহী সহপাঠীরা।

বিষয়টি প্রমাণ করতে সব ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন হাফেজ ক্বারী আকরাম হোসাইন। এখন আদালতের রায়ের অপেক্ষায় নিহত যুবকের পরিবার ও সহপাঠীরা।

হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবকের নাম রতন দাস (২৯)। বাড়ি মিরসরাই উপজেলার পূর্ব মায়ানী গ্রামে। তার বাবার নাম মনো দাস ও মায়ের নাম সন্ধ্যা রানী দাস। রতন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ায় ধর্ম পরিবর্তনের পরও মাকে নিয়ে নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।

হলফনামাটির বিষয়ে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহত যুবক দুই বছর আগে মুসলিম হিসেবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নাম পরিবর্তন করে আহমাদ হয়েছেন। যার নোটারি নম্বর- ১১০৫৪৪। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার ছবিও রয়েছে। হলফনামামূলে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট সম্পাদন করেছি।

নিহত যুবকের সহপাঠী শফিউল বাশার বলেন, সে (রতন) ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর বলে গেছে- যদি কখনো আমার আগে তার মৃত্যু হয় তাহলে মুসলিম হিসেবে দাফন করতে। বিষয়টি আদালতে প্রমাণ করতে আমরা সব কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। দুই-এক দিনের মধ্যে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে বিষয়টি প্রমাণ করব।

নিহতের মা সন্ধ্যা রাণী দাস বলেন, পৃথিবীর এমন কোনো আইন নেই মায়ের কাছ থেকে তার ছেলেকে আলাদা করার। আমি মহামান্য আদালতের কাছে আশা করছি আমার ছেলের লাশ আমার কাছেই ফিরিয়ে দেবেন।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পটিয়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক রুহুল আমিন বলেন, লাশটি বিগত ২৩ দিন পর্যন্ত হাইওয়ে থানার দায়িত্বে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিমাগারে রয়েছে। তদন্ত শেষ পর্যায়ে। দ্রুত রিপোর্ট আদালতে উপস্থাপন করব। আদালতের সিদ্ধান্তে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

৩০ জানুয়ারি পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রটেট বিশ্বেশ্বর সিংহ ধর্ম শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত মৃতদেহ চমেক হাসপাতালের হিমাগারে রাখার নির্দেশ দেন। ২ মার্চের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন তিনি।


আরও খবর



আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের হোতা গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুর থেকে চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধারসহ আন্তজেলা পেশাদার মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্যতম হোতা নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এক প্রেস ব্রিফিংএ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ১৯মার্চ পিরোজপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডর সুন্দরবন কুরিয়ার সংলগ্ন সাংবাদিক জিয়াউল হক এর বাড়ির সামনে থেকে একটি কালো রংয়ের একটি মোটরসাইকেল অজ্ঞাতনামা চোর চুরি করে নিয়ে যায়। চুরি যাওয়ার পর মোটরসাইকেলটির মালিক মোঃ মাইনুর ইসলাম বাদি হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এর পরেই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করার জন্য পিরোজপুর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযানে নামে। গোয়েন্দা পুলিশ পিরোজপুর শহরে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরপর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা জেলার সাভার থানা এলাকা থেকে চোরচক্রের সদস্য বাদশা ফরাজিকে গ্রেফতার করে। পরে বাদশা ফরাজির দেয়া তথ্যানুসারে গতকাল ১২ এপ্রিল শুক্রবার নারায়নগঞ্জ, রুপগঞ্জ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা পেশাদার মোটরসাইকেল চোরচক্রের অন্যতম হোতা ও বহু মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মোঃ সেলিম খান (৪৪) কে গ্রেপ্তার করে। সেলিম নারায়ণগঞ্জ এর রুপগঞ্জ এলাকার গাফফার খানের ছেলে। পরবর্তীতে সেলিমকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে টাইঙ্গাইল জেলার সদর থানা এলাকার রাবনা বাইপাস এলাকা থেকে চোরাই যাওয়া কালো রংয়ের Apache 4V 160cc মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।

আসামী সেলিমকে গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, মাগুরা, ঢাকা, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল সহ বিভিন্ন জেলা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে থাকে। মোটরসাইকেল চুরি করে চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রয়লব্দ টাকা দিয়ে মাদক ক্রয় বিক্রয় ও পাচার করে থাকে। ইতোমধ্যে তাদের দুই সদস্য আশুলিয়া থানা ও টাইঙ্গাইল সদর থানায় বিপুল পরিমানে মাদক সহ গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছে।

এ ব্যাপারে পিরোজপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) বলেন,  আসামীর নিকট থেকে আমরা পুরো চক্রের সদস্যদের তথ্য পেয়েছি। তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমাদের পিরোজপুর ডিবি টিম অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আসামী সেলিম খান এর নামে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানায় একটি চুরির মামলা, সিরাজগঞ্জ জেলার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় একটি মাদক মামলা, ঢাকা জেলার ধামরায় থানায় একটি মাদক মামলার তথ্য পাওয়া যায়।

নিউজ ট্যাগ: পিরোজপুর

আরও খবর



জয়পুরহাটে হত্যার ২১ বছর পর ১৯ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের আব্দুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ২১ বছর পর রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে মামলার ১৯ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জজকোর্টের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) উদয় সিংহ রায়।

তিনি বলেন, পাঁচবিবি উপজেলার আব্দুর রহমান হত্যা মামলার রায়ে ১৯ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।


আরও খবর



ঈদ যাত্রায় ঢাকা ছাড়তে ৯৮৪ কোটি টাকার অতিরিক্ত ভাড়া গুনবেন যাত্রীরা

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নাড়ির টানে ঈদে ঢাকা ও আশেপাশের অঞ্চল থেকে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। এই ঈদযাত্রায় কেবল ঢাকা ছাড়তেই ৯৮৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে এসব যাত্রীদের। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে এই তথ্য উঠে এসেছে।

রবিবার (৭ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এই তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, তাদের গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটির সদস্যরা গত ৩ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা থেকে দেশের সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশ পথে ঈদযাত্রা পরিস্থিতি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী সেবার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, কিছু অসাধু বাস মালিক-চালকেরা ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য মেতে উঠেছে। সড়ক ও নৌ-পথের বিভিন্ন টার্মিনালে ভিজিল্যান্স টিমের অস্থায়ী অফিসে সদস্যরা বসে থাকলেও তারা এসব দেখার বা প্রতিকার করার প্রয়োজন মনে করছে না।

ভিজিল্যান্স টিমের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনও যাত্রী অভিযোগ দিলে তারা ব্যবস্থা নেবেন। যাত্রীরা জানাচ্ছেন, ভিজিল্যান্স টিমের সদস্যদের সামনে ভাড়া নৈরাজ্য চললেও তারা দেখেও না দেখার ভান করে আছেন। তাদের জানিয়ে আর কী লাভ হবে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি যাত্রী নৌ-পথে পরিবহন হবে। ঢাকার সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরসহ বিভিন্ন ঘাট দিয়ে প্রায় ৬০ লাখ যাত্রী দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাবেন। যাত্রীপ্রতি গড়ে ৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। গড়ে যাত্রী প্রতি ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া আদায় হলে ঈদের আগে এসব যাত্রীর কাছ থেকে ১২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।

রাজধানীতে চলাচলকাররী সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য মেতে উঠেছে। ঈদে কেনাকাটা, বিভিন্ন টার্মিনালে যাতায়াতের পাশাপাশি দৈনন্দিন নানা কাজে এসব অটো ব্যবহার করতে গিয়ে প্রত্যেক যাত্রীকে গড়ে প্রতি ট্রিপে ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ঈদে আগে রাজধানীতে চলাচলকারি ২৫ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় প্রায় ৭০ লাখ ট্রিপ যাত্রীকে ১৪০ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

ইজিবাইক, মোটররিকশা, প্যাডেল চালিত রিকশা ঈদ বকশিসের নামে যাত্রীপ্রতি গড়ে ২০ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, রাজধানীতে চলাচলকারি প্রায় ১০ লাখ ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, প্যাডেল চালিত রিকশায় ১৪ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে। এই যানবাহনে যাত্রীদের ২৮০ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

লেগুনা, দুরন্ত, দিগন্ত নানা নামে পরিচিত রাজধানীতে চলাচলকারী ৭ হাজার হিউম্যান হলারে ঈদের আগে প্রায় ৮০ লাখ ট্রিপ যাত্রীকে ঈদ বকশিসের নামে গড়ে প্রায় ২০ টাকা ভাড়া বাড়তি দিতে হবে। সেই হিসেবে ঢাকার লেগুনায় কেবল ১৬ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া আদায় হবে।

এবারের ঈদে লম্বা ছুটির কারণে ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত পরিবহন প্রাইভেটকার, জিপ ও মাইক্রোবাসের প্রায় ৩০ লাখ যাত্রীর যাতায়াত হচ্ছে। এসব যানবাহনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিজেদের পরিবহন ব্যবহার করলেও ১৫ লাখ যাত্রীকে ভাড়ায়চালিত যানবাহনে ঈদে বাড়ি যেতে ট্রিপ প্রতি গড়ে ৩৫০০ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই হিসেবে এই পরিবহন ব্যবহারকারী যাত্রীদের ১১২ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

এবারের ঈদে ঢাকা থেকে বাসে দূরপাল্লার রুটে ৩০ লাখ যাত্রীর যাতায়াতে যাত্রী প্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই হিসেবে বাসের যাত্রীদের ৯০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।

প্রতিবছর ঈদে ঢাকা মহানগরীতে চলাচলকারি সিটি সার্ভিস বাসগুলো ঈদের ২ দিন আগে থেকে যেকোনও গন্তব্যে গেলে ঈদ বকশিসের নামে ৫০ টাকা হারে যাত্রীর মাথাপিছু ভাড়া আদায় করে থাকে। এবারও ঈদের আগের ২ দিনে ঢাকার ৪ হাজার সিটি বাসে ৪৮ লাখ ট্রিপ যাত্রীর কাছ থেকে গড়ে মাথাপিছু ৩০ টাকা হারে বাড়তি নিলে এইখাতে ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা যাত্রীদের বাড়তি গুনতে হবে।

গণপরিবহন সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, সঠিক সময়ে টিকিট না পাওয়া, যানজটসহ নানান ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে এবারের ঈদে প্রায় ১২ লাখ যাত্রী মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। তাদের ৩০ শতাংশ নিজেদের বাইক ব্যবহার করছেন। অন্যরা রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলে যাত্রীপ্রতি গড়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০০ টাকা বেশি ভাড়া দিচ্ছেন। এতে ৮ লাখ ৪০ হাজার মোটরসাইকেল যাত্রীদের ২৫ কোটি ২০ টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

এবারের ঈদে অতিরিক্ত কোচ, ঈদ স্পেশাল হিসেবে অতিরিক্ত রেল রেক যুক্ত করার পরে ঢাকা ৭ লাখ যাত্রী দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন। দৈনিক ৪০ হাজার যাত্রী নিয়মিত টিকিটের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিটসহ ৪৬ হাজার টিকিটধারী যাত্রী হিসেবে ১ সপ্তাহে ৩ লাখ ২২ যাত্রী রাজধানী ছাড়বেন। এর বাইরে ট্রেনের ছাদে, ইঞ্জিনে, দুই বগির মাঝে, কোচের ভেতরে বিনা টিকিটে যাতায়াত করবে আরও প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার যাত্রী। এত বড় সংখ্যক যাত্রী বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণে কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের রাজস্ব হারালেও চলমান ট্রেনে কর্মরত টিটিই, গার্ড, সরকারি-বেসরকারি স্টুয়ার্ড, বেসরকারি কেন্টিন অপারেটরের লোকজন, ট্রেনে দ্বায়িত্বরত জিআরপি, এনআরবি ও স্টেশনে দ্বায়িত্বরত টিকিট চেকারদের যাত্রী প্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ঘুস দিতে হবে।


আরও খবর



শাশুড়ির করা পর্নোগ্রাফি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জাবি শিক্ষিকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে মানহানির অভিযোগে শাশুড়ির করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভাষা কোর্সের খন্ডকালীন শিক্ষিকা গুলশান আরা। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজের আদালত আস সামছ জগলুল হোসেন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করার মতো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

গুলশান আরার আইনজীবী আল মামুন রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুধুমাত্র হারিয়ে যাওয়া সিমের (মোবাইল সিম) কারণে এই মিথ্যা অভিযোগের মামলায় উনি (গুলশান আরা) ফেঁসে যান। শ্বশুরবাড়ির পরিকল্পিত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় উনাকে ফাঁসানো হয়েছিল। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন, কিন্তু কোনো ফরেনসিক রিপোর্ট প্রদান করেননি। আমরা আদালতে তার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, একটি ফেসবুক আইডি থেকে ২০২২ সালের ৯ মে বাদীর মেয়ের (আসামির ননদ) নগ্ন ছবি বাদীর মেয়ের বান্ধবীর মেসেঞ্জারে পাঠানো হয়। এডিট করে এ নগ্ন ছবি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি বাদীর। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ওই ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারীর হুমকি দেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিগুলো ছড়িয়ে দেবেন।

পরে বাদী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ফেসবুক আইডিটি তার পুত্রবধূ গুলশান আরার। পরে তিনি এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানায় মামলা করেন।

২০২৩ সালের ৩০ মে মামলাটি তদন্ত করে গুলশান আরাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল পারভেজ।


আরও খবর



যুদ্ধজাহাজের পাহারায় দুবাইয়ের পথে ২৩ নাবিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে মুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিপণ দেওয়ার পর নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এখন দুবাইয়ের  আল হারমিয়া বন্দরের দিকে রওনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় একাধিক যুদ্ধজাহাজের পাহারায় রয়েছে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি। দুবাই পৌঁছানোর পর জাহাজের দায়িত্ব নেবে নতুন নাবিক দল। দুবাই পৌঁছাতে নাবিকদের আরও পাঁচদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া নাবিক মো. শামসুদ্দিন।

শামসুদ্দিনের বোন জামাই বদরুল হক বলেন, শামসুদ্দিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সব নাবিক সুস্থ আছে। এখন এমভি আব্দুল্লাহর পাশাপাশি একাধিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। শামসুদ্দিন জানিয়েছে, দুবাই পৌঁছাতে আরও পাঁচদিন লাগতে পারে।

আরেক নাবিক হোসেন মো. সাজ্জাদের ভাই মো. মোশাররফ  বলেন,  আমি শুনেছি দুবাই আসার পর নতুন নাবিকেরা জাহাজের দায়িত্ব নেবে। জিম্মি ২৩ নাবিক সেখান থেকে বাংলাদেশে ফিরবেন। সে (নাবিক সাজ্জাদ) আম্মাকে বলেছে, জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের জন্য দোয়া করতে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর