আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিটুমিনের উৎপাদনে কর বেশি, আমদানিতে কম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

স্থানীয় উৎপাদন উৎসাহিত করে আমদানি নিরুৎসাহ করতে মেড ইন বাংলাদেশ পণ্যের ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। বাজেটে স্থানীয় শিল্পে করছাড়সহ নানা নীতি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। শিল্প, সেবা, কৃষি খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রম শুধু বিটুমিনশিল্প।

সারা দেশে সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণের অন্যতম উপকরণ বিটুমিনশিল্প করবৈষম্যের শিকার।

উদ্যোক্তারা জানান, বিপুল বিনিয়োগে গড়ে ওঠা দেশীয় বিটুমিনশিল্পে উৎপাদন পর্যায়ে ২৬ শতাংশ পর্যন্ত কর ধার্য আছে। কিন্তু আমদানির ক্ষেত্রে কর কম। দেশে বিটুমিনের কাঁচামাল আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। কিন্তু পরিশোধিত বিটুমিন আমদানিতে কোনো ভ্যাট নেই। আমদানি করা বিটুমিনের সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট মাত্র ৫ শতাংশ। আর দেশে উৎপাদিত বিটুমিনে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। এই বৈষম্যমূলক কর কাঠামোকে শিল্প সহায়ক নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, স্থানীয়ভাবে অন্যান্য পণ্য উৎপাদনে যেসব সুবিধা দেওয়া হয়েছে, বিটুমিন উৎপাদনের ক্ষেত্রেও সেসব সুবিধা নিশ্চিত করা উচিত সরকারের। বাজারে অসম প্রতিযোগিতা থাকলে দেশীয় বিটুমিন উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান টিকে থাকতে পারবে না।

বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, দেশীয় শিল্প সুরক্ষার স্বার্থে কোনোভাবেই বৈষম্যমূলক কর কাঠামো দেখতে চাই না। যেখানে তৈরি পণ্য আমদানিতে ভ্যাট নেই, সেখানে দেশীয় শিল্পের উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট অযৌক্তিক ও অন্যায়। দেশীয় বিটুমিন সরবরাহ পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাটও অপ্রত্যাশিত। দেশীয় বিটুমিনশিল্পের সুরক্ষায় যৌক্তিক কর নির্ধারণে পরামর্শ দেন তিনি।

বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক খান মাহমুদ আমানত বলেন, যত দিন আমদানি নিরুৎসাহ করতে সরকার কঠোর নীতিমালা না করবে, তত দিন পর্যন্ত বিদেশ থেকে নিম্নমানের বিটুমিন আমদানি করার সুযোগ থাকবে। দেশি শিল্পকে উৎসাহিত করবে, নাকি আমদানিনির্ভর অর্থনীতিতেই থাকবে, এটা সরকারকেই ঠিক করতে হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমদানির চেয়ে দেশীয় শিল্প-কারখানায় উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাড়তি কর আরোপ করা হলে তা হবে দেশীয় শিল্পের স্বার্থবিরোধী কার্যক্রম। সরকারের দেশীয় শিল্প সুরক্ষা নীতিরও পরিপন্থী। এই বৈষম্যমূলক কর কাঠামো সংশোধন করা উচিত।

বন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আমদানি পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি ও তদারকি না থাকায় নিম্নমানের বিটুমিন আনা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ থেকে। আর অধিক মুনাফার আশায় কিছু সংস্থা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করছে। এর খেসারত গুনতে হচ্ছে সরকার ও জনগণকে।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বর্তমানে দেশে বিটুমিনের বার্ষিক চাহিদা প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টন। অবকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিবছরই চাহিদা বাড়ছে। স্থানীয়ভাবে বিটুমিন উৎপাদনের জন্য প্রধান কাঁচামাল হচ্ছে পেট্রোলিয়াম অয়েলস অ্যান্ড অয়েলস অবটেইন্ড মিনারেলস, ক্রুড। এই কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কর ৫ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, আগাম কর ৩ শতাংশ এবং অগ্রিম আয়কর ২ শতাংশ। ৫ শতাংশ সিডিসহ মোট আমদানি শুল্ক দাঁড়িয়েছে ২৬ শতাংশ। এ ছাড়া প্রতি ব্যারেলের ট্যারিফ মূল্য ৪০ মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে তৈরি বিটুমিন আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি টনের শুল্ক কর নির্ধারিত রয়েছে চার হাজার ৫০০ টাকা। এর সঙ্গে অগ্রিম আয়কর ২ শতাংশ এবং আগাম কর ৫ শতাংশ। কেউ বাল্ক আকারে আমদানি করলে প্রতি টনে তিন হাজার ৫০০ টাকা আমদানি শুল্ক নির্ধারিত রয়েছে। এর সঙ্গে এআইটি ২ শতাংশ এবং এটি ৩ শতাংশ।

এ অবস্থায় কাঁচামাল আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ৫ শতাংশ শুল্ক কর মওকুফ চান বিটুমিন উৎপাদকরা। তাঁরা বলছেন, দেশে এ খাতে বিনিয়োগের ফলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। একই সঙ্গে বিদেশে বিটুমিন রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ আছে। এখন দরকার যথাযথ নীতি সহায়তা ও যৌক্তিক কর কাঠামো।

পাশের দেশ ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশ তাদের স্থানীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণার্থে শিল্পের মূল কাঁচামালের ওপর থেকে শুল্ক ও অন্যান্য কর প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট শিল্পের সুষ্ঠু বিকাশের স্বার্থে ফিনিশড পণ্যের ওপর বিভিন্ন রকমের শুল্ক ও অন্যান্য কর আরোপ করেছে।

বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক হাসিব মোহাম্মদ আহসান বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান যদি দেশে বিটুমিন উৎপাদন করতে চায়, তাহলে আমাদের স্বাগত জানানো উচিত। দেশে একটা শিল্প হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। দেশে উৎপাদন হলে বিটুমিনের মান নিয়ন্ত্রণ দেশেই করতে পারব আমরা।’


আরও খবর



পাঁচদিনে সোনার দাম কমলো ৬৪৯৭ টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৬৩০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা।

শ‌নিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯২ হাজার ৪০২ টাকা। ত‌বে সব ধর‌নের সোনার দাম কমলেও সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম বা‌ড়ি‌য়ে ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা করা হয়েছে।

এর আগে গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ও ২৭ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোরর ঘোষণা দিলো বাজুস। চার দিনে ভ‌রি‌তে সোনার দাম কমেছে ৬ হাজার ৪৯৮ টাকা।


আরও খবর



বৃষ্টিতে বন্ধ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ভারতের নারীদের দেখেশুনে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ম্যাচের মাঝখানে হঠাৎ হানা দেয় বৃষ্টি। বৃষ্টিতে বন্ধ রয়েছে ম্যাচটি। বন্ধ হওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান।

ব্যাট হাতে বাংলাদেশের হয়ে অপরাজিত আছেন মুর্শিদা খাতুন। ২৮ বলে ২৫ রান করেছেন এই ওপেনার। তার সঙ্গে আছেন সদ্য ক্রিজে নামা রিতু মনি। দুই বল খেললেও এখনও রানের খাতা খোলেননি রিতু।

ওপেনিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ১৪ রানে দিলারা আক্তারের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৬ বলে ১০ রান করে দীপ্তি শর্মার বলে রেনুকা সিংয়ের ক্যাচে পরিণত হন দিলারা। আগের ম্যাচে একাই বাংলাদেশকে টেনে নেওয়া জ্যোতি এদিন ব্যর্থ হন ভালো ইনিংস খেলতে। ১১ বলে ছয় রান করে রাধা যাদবের বলে লেগবিফোর হন তিনি।

টসের পর অধিনায়ক জ্যোতি বলেছিলেন, প্রথম ম্যাচে আমাদের বোলাররা ভালো করেছেন। ব্যাটিংটা ঠিকঠাক হয়নি। আজ আশা করি ব্যাটাররা নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে ঠিকঠাক। সবাই সবার জায়গা থেকে ইফোর্ট দিলে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা থাকে।


আরও খবর



চরম উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ’র রকেট হামলা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের ওপর শিগগিরই সরাসরি ইরানের হামলার শঙ্কার মধ্যে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর ইসরায়েলে দখলদারদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর আর্টিলারি অবস্থানে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট হামলা চালিয়েছে তারা।

এক্সে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, লেবানন সীমান্তের কাছে গ্যালিলি প্যানহ্যান্ডেলের শহরগুলোর আকাশে অসংখ্য রকেট ও ড্রোন। এর আগেই সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করা হয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর ছোড়া গুলিতে সেসব রকেট ও ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ৪০টির মতো রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, যার বেশিরভাগই আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। বাকিগুলো খোলা জায়গায় ও লেবানন সীমান্তেই পড়েছিল।

আইডিএফ আরও বলেছে, ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী উত্তর ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ দ্বারা উৎক্ষেপিত দুটি বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

এদিকে নিউইয়র্ক পোস্টের খবর, বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলের উত্তর অথবা দক্ষিণে হামলা করতে পারে ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি শুক্রবার বলেন, কোন আকারে, কোন মাত্রায় এবং কোন সুযোগ নিয়ে হামলা হতে পারে, তা আমি বলতে পারছি না। তবে ইরানের হামলার হুমকি কার্যকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন খুব, খুব নিবিড়ভাবে বিষয়টি দেখছে।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, হামলায় রাইসি প্রশাসন ১০০টি ড্রোন এ কয়েকডজন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে। তা ঠেকানো ইসরায়েলের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে বলেও জানান মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে শেষ মুহূর্তে ইরান হামলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে বলেও ধারণা তাদের।

গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে বিমান হামলা চালায়। এতে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হন। এরপর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এর প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করে তেহরান।


আরও খবর



লোকচক্ষুর আড়ালে আন্তদেশীয় তৎপরতায় কুকি চিন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ। মাত্র দুই বছর আগে আত্মপ্রকাশ করা সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি কায়েম করেছে ত্রাসের রাজত্ব। দেশের পার্বত্য অঞ্চলে হঠাৎ মাথাচাড়া দেয়া এই পাহাড়ি সংগঠন এখন যেন এক ত্রাসের নাম।নিজেদের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিতই আপলোড করে থাকে চোরাগোপ্তা হামলার ছবি-ভিডিও।

শুধু বাংলাদেশের পাহাড়ই নয়; কুকি জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র হামলায় বিপর্যস্ত ভারতের মণিপুর রাজ্য। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা ছাড়াও তারা জড়িয়ে পড়েছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়। মিয়ানমারের চিন প্রদেশেও সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে আসছে, স্থানীয় কুকি-চিন জনগোষ্ঠী।

দুর্গম সীমান্ত আর তিন দেশের জটিল একটি ভৌগলিক সীমায় অবস্থানের সুযোগে, এক দেশে অভিযানের মুখে পড়লে সহজেই আশ্রয় নিচ্ছে অন্য দেশে। যাতে আঞ্চলিক ঝুঁকির মুখে পড়ছে গোটা অঞ্চল। বিশ্লেষকদের আশংকা অদূর ভবিষ্যতে আন্ত:দেশীয় সংগঠনে পরিণত হতে পারে, কেএনএফ। দেশে দেশে খুলতে পারে সশস্ত্র শাখা।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর অব. এমদাদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ত্রিদেশীয় একটি সম্মেলন এখানে আছে। চীনের একটি স্টেটের অংশ এসে মিশছে ওইদিকের মিজোরাম এবং বান্দরবান দিয়ে। ওখানে নোম্যানস ল্যান্ডের মত একটি এলাকা আছে, যেখানে তারা চাইলেই যোগাযোগ করতে পারে। এটা যদি এখন থেকেই দমন করা না হয় তবে আমাদের সার্বিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

কেএনএফের পেছনে কোনো আন্তর্জাতিক মদদ রয়েছে কি না, প্রশ্ন উঠছে সে বিষয়টি নিয়েও। ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে বসবাসরত কুকি-চিনরা খ্রিস্ট ধর্ম মেনে চলায়; এ সব অঞ্চল নিয়ে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো কোন দাবার চাল চালছে কি না তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। এজন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যক্রম নজরদারিতে রাখার কথাও বলছেন তারা।

এমদাদুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ে বেশ কিছু এনজিও যারা সবসময় এদেরকে মদদ দেয়, উৎসাহ দেয়। এ বিষয়গুলো নজরদারিতে রাখা অবশ্য উচিত।

কেএনএফের তৎপরতা রুখতে সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য বিনিময় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন, এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

নিউজ ট্যাগ: কুকি চিন

আরও খবর



মৌসুমের আগেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাধারণত বর্ষার ঠিক আগে আগে শুরু হয় ডেঙ্গুর প্রকোপ। বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে ডেঙ্গুর মৌসুম ধরা হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে সারা বছরই কম-বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২ জন। এ সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৭৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সামনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।  

ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত রোগ। এ রোগের ভাইরাসের একমাত্র বাহক স্ত্রী এডিস মশা। এ মশার মাধ্যমে ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমিত হলে ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এডিস মশা কামড়ালেও মশার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত বাহক অন্য জায়গায় ভ্রমণের মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত ব্যক্তি যখন অন্য জায়গায় ভ্রমণ করেন, সেখানে তাকে এডিস মশা কামড়ালে সেই মশার ভেতরেও ডেঙ্গুর জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, আর সেসব মশা যাদের কামড়ায় তাদের ডেঙ্গুরোগ হতে পারে।

বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায় বলে এ সময় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এমন ধারণা প্রচলিত থাকলেও বিগত কয়েক বছরে দেখা গেছে, উপযুক্ত পরিবেশ পেলে বছরের যেকোনও সময় এ মশার বংশবিস্তার ঘটে এবং ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৯ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে রোগী ছিল ১ হাজার ৫৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৩৯ জন এবং মার্চে ৩১১ জন। এপ্রিলের ৯ দিনে রোগী পাওয়া গেছে ৮৪ জন।

গত বছর এযাবৎকালের সর্বাধিক ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়। তবে তখন রোগী বেশি ছিল মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ বছর জানুয়ারিতেই হাজারের বেশি রোগী পাওয়া গেছে, যা আগে কখনও পাওয়া যায়নি। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে রোগী পাওয়া যায় ১২৬ জন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে রোগী ছিল ৩২ জন।

বিগত দিনগুলোর তুলনায় এ বছর মৃত্যুও বেড়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে মারা গেছেন ১৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে ৫ জন। গত বছরের জানুয়ারিতে মারা যান ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে কোনও মৃত্যু ছিল না। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি। তার আগে ২০২১ সালেও এই সময়ের মধ্যে এই রোগে মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কীটতত্ত্ববিদ ও চিকিৎসকরা বলছেন, এবারে পরিস্থিতি গতবারের চেয়ে নাজুক হতে পারে। সংক্রমণ ও মৃত্যু সেই পূর্বাভাস দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, বিভাগীয় ও জেলা শহরে স্বাস্থ্য অবকাঠামো যথেষ্ট আছে। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে বেশি রোগী হলে তা সামলানো কঠিন হয়ে যাবে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক কীটতত্ত্ববিদ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বছরজুড়ে চালাতে হবে। গত বছর আমরা গ্রামাঞ্চলে রোগী পেতে শুরু করেছি। এ বছর এই পরিমাণটা আরও বাড়তে পারে। বাড়লে আমাদের চিকিৎসা সক্ষমতার ওপর অনেক চাপ পড়বে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. জি এম সাইফুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত আমরা দেখেছি, মার্চ-এপ্রিলে ডেঙ্গুরোগী পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের পর থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দুই-এক মাস বাদ দিয়ে প্রায় সব মাসেই ডেঙ্গুরোগী পাওয়া গেছে। ২০১৬ থেকে আজ পর্যন্ত প্রতি মাসেই একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী পাওয়া যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এডিস মশার উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসা পরের কথা। চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার সেটা নিয়ে আমরা এরইমধ্যে একটা মিটিং করেছি। এখন আবার বসবো যেন চিকিৎসায় কোনও ঘাটতি না হয়।


আরও খবর