আজঃ সোমবার ১০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে বাড়ছে আহতের সংখ্যা

প্রকাশিত:সোমবার ২০ জুন ২০22 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জুন ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
Image

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

হালকা বৃষ্টিপাত কিংবা ঝড়ো হাওয়ায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যত্রতত্র গাছ ভেঙে পড়ার হিড়িক পড়েছে। এতে ভেঙে পড়া গাছে নিচে পড়ে আহত হচ্ছেন পথচারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা। ২০১৮ সালে কালবৈশাখী তান্ডবের কবলে পড়ে দুমড়ে মুচরে গেছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এ্যাম্বুলেন্স। বিষ খাওয়া একজন রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে কাপ্তাই সড়কের রাউজান উপজেলার পাহাড়তলি ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি হবে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত দুই মাসে এই সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কেউ পথচারী আবার কেউ যাত্রী। জানা যায়, গত তিন দিনে এ সড়কে ৫টির বেশি গাছ ভেঙে পড়েছে। রবিবার (১৯ জুন) একই দিনে ভেঙে পড়েছে তিনটি গাছ।

সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০টি মরা গাছ আছে। সব মিলিয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ গাছ রয়েছে।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাঙ্গুনিয়া-কাপ্তাই অংশের ওয়ার্ক সুপারভাইজার রাসেল দেওয়ান জানান, এসব ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ব্যাপারে ঊর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই অপসারণের উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করবো।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জামশেদুল আলম বলেন, আমার অফিসের সামনেই একটি গাছ ভেঙে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে গাছের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে।

রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সুমন বলেন, সকাল থেকে রাঙ্গুনিয়ায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিভিন্ন স্থানে ভেঙে পড়া গাছ পথচারীদের সহযোগিতায় অপসারণ করেছি। পাহাড় ধস হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে আমরা গত দুদিন ধরে মাইকিং করেছি।


আরও খবর



জাল টাকার মাফিয়া জাকির আটক

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর কদমতলীতে বিপুল পরিমাণ জাল টাকাসহ মাফিয়া জাকিরকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ শনিবার কদমতলীর দনিয়া থেকে তাকে আটক করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানায়, ডিবি লালবাগ বিভাগের অভিযানে কদমতলীতে কারখানাসহ কোটি কোটি জাল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় জাল টাকার মাফিয়া জাকিরকেও আটক করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলমান আছে।

সূত্র জানিয়ছে, এই কোটি কোটি জাল টাকা আসন্ন ঈদুল আজহা কেন্দ্রিক পশুর হাটগুলোকে সরবরাহ করার চেষ্টা করছিল চক্রটি।

ডিবি লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মশিউর রহমান জানান, জাল টাকার বিষয়ে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

২০১২ সাল থেকে এ কাজটি করে আসছিলো জাল টাকার অন্যতম পথিকৃত জাকির। বাগেরহাট, খুলনাতেও তার কারখানা ছিল। এক নারী ক্রেতার সূত্র ধরে এই কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ। এই কারখানায় ভারতীয় মুদ্রাও তৈরি হতো। এই চক্রে আরও অনেকে জড়িত আছেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর
ধামরাইয়ে বাস উল্টে আহত ৩০

সোমবার ১০ জুন ২০২৪




বিশ্বকাপ খেলতে মধ্যরাতে দেশ ছেড়েছেন সাকিব-শান্তরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১.৪০ মিনিটের ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসানরা। এই স্কোয়াডে ট্রাভেলিং রিজার্ভ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও কোচিং স্টাফরাও ছিলেন।

দেশ ছাড়ার আগে গতকাল রাত বাড়তেই বিমানবন্দরে পরিবারকে নিয়ে হাজির হন তাসকিনসৌম্য ও লিটন দাসরা। যেখানে টাইগার সমর্থকদের ভিড়ের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। এ সময় কেউ তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে সেলফির আবদার মিটিয়েছেন, আবার কেউবা শুভকামনা জানিয়েছেন বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করার আশায়।

এর আগে বুধবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন সেরেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। মিরপুর শেরই বাংলা স্টেডিয়ামে ক্রিকেটাররা হাস্যোজ্জ্বল ছবি দিয়ে ভালো কিছুর বার্তা দিয়েছেন।

আগামী ২ জুন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আইসিসির মেগা আসরটিতে অংশ নেওয়ার আগে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২১, ২৩ ও ২৫ মে হবে সিরিজের ম্যাচগুলো।

বাংলাদেশের মূল বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে ৭ জুন থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে শান্তর দল শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে। ১০ জুন বাংলাদেশ লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরবর্তীতে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ।


আরও খবর



কুতুবদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জন্ম-নিবন্ধন জালিয়াতির মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের পরান সিকদার পাড়া এলাকার ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর জন্ম-নিবন্ধন জালিয়াতি করে বাল্যবিয়ে দেয়া হয়। এই অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২১ মে) কুতুবদিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আফরোজা নাজমিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন- কৈয়ারবিল ঘিলাছড়ি এলাকার মো. ইদ্রিচের ছেলে মিজানুর রহমান সাগর (২৩), ইউপি মহিলা সদস্য হাসিনা আকতার (৪৫), মৃত আবু ছিদ্দিকের ছেলে মো. ইদ্রিচ (৫৫), কৈয়ারবিল ইউপি সচিব ইমাম মুসলিম (৪৮), পেকুয়া চাঁকমার ডুরী এলাকার ছৈয়দ নুর এর ছেলে আবুল হোছাইন (৪০), কাজী ওয়াহিদুর রহমান (৪৫)।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান সাগর (২৩) ও তার বাবা মো ইদ্রিচ মিলে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসফিকুল আজিম নৌরিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন অপহরণ মামলা করায় ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে মেয়েটির বয়স ১৮ বৎসর পূর্ণ না হওয়ায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকৃত জন্ম নিবন্ধন গোপন করে পিতা-মাতার নামের জায়গায় ভুল নাম দিয়ে ভুয়া জন্ম-নিবন্ধন তৈরি করে দেন কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবর ও সচিব ইমাম মুসলিম। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে পেকুয়া উপজেলার শিলখালী কাজী অফিসে বিবাহ মাধ্যমে কাবিননামা সম্পন্ন করে রাখেন।

এদিকে বাদীপক্ষের অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ জানান, অপহরণের পর কৈয়ারবিল এলাকার স্কুল পড়ুয়া তাসফিকুল আজিম নৌরিনকে জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতি মাধ্যমে কাবিননামা সম্পন্ন করায় কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। আদালত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ট্রিট ফর এফআইআর হিসেবে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



সাংবাদিকরা রাষ্ট্র ও সমাজকে সঠিকখাতে প্রবাহিত করে: হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে রয়েছে সাংবাদিকদের বিশেষ ভূমিকা। তারা সমাজের অগ্রসর অংশ। রাষ্ট্র ও সমাজকে সঠিকখাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। সমাজের অনুন্মোচিত বিষয়গুলো উন্মোচিত করে। সমাজ, রাষ্ট্রসমাজপতি যেদিকে তাকান সেদিকে তাদের দৃষ্টি আবদ্ধ করেন। এমন অনেকগুলো বিষয় আছে যেগুলো রাষ্ট্র দেখে না। রাষ্ট্র পরিচালনার সাথে যারা যুক্ত, তারাও দেখে না। কিংবা সমাজ যারা চালায়, তারাও দেখে না, দেখার প্রয়োজনও মনে করে না। এমন অনেক বিষয় সাংবাদিকরা উন্মোচিত করে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ৬২ বছর পূর্তি উৎসব এবং সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকরা সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরবেন, সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। কাজকে পরিশুদ্ধভাবে করার ক্ষেত্রে সেটি সহায়ক হয়। অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু প্রতিবেদন এমন ভাবে হয় সেগুলো দেশের জন্য ক্ষতিকারক। ড. হাছান বলেন, আসলে বাংলাদেশে বিএনপি জামাতসহ কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দল আছে, আর কিছু গোষ্ঠি আছে, পদ্মাসেতু দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ওপারে গিয়ে বলে, দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেস দিয়ে গাড়ি চালিয়ে গিয়ে বলে এসব শুধু বড় লোকের জন্য। এলিভেটেড এক্সপ্রেস দিয়ে কিন্তু পাবলিক বাসও চলে।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে গত ১৫ বছরে প্রতিটা বাজেট বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ। আজকে সংসদে প্রায় আট লক্ষ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ হয়েছে। বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠি আছে তারা চোখে ভালো কিছু দেখেন না। প্রতিবার বাজেট পেশ করার পর আপনারা দেখবেন বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয় এই বাজেট গণবিরোধী, গরীব মারার বাজেট, এই বাজেটে কোনো উপকার হবে না, এই বাজেট বাস্তবায়ন যোগ্য নয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাজেটের আকার গত ১৫বছরে সাড়ে ১১গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় সাড়ে পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জিডিপির আকার প্রায় ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং বাংলাদেশে দারিদ্রসীমার নিচে থাকা জনগোষ্ঠি ছিল ৪১ শতাংশ। সেখান থেকে ১৮.৭ শতাংশে নেমেছে। অতিদারিদ্রতা ২২শতাংশ ছিল, সেখান থেকে সাড়ে ৫শতাংশে নেমেছে।

তিনি বলেন, বাজেট যদি গরীবের উপকারে না আসত, তাহলে দারিদ্রতা ও অতিদারিদ্রতা কমত না। মানুষের আয় সাড়ে ৫গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ডলারের অংকে, টাকার অংকে আরো বেশি। এটি সম্ভবপর হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারের বাস্তবসম্মত বাজেট প্রণয়ন এবং সেই বাজেট বাস্তবায়নের কারণে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবকিছুতে না বলার যে অপসংস্কৃতি এটি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য বাধা।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক।

সভাপতির বক্তব্যে সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সন্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের স্বার্থে এবং সাংবাদিকদের কল্যাণে আরো নানা উদ্যোগ গ্রহণে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

স্বাগত বক্তব্যে দেবদুলাল ভৌমিক বলেন, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এ আয়োজন সবার মধ্যে আরো বিশাল উৎসাহউদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। যা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অগ্রযাত্রাকে আরো গতিশীল করবে। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নেতৃত্বে এই প্রতিষ্টানের বর্তমান অবস্থান। তাদের সন্মাননা জানাতে পেরে আজকের উদ্যোগ স্বার্থক মনে করছি।

সন্মাননা প্রাপ্ত সভাপতিরা হলেন- মতিউর রহমান (সিএসপি), কাজী জালালউদ্দিন আহমদ (সিএসপি), এম. নুরুল ইসলাম, বি.এ. আজাদ ইসলামাবাদী, এম. এ. মালেক, আব্দুল্লাহ আল ছগীর, আতাউল হাকিম, এম. ওবায়দুল হক, মুহাম্মদ ইদ্রিস, আবু সুফিয়ান, আখতার উন নবী, আলহাজ্ব আলী আব্বাস, কলিম সরওয়ার।

সন্মাননা প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকরা হলেন- এম. আই. করিম, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ, সৈয়দ শফিকউদ্দিন আহমদ, বি.এ. আজাদ ইসলামাবাদী, নূর সাঈদ চৌধুরী, ওসমান গণি মনসুর, নিজাম উদ্দিন আহমদ, আবু সুফিয়ান, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, ফারুক ইকবাল, কলিম সরওয়ার, এজাজ ইউসুফী, রাশেদ রউফ, মহসিন চৌধুরী, শুকলাল দাশ, ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী।

সন্মাননা প্রাপ্তদের উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে সন্মাননা স্মারক ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। তাদের মধ্যে অভিমত ব্যক্ত করেন- সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, কলিম সরওয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক ইকবাল, এজাজ ইউসুফী, রাশেদ রউফ, শুকলাল দাশ ও চৌধুরী ফরিদ। বক্তব্য রাখেন- বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শদিউল আলম ও দৈনিক নয়াবাংলা সম্পাদক জেড এম এনায়েতউল্লাহ।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, সিডিএর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, লায়ন আলহাজ্ব রফিক আহমদ, চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ, মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, বিজিএমইএর প্রথম সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম, হাজী সাহাব উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সহ সভাপতি মনজুর কাদের মনজু, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, ক্রীড়া সম্পাদক এম সরওয়ারুল আলম সোহেল, গ্রন্থাগার সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, কার্যকরী সদস্য মো. আইয়ুব আল ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুসহ প্রেস ক্লাবের সদস্যবর্গ।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়। এরপর শুরু হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। বৃহস্পতিবার রাতে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা ও সন্মাননা প্রদানসহ অনুষ্ঠানমালা শুরু করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার।


আরও খবর



প্রথমবার ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম তুললেন নারী প্রার্থী

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে প্রথমবারের মতো কোন নারী প্রার্থী মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। তার নাম জোহরা ইলাহিয়ান। ৫৭ বছর বয়সী এই নারী ইরানের সাবেক আইনপ্রণেতা এবং পেশায় চিকিৎসক। তিনি ইরানের পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর দেশটির নির্বাহীর পদ শূন্য হয়। আর সেই পদ পূরণ করতেই ২৮ জুন দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে লড়তে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন জোহরা ইলাহিয়ান। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনালের

দুবার ইরানের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হওয়া এই নারী রাজনীতিবিদও কট্টরপন্থী ঘরানার। মনোনয়ন ফরম তোলার পর তার সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, সুস্থ সরকার, সুস্থ অর্থনীতি এবং সুস্থ সমাজ- হলো আমার নির্বাচনী লক্ষ্য। এ সময় তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধেও লড়াইয়ের ঘোষণা দেন।

অন্য কট্টরপন্থীদের মতো ইলাহিয়ান বাধ্যতামূলক হিজাবের নিয়ম সমর্থন করেন। বাধ্যতামূলক হিজাব অমান্যকারী নারীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর নীতি ও পদক্ষেপ গ্রহণের পর মাত্র কয়েক মাস পরই ইলাহিয়ান তার প্রার্থিতা ঘোষণা করলেন।

এদিকে, আসন্ন নির্বাচনে লড়তে নিজের প্রার্থিতার জন্য রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।


আরও খবর