টানা দাবদাহের
পর অবশেষে বহুল প্রত্যাশিত বৃষ্টির দেখা মিলেছে। প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় তাপমাত্রা
চরমে থাকার পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কয়েক জেলায় বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। মুষলধারে না
হলেও এই বৃষ্টি জনজীবনে খানিকটা স্বস্তি এনেছে।
আজ বৃহস্পতিবার
সকালে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ,
চাপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুরসহ কয়েক জেলায় বৃষ্টি পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কোথাও পাঁচ
মিনিট, কোথাও আধঘণ্টা। আপাতত এতেই সন্তুষ্ট মানুষ। কারণ, এ বৃষ্টিতেই কিছুটা পরম শান্তির
আভাস পেয়েছে তারা।
গতকাল দুপুরের পরই রাজধানীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতে থাকে। যদিও তাপমাত্রা খুব বেশি কমেনি। এদিন বিকাল সোয়া ৪টা থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর উত্তরায় বৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ু নিউইয়র্কে
গতকাল দুপুর আড়াইটার পর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের আকাশে কালো মেঘের পর শুরু হয় বৃষ্টি। চাপাইনবাবগঞ্জে গতকাল বুধবার দুপুর ৩টার দিকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। ১৫ মিনিটের বৃষ্টিতে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। দীর্ঘদিনের গরমের পর সামান্য বৃষ্টিকেই তারা পরম পাওয়া মনে করছেন।
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো গত কয়েকদিন গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দিনাজপুরের জনজীবন। সেখানেও বৃষ্টির দেখা মিলেছে। গতকাল দুপুরের দিকে প্রায় ১৭ মিনিট ধরে বৃষ্টি হয়েছে জেলার কিছু কিছু এলাকায়। এতে স্বস্তি বোধ করছে মানুষ।
আরও পড়ুন: তীব্র তাপদাহের মধ্যে সুখবর দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
এদিকে, চলমান
দাবদাহের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার দেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে
আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে দিয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাসও।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার যানজট
গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় জানানো হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।