চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা সুলতানপুর সীমান্ত থেকে প্রায় ৮১৬ গ্রাম ওজনের ১১টি স্বর্ণের বারসহ তরিকুল ইসলাম (৩২) নামের এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি।
আজ শনিবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দর্শনা ঝাঝাডাঙ্গা গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক তরিকুল ইসলাম দর্শনা পারকৃষ্ণপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় দর্শনা থানার সুলতানপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ণেরবার চোরাচালান হবে। খবর পেয়ে সুলতানপুর বিওপির কমান্ডার নায়েক রবিউল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্ত পিলার ৭৮/৬-আর হতে আনুমানিক ৬০০ গজ বাংলাদেশের ভিতরে ঝাঝাডাঙ্গা গ্রামের পাঁকা রাস্তার পাশে অবস্থান করেন। সকাল সাড়ে ১০ টায় একজন ব্যক্তি পাঁয়ে হেটে ঝাঝাডাঙ্গা গ্রামের মধ্য দিয়ে সীমান্তর দিকে যেতে দেখলে বিজিবি সশস্ত্র টহল দল তাকে চ্যালেঞ্জ করেন। বিজিবি সশস্ত্র টহল দলকে দেখে ঐ ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে টহল দল দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে তাকে ধাওয়া করে আটক করে। এসময় আটক ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে কোনো চোরাচালানি পণ্য নেই বলে বিজিবিকে জানান।
পরবর্তীতে বিজিবি টহলদল আটককৃত চোরাকারবারীর দেহ তল্লাশি করে কোমরে লুঙ্গির ভাজে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় সাদা স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ৮১৬ গ্রাম ওজনের ছোট বড় ১১টি স্বর্ণেরবার এবং ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭০ লক্ষ টাকা।
তিনি আরও বলেন, স্বর্ণের বারের শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশে পরিবহন করা ও নিজ জিম্মায় রাখার অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক আসামির বিরুদ্ধে নায়েক রবিউল ইসলাম ইসলাম বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের এবং সোনার বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।