আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গোপসাগরে ২১ ট্রলার ডুবি: নিখোঁজ ১১ জেলে

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়ার উত্তাল ঝড়ের কবলে পড়ে দুই শতাধিক জেলেসহ ২১টি মাছধরা ট্রলার ডুবে যওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ১১ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে দুবলারচরের পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে প্রবল বর্ষণে দুবলার পাঁচটি চরের প্রায় আড়াই কোটি টাকার শুঁটকি নষ্ট হয়ে গেছে বলে বন বিভাগ জানিয়েছে। ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ, বন বিভাগের একাধিক জলযান এবং অর্ধশতাধিক ফিশিং বোটসহ নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে।

দুবলার আলোরকোল জেলে পল্লির রামপাল বেল্টের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের শেখ জানান, রাতে আকস্মিকভাবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এ সময় আলোরকোলের পশ্চিম সাগরে মাছ ধরারত শতাধিক ট্রলারের মধ্যে ১৮টি ট্রলার আকস্মিকভাবে সাগরে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১৫৪ জেলে অপর ট্রলারে উঠে আসতে পারলেও তিন জেলে এখনো নিখোঁজ হয়। শনিবার সকালে কোস্টগার্ড, বনবিভাগ ও জেলেরা মিলে ওই তিন জেলেকে উদ্ধার করে।

উদ্ধার হওয়া জেলেরা হচ্ছেন- বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গিলাতলা গ্রামের মো. শাহিন, বকুলতলা গ্রামের মফিজুল ও ইসলামাবাদ গ্রামের মো. মোদাচ্ছির।

বাগেরহাট মৎস্য আড়তদার সমিতির সহ-সভাপতি আ. মান্নান ব্যাপারী জানান, সাগরে আরো তিনটি ফিশিং ট্রলার ডুবে গেছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরের শেলারচরের আইলে মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালির হারুন মুন্সীর এফবি জামিলা, বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের আনিচ মিয়ার এফবি মায়ের দোয়া ও একই এলাকার মো. ইলিয়াস মিয়ার মাবাবার দোয়ার ৫০ জন জেলেসহ ফিসিং ট্রলার ডুবে যায়। এ সময় আলমগীর সর্দারসহ আট জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। সকালে ট্রলার ওই তিনটি অন্যান্য জেলেরা উদ্ধার করে অপর একটি ট্রলারে করে টেনে বনবিভাগের দুবলা অফিস সংলগ্ন ভেদাখালি খালে নিয়ে এসেছে বলে বন বিভাগ জানিয়েছে।

অপরদিকে জেলেপল্লি মাঝেরকিল্লার বহাদ্দার জাহিদ হোসেন জানান, ঝড়ে তাদের মাছ শুকানোর মাচা ও জেলেদের অস্থায়ী ঘর ভেঙে গেছে। প্রবল বর্ষণে চরগুলির শুঁটকি পল্লির কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

বন বিভাগের দুবলা জেলে পল্লি টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহল্লাদ চন্দ্র রায় জানান, বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে দুবলারচরের আলোরকোলের সাগরে দুই শতাধিক জেলেসহ ২১টি ট্রলার ডুবির ঘটনায় তিন জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ জেলে ও ট্রলার উদ্ধারে কোস্টগার্ডেরে সহায়তা নিয়ে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এছাড়া অবিরাম বর্ষণে দুবলার আওতাধীন আলোরকোল, মেহেরআলী, মাঝেরকিল্লা, নাড়িকেলবাড়িয়া ও শেলার চরের জেলে পল্লির প্রায় আড়াই কোটি টাকার শুঁটকি নষ্ট হয়েছে বলে তিনি জানান।


আরও খবর



নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবাসন প্রকল্প নিচ্ছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন শহরে নিম্ন আয়ের বিশেষ করে বস্তিবাসীদের জন্য আবাসন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

সোমবার এ উদ্দেশ্যে সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণপূর্তমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকল্প বাস্তবায়নে নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপশি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার অর্থায়নও সম্ভব হলে গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন গণপূর্তমন্ত্রী।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো.মোস্তাফিজুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সিদ্দিকুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি ও তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেন গণপূর্তমন্ত্রী।

প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ সুরক্ষা, প্রয়োজনীয় বনায়ণ, উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ, খেলার মাঠ, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন, সৌরশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার, পোড়ামাটির ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহার, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং এর ব্যবস্থা, সারফেস ওয়াটার ব্যবহারের সর্বোচ্চ সুযোগ রাখার পরামর্শ দেন গণপূর্তমন্ত্রী।

প্রাথমিকভাবে তিনি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় টঙ্গীর দত্তপাড়ায় তিনটি পর্যায়ে ১০০টি বহুতল ভবনে, ১২ হাজার ৬০০ ফ্ল্যাট নির্মাণের যে প্রস্তাবনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তা দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দেন।

সভায় জানানো হয়, ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১৭টি ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবনে ২ হাজার ১৪২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। ২য় পর্যায়ে ৪৭টি ভবনে ৫ হাজার ৯২২টি ও তৃতীয় পর্যায়ে ৩৬টি ভবনে ৫ হাজার ৪৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ সময় মন্ত্রী রাজধানীর কড়াইল বস্তি ও টি এন্ড টি কলোনীর বস্তিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত অধিদপ্তরকে পৃথক পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন।

৭৫০ বর্গফুট গ্রস আয়তনের এসব ফ্ল্যাটের অভিন্ন ডিজাইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান স্থপতিকে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।

রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য শহরেও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে পর্যায়ক্রমে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে জানান উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী।

উল্লেখ্য যে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উত্তরা আবাসন প্রকল্পে (তৃতীয় পর্যায়) নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য ১০ একর জমি নির্দিষ্ট রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে উক্ত জমিতে নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির জন্যও নির্দেশনা প্রদান করেন গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী।

ইতোমধ্যে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বস্তিবাসীদের জন্য ৫৩৩টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে। এসব ফ্ল্যাটে তারা স্বাচ্ছন্দের সাথে বসবাস করছে।

এছাড়া সিরাজগঞ্জের কোবদাস পাড়ায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের স্বল্প আয়ের মানুষের উন্নত জীবন ব্যবস্থা শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার নদী ভাঙ্গন কবলিত, ভূমিহীন বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। পরবর্তী প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে এসব প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য মন্ত্রী পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে সরকারের এসব জনহিতকর কার্যক্রম সম্পর্কে সর্বসাধারণের মাঝে ইতিবাচক প্রচারের জন্য তিনি পরামর্শ দেন।


আরও খবর



২ বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল বাফেলো শহর

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ২ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় উত্তাল নায়াগ্রা ফলসখ্যাত বাফেলো শহর। রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিক্ষুব্ধ প্রবাসীদের তোপের মুখে পড়েন বাফেলো শহরের মেয়র ও পুলিশ কমিশনার।

স্থানীয় সময় দুপুরে নামাজের পর হাজারো মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে জড়ো হন বাফেলো মুসলিম সেন্টারে। বিক্ষুব্ধ প্রবাসীরা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

এ সময় স্থানীয় বাফেলো শহরের মেয়র বায়রন ব্রাউন ও পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রামাগলিয়া জনতার তোপের মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা প্রতিবাদ সমাবেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

ঘটনার একদিন পর সন্দেহভাজন বন্দুকধারী দুর্বৃত্তের ছবি প্রকাশ করলেও তার নাম পরিচয় জানাতে পারেনি বাফেলো পুলিশ। অপরাধীকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

এদিকে নিহত বাবুল মিয়ার পাঁচ মাসের অন্তস্বত্ত্বা স্ত্রীর আহাজারিতে নিউইয়র্কের বাফেলো শহরের আকাশ-বাতাস যেন ভারী হয়ে ওঠেছে। অভিবাসন নিয়ে বছর খানেক আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন নুসরাত জাহান। স্বামীকে হারিয়ে তিনি এখন দিশেহারা। এই পৃথিবীতে নিকট আত্মীয় বলে তার আর কেউ রইল না। কিভাবে সন্তানকে মানুষ করবেন তিনি? গর্ভের সন্তানের ভবিষ্যত-ই বা কী হবে?

বাবুল মিয়ার স্ত্রী নুসরাত জাহান বলেন, আজকে আমি এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি যেখানে আমি আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ দেখতে পাই না। আমার স্বামীকে যারা এই নৃশংসভাবে বিদায় করে দিল তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

থমথমে পরিবেশ গুলিতে নিহত অপর বাংলাদেশি আবু সালেহ ইউসূফের বাড়িতে। জনশূন্য মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য ছেড়ে বাংলাদেশিদের সঙ্গে থাকবেন বলে মাত্র সাত মাস আগে ইউসূফও এসেছিলেন নিউইয়র্কের বাফেলোতে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হতে হলো তাকে। ইউসূফের স্ত্রী এখন সন্তানদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। স্বপ্নের যুক্তরাষ্ট্র যেন দিনদিন দু:স্বপ্ন হয়ে উঠছে অভিবাসীদের জন্য।

নিহত আবু সালে ইউসূফের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী কোনো অপরাধ করেনি। যারা আমার সন্তানদের এতিম করলো আমি তাদের বিচার চাই। আমেরিকান সরকারের কাছে আমারদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাই।


আরও খবর



মাধ্যমিকের চার শ্রেণির ৩১ বইয়ে ১৪৭ ভুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন শিক্ষাক্রমে চলতি বছরের নবম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ের ১৭৯ পৃষ্ঠায় আছে, কৃত্তিম (কৃত্রিম) বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে প্রগতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে...করে যাচ্ছে’। এটা সংশোধন করে লেখা হবে কৃত্তিম (কৃত্রিম) বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে.. করে যাচ্ছে’। আবার অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের ১৬১ পৃষ্ঠায় ৭০০৭৫০-মিলিমিটার সংশোধন করে ৭০০-৭৫০ মিলিমিটার লিখতে সুপারিশ করা হয়েছে।

এভাবে মাধ্যমিকের চার শ্রেণির ৩১টি বইয়ে ১৪৭টি ভুল সংশোধনের সুপারিশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।

বইগুলো হলো: ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত, বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং জীবন ও জীবিকা; সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ইংলিশ ও গণিত; অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, গণিত, ইংলিশ, বিজ্ঞান (অনুশীলন বই), ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ইসলাম শিক্ষা এবং খ্রীষ্টধর্ম শিক্ষা; নবম শ্রেণির ইংলিশ, গণিত, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, শিল্প ও সংস্কৃতি, বাংলা, বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা ও খ্রীষ্টধর্ম শিক্ষা।

এর আগে, নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে নতুন বইয়ের ভুলত্রুটি ই-মেইলে জানানোর অনুরোধ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনসিটিবি। তাতে বলা হয়, পাঠ্যপুস্তকে কোনো ধরনের ভুল-ভ্রান্তি, ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে কিংবা পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়নে কোনো ধরনের পরামর্শ থাকলে নিচের ই-মেইল অথবা এনসিটিবি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের ঠিকানায় জানালে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গেল বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। এ বছর সেটা করা হবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হবে। পরীক্ষামূলকভাবে এসব শ্রেণিতে প্রণয়ন করা হয়েছে পাঠ্যবই।

বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্য বইয়ের ভুল-ত্রুটি সংশোধনে প্রতিটি বইয়ের জন্য একজন করে বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ভুল ধরে তারা তা এনসিটিবির উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দেয়। সম্প্রতি এ কমিটি ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১ বইয়ের ভুল ও সংশোধনীগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সেখান থেকে ভুলগুলোর সংশোধনী দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নবম শ্রেণির ১১টি বইয়ে ৭৭টি, অষ্টম শ্রেণির ১০টি বইয়ে ৪৯টি, সপ্তম শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১১টি এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১০টি ভুল রয়েছে।

বানান ভুল যেমন আছে, তেমনই কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধন কিংবা বাদ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া তথ্যগত ভুলও রয়েছে। এনসিটিবি জানায়, এবার পাঁচটি পদ্ধতিতে বইগুলোর ভুল-ত্রুটি ও অসংগতি বের করা হয়েছে। দুই/এক দিনের মধ্যে সংশোধনীগুলো শিক্ষা অধিদফতরগুলোর মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। পরে শ্রেণিশিক্ষকরা শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে এই ভুল ও অসংগতিগুলোর সংশোধন নিশ্চিত করবেন।

জানতে চাইলে এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, এ বছর পাঠ্যপুস্তকে যেসব ভুল-ত্রুটি সংশোধন করা প্রয়োজন, তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে তা শিক্ষা অধিদফরের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সংশ্লিষ্ট শ্রেণিশিক্ষকের মাধ্যমে প্রতিটি শ্রেণির প্রতিটি শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে সংশোধন-সংযোজন নিশ্চিত করবেন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




বায়ুদূষণে শীর্ষে বাগদাদ, ঢাকার অবস্থান ৬

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ বাড়ছে। মাঝে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হলেও কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় ঢাকার বাতাসের মান আবারও দূষণের দিকে যাচ্ছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৬ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’।

দূষিত শহরের তালিকায় ৪০১ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ, ১৯৭ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, ১৬৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু, ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এ ছাড়া ১৫২ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ভারতের কলকাতা।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি’ বা গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ’ বা ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের পর দিন ঢাকায় বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। এর তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বিশ্বে বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ছে।


আরও খবর



জনবহুল পয়েন্টে খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ নগরজীবন। প্রকৃতি পুড়ছে গ্রীষ্মের খরতাপে। দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে নগরজীবন। তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠেছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অসহনীয় গরম আর দাবদাহে বিমর্ষ এখন প্রাণ-প্রকৃতি।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করছে ঢাকা ওয়াসা।

ঢাকা ওয়াসার উপ-প্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার গ্রাহকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বা শরীরে পানি শূন্যতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ঢাকা মহানগরীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। গ্রাহকদের প্রয়োজনে পানি সেবা নিয়ে পাশে থাকছে ঢাকা ওয়াসা। আর এ সেবা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চালু থাকবে।


আরও খবর