উত্তাল ঢেউয়ের
কবলে পড়ে কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে দুটি ফিশিং
ট্রলার ডুবে গেছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে ১৮ জেলে নিয়ে মাছ ধরার ট্রলার তীরে
ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তবে ট্রলারে থাকা ৩৮ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার
রাত সাড়ে ৮টার দিকে বঙ্গোপসাগরে গুলিদ্ধারের পশ্চিমে মাছ ধরার সময় ১৯ জেলে নিয়ে আল্লাহর
দান নামে মাছ ধরার ট্রলারের তলা ফেটে গেলে সেটি ডুবে যায়। পরে অন্য একটি ট্রলারে উঠে
ওই জেলেরা গতকাল বিকেলে নিরাপদে কূলে ফিরেছেন।
কূলে ফিরে আসা
জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে ১৮ জেলে নিয়ে উপজেলার দক্ষিণ ধূরুং
ইউনিয়নের হামিদ হোছাইনের মালিকানাধীন মাছ ধরার ট্রলার বঙ্গোপসাগর থেকে কূলে ফিরছিল।
এ সময় সোনাদিয়ার দক্ষিণ–পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে মাছ ধরার ট্রলার
ডুবে যায়। পরে সাঁতার কেটে জেলেরা অন্য দুটি ট্রলারে উঠে নিরাপদে ফিরে আসে।
এদিকে তিন দিন
আগে ১৯ জেলে নিয়ে দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের কলিম উল্লাহর মালিকানাধীন আল্লাহর দান নামের
একটি ফিশিং ট্রলার বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মাছ ধরার
জন্য বঙ্গোপসাগরের গুলিদ্ধারে ট্রলারটি সাগরে জাল ফেলে অবস্থান করছিল। তবে রাত সাড়ে
আটটার দিকে সাগরে উত্তাল ঢেউ শুরু হয়। ঢেউয়ের আঘাতে তলা ফেটে মুহূর্তের মধ্যে ডুবে
যায় ট্রলারটি। পরে কুতুবদিয়ার জসিম উদ্দিনের মালিকানাধীন একটি মাছ ধরা ট্রলারের উঠে
১৯ জেলে জীবিত অবস্থায় গতকাল বিকেলে কুতুবদিয়ায় ফিরে আসেন।
ট্রলারের মালিক
কলিম উল্লাহ বলেন, ট্রলারে থাকা জেলেরা সবাই নিরাপদে ফিরেছেন। তবে দুর্ঘটনায় তাঁর অনেক
ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কুতুবদিয়া উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউয়ের কবলে
পড়ে দুটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ট্রলারডুবির ঘটনায়
জাল, ট্রলারসহ আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ট্রলারমালিকেরা
দাবি করেছেন।