আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বুচায় গণহত্যা চালিয়েছে রাশিয়া : ইউক্রেন

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বুচা শহরে রুশ সৈন্যরা গণহত্যা চালিয়েছে বলে রোববার (৩ এপ্রিল) অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। মরদেহের ছবি দেহে পশ্চিমা দেশগুলো যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে ঠিক তখনই এমন অভিযোগ তুলল ইউক্রেন। অবশ্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলছে, বুচার এসব ছবি ও ভিডিও মূলত ইউক্রেন সরকারের আরেকটি উস্কানি।

শনিবার ইউক্রেন রাজধানী কিয়েভ পুনর্দখলে নেওয়ার দাবি করেছে। তারপরই আশপাশের কিছু এলাকার ছবি সামনে এসেছে। যা ইউক্রেন ও অন্য দেশগুলোকে ক্ষুব্ধ করেছে। সেই সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ার চাপ বাড়িয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো অবশ্য আগে থেকেই রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে, যা ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অব্যাহত আছে।

এক টুইটে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, বুচায় ইচ্ছকৃতভাবে গণহত্যা চালানো হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও তার দেশে রাশিয়া গণহত্যা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। সিবিএস ফেস দি নেশন সংবাদ অনুষ্ঠানে রোববার অনুবাদকের মাধ্যমে তিনি বলেছেন, এটি আসলে গণহত্যা। পুরো জাতি ও মানুষকে নির্মূল করা হচ্ছে। আমরা ইউক্রেনের নাগরিক এবং আমরা রাশিয়ান ফেডারেশনের নীতির কাছে নতিস্বীকার করব না। এ কারণেই আমরা ধ্বংস ও নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছি।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এ হত্যাকাণ্ডকে পেটে আঘাত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউজ ট্যাগ: ইউক্রেন

আরও খবর



৯ মাসে মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

দৃঢ় নেতৃত্বে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত বছরগুলোর প্রতিকূলতা কাটিয়ে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। চলতি বছর ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার প্রেক্ষিতে চলতি হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটন হাই-টেকের মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা বা ২০৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ব্যাপক বৃদ্ধিসহ আর্থিক প্রায় সব সূচকেই উন্নতি হয়েছে।  

ওয়ালটন হাই-টেকের চলতি হিসাববছরের জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৮তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাববছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬২.৩৪ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৪৯.৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০৫ শতাংশ।

এদিকে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪) ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৪২১.৯৮ কোটি টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৩৫.৫৫ কোটি টাকা।

বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কস্ট অব গুড্স সোল্ড উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির মোট মুনাফার শতকরা হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের। তাছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.১৭ টাকা; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮.২৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির এনএভিপিএস পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২৫৮.২২ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫৯.৬৮ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২.৮৮ টাকা।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রথম নয় মাসে বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৬.১৪ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪.৭৯ শতাংশ।

এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি ৩৯২.৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়ে মাত্র ৪১.৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৩.০৭ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া, শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন ২০২৪) কোম্পানির মুনাফা আরো দৃঢ় অবস্থানে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওয়ালটন ম্যানেজমেন্ট। 


আরও খবর



ঢাকা-সিলেট ৬ লেন প্রকল্প: জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় এগোচ্ছে না কাজ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

ঢাকা-সিলেট-তামাবিল ২৬৫ কিলোমিটার সড়কের ৬ লেন প্রকল্পে গতি নেই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালের মার্চে কাজ শুরু করে। কিন্তু গেল ১৪ মাসে সিলেট অংশে ১ শতাংশ জমিও বুঝে পায়নি তারা।

যদিও প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী কাজ শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষে প্রত্যাশী সংস্থাকে হস্তান্তর করতে হবে। অথচ ইতোমধ্যে পেরিয়েছে ৪০৫ দিন।

সিলেট অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেবাশীষ রায় জানান, জমি বুঝে না পাওয়ায় ঠিকাদার শুধু যেখানে সরকারি জমি আছে সেখানেই কাজ করছে। গত ১৪ মাসে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫ শতাংশ বলে জানান তিনি।

জমি অধিগ্রহণে ধীরগতি হওয়ায় প্রকল্প সঠিক সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সিলেট ১ আসনের সংসদ-সদস্য ড. একে আব্দুল মোমেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, অধিগ্রহণ নিয়ে প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা একে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন এটা কাম্য নয়। এ প্রকল্পে গতি আনতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নজর দিতে হবে। কারণ তিনি যেদিকে নজর দেন সেই প্রকল্পই দ্রুত ও সুন্দরভাবে শেষ হয়।

জানা যায়, ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনের সঙ্গে আন্তঃদেশীয় যোগাযোগের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে সিলেট সফরকালে ঢাকা-সিলেট-তামাবিল সড়ক ৬ লেন করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬৫ কিলোমিটার এই সড়কের ৬ লেনে উন্নীত করার প্রকল্প উদ্বোধন করেন ২০২১ সালের অক্টোবরে।

ঢাকা থেকে তামাবিল পর্যন্ত সড়কটি সাতটি জেলা অতিক্রম করবে। এই প্রকল্পে ৭৫ শতাংশ অর্থায়ন করে এডিবি বাকি ২৫ শতাংশ সরকার। প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ১৩৭১ একর। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ৬৯.০৯ একর, নরসিংদীতে ১৮২.২৪ একর, কিশোরগঞ্জে ১২.৩৫ একর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭৭.১৯ একর, হবিগঞ্জে ৩৯২.৬৬ একর, মৌলভীবাজারে ২১.২১ একর। সবচেয়ে দীর্ঘ ৯২ কিলোমিটার সড়ক সিলেটে পড়েছে। সে কারণে এ জেলায় জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ৬২৪ একর।

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, জেলার শেরপুর থেকে সিলেট শহর পর্যন্ত ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতায়। এরমধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু করেছে। যেখানে সরকারি জমি রয়েছে শুধু সেখানেই কাজ করতে পারছে তারা। এক প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে, অন্যটি মে থেকে। শর্ত অনুযায়ী ২৭০ দিনের মধ্যে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও ১ শতাংশ ভূমিও পায়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ বিষয়ে সিলেট অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেবাশীষ রায় বলেন, জমি হস্তান্তর না হওয়ায় তৃতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখনো কাজ শুরু করেনি। যে প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে তাতে ১৪ মাস শেষে প্রকল্পের অগ্রগতি ৫ শতাংশ বলে দাবি তার।

সড়ক জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া একটি জটিল প্রক্রিয়া তবুও চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত তা সমাধানের। তার মতে, এই মুহূর্তে যেসব স্থানে সরকারি জমি রয়েছে সেসব স্থানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে তেমন অসুবিধা হবে না। তবুও কোথাও কোনো সমস্যা হলে বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসনকে নিয়ে সেসব জটিলতা দূর করা হচ্ছে।

জমি অধিগ্রহণের ধীরগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, এই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ একটি জটিল প্রক্রিয়া। কারণ এক কিলোমিটারে জমির মালিকানা থাকে প্রায় ১ হাজার জনের। এদের মধ্যে কেউ আপত্তি উত্থাপন করলেই পুরোটা জটিলতায় পড়ে যায়। তবে অধিগ্রহণ দ্রুত শেষ করতে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।

অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জমি হস্তান্তর শুরু করতে আরও ৬ মাস লাগবে বলে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান।


আরও খবর



শেখ হাসিনা গণমানুষের নেতা থেকে বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন: শেখ পরশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, যুবলীগকে যেকোনো মূল্যে বঙ্গবন্ধু কন্যার অর্জনসমূহ নির্ণয় করতে হবে এবং মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র আমাদের রাজপথে মোকাবিলা করতে হবে। তিনি একজন আত্মপ্রত্যয়ী মানবতাবাদী এবং দূরদর্শী নেতৃত্ব হিসেবে নিজেকে সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি গণমানুষের নেতা থেকে আজকে বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন। তার কর্মের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে একমাত্র শেখ হাসিনা এই বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য। শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পিরোজপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পিরোজপুর জেলা যুবলীগ আয়োজিত ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার এ দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল আর শেখ হাসিনার সরকার জঙ্গিবাদ নির্মূল করে দিয়েছে। ক্ষমতার লোভে মিথ্যাচার এবং অপরাজনীতি বন্ধ করেন। বিএনপির অপরাজনীতির একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পরনির্ভর রাজনীতি। বিএনপি এ দেশের জনগণের বদলে বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করে। তার অন্যতম কারণ কোনো জাতীয় সংকটে তারা কখনোই জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

সম্মেলনে জেলা যুবলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান ফুলুর সভাপতিত্বে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়াল, পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপদফতর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপগ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ নবীরুজ্জামান বাবু ও আইটি সম্পাদক এস আই আহম্মেদ সৈকত প্রমুখ।


আরও খবর



উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে মোহাম্মদ ইলিয়াছ (৪৩) নামে এক হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১৩ মে) ভোরে উখিয়া উপজেলার ৪-এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-৩ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন।

নিহত মোহাম্মদ ইলিয়াছ উখিয়ার ৪-এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি ব্লকের হেড মাঝি (কমিউনিটি নেতা) ছিলেন।

এপিবিএন পুলিশসহ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি শামীম হোসেন বলেন, রোববার রাতে মোহাম্মদ ইলিয়াছ নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে ১০/১৫ জন মুখোশ পরিহিত অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ঘরের দরজা ভেঙে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পার্শ্ববর্তী হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পিছনে নেয়ার পর দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই ইলিয়াছের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

ওসি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার সদস্য এ খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ তথ্য পেয়েছে। তবে কারা, কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে পুলিশ তা এখনো নিশ্চিত নয়।

ঘটনার কারণ জানার পাশাপাশি জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান শামীম হোসেন।

তিনি আরও জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



পেরুতে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ২৫

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পেরুতে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। স্থানীয় কর্মকর্তারা এই ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।

কাজামারকা অঞ্চলের প্রাদেশিক প্রসিকিউটর ওলগা বোবাডিলা স্থানীয় রেডিও স্টেশন আরপিপিকে জানিয়েছেন, রবিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাসটি সেলেনডিন থেকে সোরোচুকো শহরের দিকে যাচ্ছিল। অসমতল রাস্তার কারণে হঠাত বাসটি উল্টে নদীতে বিধ্বস্ত হয়।

স্থানীয় সরকার এই দুর্ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে।

পেরুতে বাস দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ বিষয়। বিশেষ করে রাতে এবং পাহাড়ের হাইওয়েতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া দ্রুত গতি, রাস্তার খারাপ অবস্থা, রোড সাইনের অভাব এবং ট্রাফিক নিয়ম-কানুনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে পেরুর রাস্তায় প্রায়ই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

গত বছর, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১০০ জনেরও বেশি প্রাণহানির তথ্য নিবন্ধিত করা হয়েছে।


আরও খবর