আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঢাকার রাস্তায় ঈদের আমেজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রমজানের ২৭তম দিন আজ (বুধবার)। ঈদের কয়েকদিন বাকি থাকলেও এরইমধ্যে ফাঁকা হয়ে গেছে রাজধানী। প্রধান সড়কগুলোতে আগের মতো চিরচেনা যানজট নেই। অনেক সিগন্যালে নেই পুলিশ, যেখানে আছে সেখানে বসে সময় পার করছেন। অন্যদিকে রাজধানী থেকে বের হওয়ার মুখ গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান ও সদরঘাটে মানুষ ও গাড়ির চাপ কিছুটা বেশি।

ট্রাফিক পুলিশরা বলছেন, বিকেলে যানজট কিছুটা বাড়তে পারে। মানুষ শপিং করতে বের হবে। যারা উত্তরবঙ্গ হয়ে উত্তরাঞ্চল, সদরঘাট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যাবেন তারা বিকেলে বের হবেন। সেই সময় রাস্তায় চাপ বাড়লেও জ্যাম হওয়ার শঙ্কা নেই।

রাজধানী ব্যস্ত সড়ক বিজয়সরণী মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন শওকত আলী। তিনি বলেন, সকাল থেকে রাস্তায় গাড়ির চাপ নেই। আমাদের কোনো সিগন্যাল আটকাতে হচ্ছে না। রাস্তা ফাঁকা হওয়ায় চালকরা নিজেরাই সিগন্যাল থামছে ও যাচ্ছে। অন্যান্য বছর ঈদে এক বা দুইদিন আগে রাস্তা ফাঁকা হলেও এবার তিনি চারদিন আগেই ফাঁকা হয়ে গেছে।

ব্যস্ত আরেকটি সড়ক কারওয়ান বাজার মোড়। এই মোড়ে দায়িত্বপালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ মোড়ে সাধারণত ৭ জন সদস্য দুইজন সার্জেন্টের দায়িত্ব থাকলেও আজ দুইজন আছি, তাও বসে আছি। রাস্তায় গাড়ির চাপ নেই বললেই চলে। বিকেলে গাড়ির চাপ বাড়লেও আগের দিনের মতো জ্যাম হবে না।

এদিকে রাজধানী থেকে বের হওয়ার প্রধান টার্মিনাল, সায়েদাবাদ, গাবতলী, মহাখালী, সদরঘাট, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তানের রাস্তায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চাপ বাড়ছে। বিকেলে এ চাপ আরো বাড়তে পারে বলে ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী শনি বা রোববার (২২ বা ২৩ এপ্রিল) দেশের মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আজ বুধবার পবিত্র শবে কদরের সরকারি ছুটি। সেই হিসেবে বৃহস্পতিবার সরকারি অফিস খোলা থাকার কথা। কিন্তু ২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতাবলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই ঈদুল ফিতরের আগে শেষ কর্মদিবস মঙ্গলবার। মানুষ টানা ৫দিন ছুটি পাওয়ায় ধীরে ধীরে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার বিকেল ও বুধবার সকাল থেকে বাড়ি যাওয়ার চাপ বেড়েছে।


আরও খবর



প্রবাসে নিয়ে দালালের হাতে বিক্রি, দেশে ফেরাতে পরিবারের আকুতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে পাথরঘাটার একাধিক ব্যক্তিকে প্রবাসে পাঠিয়ে দালালের হাতে বিক্রি করেছে প্রতারক আ. জলিল চৌধুরী। সৌদিতে থাকা সন্তানদের ফিরে পেতে বরগুনার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১ টায় পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সৌদি আরব থেকে সদ্য ফিরে আসা ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানসহ ফোরকানের বাবা আ. কাদের, সুমনের বাবা শাহ আলম, ইমরানের মা শাহিনুর বেগম, মামুনের বাবা আবুল হোসেনসহ ৬ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলো।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মামুন মিয়া, মো.সুমন, ইমরান ও ফোরকানকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা করে নিয়ে বিদেশে পাঠায় পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা প্রতারক আ. জলিল চৌধুরীর। সৌদি আরব যাওয়ার পরে একের পর এক দালাল বিক্রি করে তাদের। সেখানে কাজ না দিয়ে আটকে রাখা হয় তাদের।

তারা আরো জানান, পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক লোককে সৌদি আরব পাঠিয়ে ৭০ লাখ টাকারও বেশি আত্মসাৎ করেছে জলিল। প্রবাসে পাঠাতে অনেকে ঋণ, ধার কর্জ এবং জমি বিক্রি করে পরিবার গুলো এখন প্রায় নিঃস্ব। দেশে টাকা পাঠানো দূরে থাক সেখানে নিজেরাই খেতে পারছে না।

ফোরকানের বাবা আ. কাদের বলেন, আমি ও ছেলে রিকশা চালাতাম অনেক কষ্ট করে জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠাই। আজ বাবায় বড় কষ্টে আছে।

সৌদি থেকে সদ্য দেশে আসা মিজানুর রহমান বলেন, অঙ্গীকার অনুযায়ী বিদেশে যাওয়ার পর ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ইকামা না দেয়ার কারনে ওই দেশের পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ. জলিল চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, আমি সরকারের নিয়ম মেনেই তাদের বিদেশে পাঠিয়েছি। শর্ত অনুযায়ী তাদের ভিসা এবং কাজ দিয়েছি। কাজ না করে যদি দেশে চলে আসে এর দায়ভার তো আর আমি নিব না।

তিনি আরও বলেন, তাদের ছাড়াও অনেক মানুষকে আমি বিদেশে পাঠিয়েছি তারা তো ঠিকঠাক মতো কাজ করছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, সকল কাগজপত্র আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।

সাকিল আহমেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা)


আরও খবর



১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিজের চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে ওই হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেই টিকিট সংগ্রহ করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ রোগীদের মতোই নিজের চোখ পরীক্ষা করান। সরকারি হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘটনা দেখে উপস্থিত অনেকেই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন।


আরও খবর



জাতির পিতার সমাধিতে বিএসএমএমইউ এর নতুন উপ-উপাচার্যের শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ- উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

পরে তিনি বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

এরপর তিনি পবিত্র ফাতেহাপাঠ করে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের নিহত সদস‌্য ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। 

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের প্রশাসনিক ভবনে যান। সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে তিনি মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।

এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর আদি পৈতৃকবাড়ি ও স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো পরিদর্শন করেন।

এ সময় অধ্যাপক ডা. একেএম খুরশিদুল আলম, ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়াদ্দার টিটো, ডা. জাকির সুমন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফোরকান বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

চাকুরীবিধি বৈষম্য, সাময়িক বহিস্কৃত কর্মকর্তাদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার, চাকরি নিয়মিতকরণসহ কয়েক দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রোববার সকালে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে তারা কর্মবিরতি শুরু করেন।

সে সময় ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম মোস্তাক আহম্মেদ, হাবিবুর রহমান, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম, লাইন ক্রু লেভেল ওয়ান জামিরুল ইসলামহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

কর্মবিরতি চলাকালে বক্তারা বলেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুই রকম নীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবী, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই তাদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়নের চেষ্টা করে আসছেন।

কিন্তু সমিতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) তাদের দাবি না মেনে বরং উল্টো প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত ভোলা পবিসের দু'জন এজিএমকে সাময়িক বরখাস্ত, দু'জন এজিএমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে অন্য পিবিএসে বদলী এবং সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর একজন ডিজিএম এবং একজন এজিএমকে বোর্ডে সংযুক্ত করে। এতে ৮০টি পবিসের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী ক্ষুব্ধ হয়। তবে আজ থেকে আন্দোলনে গেলেও জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে একজন করে জনবল কাজ করছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।


আরও খবর



অপেক্ষার প্রহর শেষ, কুতুবদিয়া পৌঁছেছে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সোমালিয়া উপকূলে দস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি জিম্মির পর মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত করা হয়। তারপর পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য নিয়ে জাহাজটি রওনা হয় বাংলাদেশের পথে। দীর্ঘ দুই মাসের এই ঝঞ্ঝার পর অবশেষে জাহাজটির নাবিক ও তাদের স্বজনদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে পৌঁছেছে এমভি আবদুল্লাহ। সুস্থ রয়েছেন জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরের পর নাবিকরা চট্টগ্রাম ফিরবেন। এরইমধ্যে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নিতে ২৩ জন নাবিকের একটি টিম চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছেন। সোমবার বিকেলে নাবিকদের নিয়ে নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটি ছেড়েছে লাইটার জাহাজ এমভি জাহান মনি-৩। ওই জাহাজেই মঙ্গলবার সকালে এমভি আবদুল্লাহ-তে থাকা ২৩ নাবিক কুতুবদিয়া থেকে রওনা দেবেন। মঙ্গলবার দুপুরের পর নাবিকদের নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে মালিকপক্ষ এবং নাবিকদের স্বজনরা তাদের বরণ করে নেবেন।

এমভি আবদুল্লাহর ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ তানভীর বলেন, আমরা উপকূল থেকে ৫-৬ নটিক্যাল মাইল দূরে আছি। সাড়ে চারটার দিকে আমরা কুতুবদিয়া পৌঁছেছি। কিছুক্ষণ পর জাহাজ নোঙর করা হবে।

কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে। এখন নোঙর করবে। কুতুবদিয়ায় কিছু মালামাল খালাস শেষে ১৫ মে (বুধবার) এমভি আবদুল্লাহ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস হবে।

এর আগে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে।

আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন সময়ে মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেয়। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর