ঢাকার শাহজালাল
আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সাভারের আশুলিয়া ইপিজেড পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার
উড়াল সড়ক (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) নির্মাণে ব্যবহার করা হবে উন্নতমানের ক্লিংকারে উৎপাদিত
বসুন্ধরা সিমেন্ট।
আধুনিক প্রযুক্তি
সমৃদ্ধ, দেশের অন্যতম বৃহৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এবং উন্নতমানের ক্লিংকারে উৎপাদিত
সঠিক মান রক্ষা ও সর্বোপরি সুষ্ঠু সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখে বসুন্ধরা সিমেন্ট
ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান দ্য ফিপথ
মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার
(২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে চুক্তি সই হয়েছে।
বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল
কমপ্লেক্স লিমিটেডের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
(এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর ও দ্য ফিফথ মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের
প্রজেক্ট ম্যানেজার শিন গুয়ানগুই।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে
বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, প্রোডাক্ট কোয়ালিটি কন্সিসটেন্সি আমাদের
মূল শক্তি। বসুন্ধরা সিমেন্ট আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এবং ভবিষ্যতেও দেশের অবকাঠামোগত
উন্নয়নে সকল মেগা প্রকল্পে বসুন্ধরা সিমেন্টের অংশীদারত্ব অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে দ্য
ফিফথ মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, এমবিইসি ৫ প্রকল্প সচিব ঝউ জিনহুই, চিফ
ইঞ্জিনিয়ার ওয়েই হেইজিইয়াং, ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজার ইয়ু জিনজি ও ল্যাবরেটরি ডিরেক্টর
ইয়াং চাও।
বসুন্ধরা গ্রুপের
পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের
উপদেষ্টা ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বসুন্ধরা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের চিফ কো-অর্ডিনেটর
ও হেড অব আইটি মোহাম্মদ গোলাম, সেক্টর-বি এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ কে এম মাহবুব-উজ-জামান,
সিমেন্ট সেক্টরের চিফ মার্কেটিং অফিসার খন্দকার কিংশুক হোসেন, সেক্টর-বি এর হেড অব
ফাইন্যান্স (ট্রেজারার) নুরে আলম ছিদ্দিকী, হেড অব ডিভিশন (অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড অপারেশন
সিমেন্ট সেক্টর) মোহাম্মদ পিজিরুল আলম খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
পদ্মা মূল সেতু,
পদ্মা রেল লিংক প্রকল্পে নিয়োজিত চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড শুরু
থেকে বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করে আসছে। বসুন্ধরা সিমেন্টের গুণগত মান ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায়
সন্তুষ্ট হয়ে দেশের নতুন এই মেগা প্রকল্পেও বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে
নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি।
দ্য ফিফথ মেজর
ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার শিন গুয়ানগুই বলেন, বসুন্ধরা
সিমেন্টের অনেক সুনাম রয়েছে। মান অনেক ভালো হওয়ার কারণে বাজারের একটি বড় অংশ দখল করে
রেখেছে বসুন্ধরা সিমেন্ট। পদ্মা মূল সেতু ও পদ্মা রেল লিংক প্রকল্পে অনেক আগে থেকেই
বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। আমরা একে অপরের সহযোগিতায় একটি কাজের সুচনা
করতে যাচ্ছি, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
সিমেন্ট সেক্টরের
চিফ মার্কেটিং অফিসার খন্দকার কিংশুক হোসেন বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ মেগা প্রকল্পে
অনেক আগে থেকেই বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার হচ্ছে। পদ্মা মূল সেতু, পদ্মা রেল লিংক প্রকল্প,
মেট্রোরেল প্রকল্পে এককভাবে বসুন্ধরা সিমেন্ট সরবরাহ করে আসছে। ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড
এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য দ্য ফিফথ মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড
বসুন্ধরা সিমেন্টের প্রতি আস্থা রেখেছে। দেশের মেগা প্রকল্পগুলোতে গুণগত মান অক্ষুন্ন
রেখে সিমেন্ট সরবরাহ করায় ভবিষ্যতে যেসব মেগা প্রকল্প আসবে সবগুলোতে বসুন্ধরা সিমেন্ট
ব্যবহার করবে। আমরাও সিমেন্ট সরবরাহ অব্যাহত রাখবো।
বর্তমানে দেশের
সব উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলো যেমন পদ্মা মূল সেতু,
পদ্মা সেতুর নদী শাসন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু, মেট্রোরেল, ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড
এক্সপ্রেসওয়ে, পায়রা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র,
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্ট, রূপসা রেলসেতুসহ অন্যান্য বৃহৎ স্থাপনাগুলোতে
ব্যবহৃত হচ্ছে বসুন্ধরা সিমেন্ট।
ঢাকার শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর ইন্টারসেকশন থেকে শুরু হয়ে আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল দিয়ে ইপিজেড পর্যন্ত দীর্ঘ ২৪ কিলোমিটার ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে। বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উড়ালসড়কে ওঠানামার জন্য তৈরি করা হবে ১৬টি সংযোগ সড়ক। সংযোগ সড়কগুলোর সম্মিলিত দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১০ কিলোমিটার। উড়ালসড়ক ছাড়াও ১৪ কিলোমিটারের বেশি সড়ক নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি নবীনগর এলাকায় নির্মাণ করা হবে ১ দশমিক ৯৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ফ্লাইওভার, ২ দশমিক ৭২ কিলোমিটার সেতু, ৫০০ মিটার ওভারপাস, ইউটিলিটির জন্য ১৮ কিলোমিটার ড্রেনেজ ও ডাক্ট এবং পাঁচটি টোল প্লাজা।