বঙ্গবন্ধু টানেল দেশের ইতিহাসে উন্নয়নের মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
শুক্রবার (২৭অক্টোবর) চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় কেইপিজেড মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা নিয়ে দুপুরে জনসভাস্থলে এক প্রেসব্রিফিংকালে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হানিফ বলেন, এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে উন্নয়নের একটা মাইলফলক। আমরা উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে গেলে দেখতাম নদী-সাগরের তলদেশ দিয়ে অবাক করার মতো টানেল, রাস্তা আছে। সেই অবাক বিশ্বের টানেলটি আজ আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী তৈরি করেছেন চট্টগ্রামের সাথে কক্সবাজারের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার জন্য। কেবল চট্টগ্রামই নয়, পাশাপাশি সারাদেশ থেকে যারা কক্সবাজার যাবে সবার জন্যই এই টানেলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন। এ জনসভায় প্রধানমন্ত্রী আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের পক্ষে যারা নির্বাচন করবেন তাদের পক্ষে কিভাবে কাজ করবেন এ বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনা দেবেন। বিগত সময়ে সরকারের যে উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে এসব কিছু প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরবেন। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সকল প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি, সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ ও বাংলাদেশ অঅওয়ামীলীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক শাহজাদা মহিউদ্দিন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক, আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী প্রমূখ।
এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, বিএনপি অপরাজনীতি করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ছিলনা। তারা ২০১৩,১৪ ও ১৫ সালে সারা দেশে যে নাশকতা করেছেন ,জ্বালাও পুড়াও করেছেন এর কারনে জনগণ তাদের প্রত্যাক্ষান করবে , ভোট দেবে না, এটা জেনে তারা নির্বাচনে আসতে চাইনা। কিন্তু আমার বিশ্বাস বিএনপি এখন যে অবস্থায় আছে তাতে তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, এই টানেল আমাদের বড় পাওয়া। এই টানেল দক্ষিণ চট্টগ্রামকে নতুন রূপ দেবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর আগমণে চট্টগ্রামবাসী আনন্দে ভাসছে। জনসভা জনসমুদ্রে রূপ দেবে।