আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্বের সব থেকে বিষধর দশটি সাপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সাপের নাম শুনলেই অনেকে ভয় পেয়ে যান। অনেকে আবার সাপ দেখলে ঘৃণাতে মুখ সরিয়ে নেন। সাপকে প্রাণি হিসেবে আমরা যে কারণে ভয় পাই তার মূল কারণ হচ্ছে এর বিষ। বিষাক্ত সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়, তাই বিষাক্ত সাপ থেকে সবাই দূরে থাকে। এই সাপের মধ্যে কিছু আছে বিষহীন, আবার কিছু আছে খুবই বিষাক্ত। পৃথিবীর সব থেকে বিষধর সাপ কোনগুলো? এ নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন।

১০.র‌্যাটল স্নেক

যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া যায় এই র‌্যাটল স্নেক। এদের লেজের দিকে ঝুনঝুনি সদৃশ বিশেষ অঙ্গ তাকে যার সাহায্যে তারা শব্দ করতে পারে। শরীরে দুই-তৃতীয়াংশ লাফিয়ে আক্রমণ করে থাকে। এটি উত্তর আমেররিকার সব থেকে বিষধর সাপ। এই সাপে কামড়ালে শিশুদের দ্রুত মৃত্যু হয়। এই সাপের বিষ টিস্যু নষ্ট করে ফেলে রক্ত জমাট বেঁধে যায় ফলে এর সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। এই সাপে কামড়ানোর পর শ্বাসকষ্ট, প্যারালাইসিস, বমি, রক্ত বমি, চেতনাহীন হয়ে পড়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

৯. ডেথ এডার

ডেথ এডার সাপ বিষের দিক থেকে নবম স্থানে রয়েছে। নামের সাথে এই সাপের কামড়েরও যথেষ্ট মিল পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউগিনিতে এই সাপ দেখতে পাওয়া যায়। ডেথ এডার মূলত অন্য সাপকে তাড়া করে কামড়িয়ে মারে এবং খেয়ে ফেলে। এক কামড়ে এই সাপ ৪০-১০০ মিলিগ্রামের মত বিষ ঢেলে দেয়। এই সাপে কামড়ালে শ্বাস কষ্ট ও প্যারালাইসিস দেখা দেয়। ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই কামড়ে আহত ব্যক্তির মৃত্যু হয়ে থাকে। এই সাপ একবার বিষ ঢালার পর দ্রুততম সময়ে এদের বিষ থলিতে আবারও বিষ উৎপাদন করতে পারে।

৮. ভাইপারস

ভাইপারস মূলত সাপের একটি জাত। এই জাতের অনেক ধরনের সাপ আছে। সারা বিশ্বেই ভাইপারসদের দেখা যায়। মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়ার ভারত, চীন এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এদের বেশি দেখা যায়। এরা খুব দ্রুত রেগে যায় এবং প্র্রধানত রাতের বেলা শিকারে বের হয়। এরা খুব দ্রুত আক্রমণ করে থাকে। ভাইপারসে কামড়ালে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। পরে শ্বাসকষ্টের সাথে প্যারালাইসিস দেখা দেয় এবং হৃদস্পন্দন আস্তে আস্তে কমে যায়। এই সাপে কামড়ালে শরীরের উপর থেকেই বোঝা যায় যে রক্ত জমাট বেধে যাচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়। যদি দ্রুত চিকিৎসা দেয়া যায় তাহলেও ২-৪ সপ্তাহ নাগাদ প্রচণ্ড ব্যথা থাকে।

৭.ফিলিপাইনন্স কোবরা

পৃথিবীর সব কোবরাই বিষাক্ত এবং ভয়ানক সাপ। কিন্তু অন্যসব কোবরা থেকে ফিলিপাইন কোবরা একটু আলাদা। কোবরা প্রজাতির মধ্যে এরাই সব থেকে বেশি বিষধর। এরা প্রায় তিন মিটার দূর থেকে বিষ ছুড়ে মারতে পারে।এই সাপে কামড়ালে আধা ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু হয়। কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীর অবশ, মাথা ঘোরানো, বমি, মেরুদণ্ডে ব্যথা, পাতলা পায়খানাসহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

৬. টাইগার স্নেক

টাইগার স্নেক অন্যতম বিষাক্ত সাপ। এই সাপে কামড়ানোর তিরিশ মিনিটের মধ্যে মানুষ মারা যায়। এই সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যুর হার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। এরা সাধারণত মানুষ দেখলে ভয়ে পালায়। কিন্তু একবার ক্ষেপে গেলে এই সাপ বেশ ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করে। টাইগার স্নেকের নিশানা কখনো মিস হয় না।

৫. ব্ল্যাক মামবা

আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্ল্যাক বামবা নামক ভয়ঙ্কর এই সাপের দেখা মেলে। ক্ষ্যাপাটে স্বভাবের জন্য এরা বিশ্বে প্রথম। কোন ব্যক্তি যদি একবার ব্ল্যাক বামবার পাল্লায় পড়েন, তাহলে কামড় না খেয়ে ফিরে আসতে পারবেন এমন সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ এই সাপ যাদের উপর ক্ষেপে যায় তাদেরকে ঘোড়ার মত তাড়া করে কামড়ে দেয়। এরা বেশ দ্রুতগামী। দেখতে প্রধানত কাল হয়। প্রায় বিশ কিলোমিটার ঘন্টা গতিতে তাড়া করার ক্ষমতা রাখে ব্ল্যাক বামবা। একই সারিতে ১২বারের বেশি কামড়ে দেয় এরা। এদের প্রতিটি কামড়ে ১০০-১২০ গ্রাম বিষ বের হয় যা ১০-২৫ জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

৪. টাইপান

টাইপান সাপ অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়। টাইপানের এক কামড়ে ১২ হাজার গিনিপিগের মৃত্যুর মত যথেষ্ট বিষ থাকে। এর বিষ রক্তনালী বন্ধ করে দেয়। এই সাপের কামড় থেকে বেঁচে ফিরেছেন এই সংখ্যা খুবই কম। যথার্থ চিকিৎসা দেয়া হলেও অনেক সময় রোগিকে এক নাগারে বহুদিন নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকতে হয়।

৩. ব্লু ক্রিট

ব্লু ক্রিট সাপ দেখতে পাওয়া যায় দক্ষিণ এশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াতে। ক্রিট অন্য সাপ শিকার করে এবং খেয়ে বাঁচে। রাতের বেলা বের হয়।অন্ধকারে আক্রমণ করতেই এরা বেশি পছন্দ করে। এই সাপ নিজেদের প্রজাতিকে খেয়ে ফেলে। এই সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যুর হার ৮৫ শতাংশ। এই সাপের বিষ একবার শরীরের ভিতরে ঢুকলে শরীর সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যায়।

২.ইনল্যান্ড টাইপান

টাইপান সাপের মধ্যে এই ইনল্যান্ড টাইপান্ড আরেকটি জাত। বিষের কার্যক্ষমতার দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ার ইনল্যান্ড টাইপান সাপের অবস্থান দ্বিতীয়। এদেরকে ক্ষুদ্র-আঁশের সাপও বলে। অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের কাছে সাপটি দানদারাবিল্লা নামে পরিচিত। বলা হয়ে থাকে, এই সাপ এক দংশনে যে পরিমাণ বিষ নির্গত করে তাতে অনায়াসে শতাধিক পূর্ণ-বয়স্ক মানুষের মৃত্যু ঘটা সম্ভব। কোনরূপ প্রতিষেধক ব্যবস্থা না নিলে এই সাপে দংশনের সময় থেকে মৃত্যুর দূরত্ব মাত্র ৪০-৪৫ মিনিট। এরা ঋতুর সাথে রঙ বদলায়- গ্রীষ্মে জলপাই রঙের আর শীতে ধূসর। আফ্রিকার ব্ল্যাক মামবা বা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার লম্বা কিং কোবরার মতো এরা ক্ষিপ্র ও আক্রমণাত্মক নয়। ভয়াবহ রকমের বিষাক্ত এই সাপ সচরাচর মানুষের সান্নিধ্যে আসতে চায় না, আক্রমণও করতে চায় না। এদের বিষ কোবরার থেকে ১৫ গুন বেশি শক্তিশালী।

১. বেলচারস সী স্নেক

ভেনামাস প্রাণিকূলে সরীসৃপের মধ্যে সবচেয়ে বিষাক্ত হলো বেলচারস সী স্নেক। অস্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূল এবং দক্ষিণ এশিয়ার উপকূলের সাগরের জলে এদের দেখা পাওয়া যায়। এই সাপের এক কামড়ে যতটুকু বিষ বের হয় তা দিয়ে প্রায় এক হাজার পূর্ন বয়স্ক মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করা সম্ভব। কিন্তু এই সাপটি খুবই শান্ত ও লাজুক প্রকৃতির। বিশেষ করে জেলেদের মাছ ধরার সময় জালের ভিতরে ধরা পড়ে। এই সাপ মাঝে মাঝেই ভূমিতে যায়।পানির নিচে এরা ৭৮ ঘন্টা দম বন্ধ করে থাকতে পারে। এই সময়ের মধ্যে তারা শিকার ধরে এবং বিশ্রাম নেয়।


আরও খবর
ব্যাটারি চেক করার দিবস আজ

রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪




ঈদের আনন্দ থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদেরকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপ্রধান বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে দেশবাসীকে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ মিলেমিশে উপভোগের অনুরোধ জানান।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিনি দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। এই ঈদের মধ্যেও ফিলিস্তিনসহ বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছেন উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি ফিলিস্তিনের নির্মমতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, একজন মানুষ হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করা।

মনে রাখতে হবে দুঃখ একলা ভোগ করা যায়, কিন্তু আনন্দ একলা ভোগ করা যায় না-সকলকে নিয়ে আনন্দ করতে হয়, বলেন রাষ্ট্রপতি।

মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তুলুক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম উল্লেখ করে রাষ্ট্র প্রধান বলেন, মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য, পারস্পরিক সহাবস্থান ও সহযোগিতা- ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঈদের আনন্দ থেকে পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার ও তাগিদ দেন।

তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্মাট বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এর আগে রাষ্ট্রপতি এবং তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

রাষ্ট্রপতি রাজনীতিবিদ, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, কূটনৈতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীর পবায় ট্রাকচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, আসিফ ইকবাল (১৯), সুইট (৩১) ও তাজুল ইসলাম (২৫)। এদের মধ্যে আসিফ দামকুড়া উপজেলার নতুন কশবা এলাকার লাল মোহাম্মদের ছেলে, সুইট সুত্রাবন এলাকার আলমগীরের ছেলে ও তাজুল ইসলাম তাজুল লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি এলাকার মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে।

অপরদিকে আহতরা হলেন, মো. জুলহাস উদ্দিন (৩২) ও মো. রিমন হোসেন (৩৫)। জুলহাস জেলার দামকুড় উপজেলার আলীগঞ্জ এলাকার মো. রবিউল ইসলামের ছেলে ও রিমন একই উপজেলার নতুন কশবা এলাকার মো. মানিক মিয়ার ছেলে।

দামকুড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর বলেন, বিকেলে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় বালুবাহী একটি ডাম্পট্রাক দুটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এসময় পাঁচ আরোহীর মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



মহান মে দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন এই মহান মে দিবস। ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন। ওই আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন কয়েকজন বিপ্লবী শ্রমিক। এই দিনটির স্মরণে বিশ্বের দেশে দেশে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি।

মহান মে দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের সব শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বাণী দেওয়া হয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংস্থা ও সংগঠন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

মহান দিবসের সূচনা আজ থেকে ১২৭ বছর আগে মার্কিন মুলুকে। ১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে একদল শ্রমিক মালিকপক্ষকে দৈনিক ৮ ঘণ্টা কর্মসময় নির্ধারণের দাবি জানান। এ দাবি পূরণের সময় হিসেবে ১৮৮৬ সালের ১ মে নির্ধারণ করেন শ্রমিকরা। কিন্তু কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের এ দাবি কানে তোলেননি। তাই দাবি আদায়ে পহেলা মে শিকাগোতে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিকের জমায়েত ঘটে। একপর্যায়ে শ্রমিকদের দমাতে শক্তি প্রয়োগ করে পুলিশ। সংঘর্ষ হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এতে এক শ্রমিক নিহত ও অনেকে আহত হন। এর প্রতিক্রিয়ায় ওই বছরের ৪ মে শিকাগোর হে মার্কেটে শ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় হঠাৎ বোমা হামলায় নিহত হন এক পুলিশ কর্মকর্তা। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে পুলিশ। এতে নিহত হন ১০-১২ শ্রমিক। আহত হন আরও অনেকে।

সে দিন শ্রমিকদের আত্মদান বিফলে যায়নি। শিকাগো শহরের রক্তাক্ত ইতিহাস সারা বিশ্বে শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে আলোড়ন তোলে। এ ঘটনার দুই বছর পর ১৮৮৯ সালে প্যারিসে ফরাসি বিপ্লবের ১০০ বছর পূর্তিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের প্রথম কংগ্রেসে শিকাগো শ্রমিক আন্দোলনের দিনটিকে ১৮৯০ সাল থেকে পালনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ১৮৯১ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কংগ্রেসে প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়।

সেই থেকে শ্রমিকদের কাজের সময়সীমা দিনে আট ঘণ্টা করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি এই দিনটিকে শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই দিনে ছুটির কথাও বলা হয়। সেই থেকে আজও মে মাসের প্রথম দিনটিকে (মে ডে) শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

মে দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের প্রতি সম্মান জানিয়ে ১ মে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু পরিত্যক্ত কলকারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।

কর্মসূচি : আজ ১ মে বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকাল ৩টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে শ্রমিক জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেরও কর্মসূচি রয়েছে।


আরও খবর



পাহাড়ের বৈসাবির আয়োজন রাজধানীতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় পাহাড়িদের বৈসাবি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর রমনাপার্ক লেকে ফুল ভাসিয়ে তিন পার্বত্য জেলার নারী-পুরুষেরা এ অনুষ্ঠান উদযাপন করেন। এর আগে সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈসাবি উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি। অনুষ্ঠানে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরাসহ সরকারের অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে বৈসাবি বরণ শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বৈসাবি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। বৈসাবি মূলত বর্ষবরণ ও পাহাড়িদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সম্মিলন। বৈসাবির ঐতিহ্য সমতলের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রতিবছর ঢাকায় এই আয়োজন করা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও আস্থা সুদৃঢ় হয়। যার মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলের শান্তি আরও সুদৃঢ় হবে। পক্ষান্তরে এটি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

এডিশনাল ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা সাংবাদিকদের বলেন, ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু- এই তিন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে বৈসাবি। ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমারা ধর্মীয়ভাবে সংখ্যাধিক্য। এই তিন ধর্মাবলম্বীদের পাহাড়ের অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে ধর্মীয় ও সামাজিক জীবন-যাপনের মিল রয়েছে বিধায় পাহাড়ের সবাই মিলে এই অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে থাকেন। পাহাড়িদের যারা ঢাকায় অবস্থান করেন তারা রমনার লেকে ফুল ভাসিয়া অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে থাকেন। অধিকাংশরা নাড়ির টানে নিজ এলাকায় চলে যান।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রধান উৎসব বৈসাবি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার বেইলি রোডের পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স হতে রমনা লেক পর্যন্ত পার্বত্য তিন জেলার পাহাড়ি ও বাঙালিদের সমন্বয়ে নানান সাজে সজ্জিত ব্যানার, ফেস্টুনসহ এক বর্ণিল শোভাযাত্রা র‍্যালির আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রা র‍্যালি শেষে রমনা লেকের জলে ফুল ভাসিয়ে বৈসাবি উৎসব পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি জাতি-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বৈসাবি। এটি তাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর একটি।


আরও খবর



পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো বিজিপির আরও ১২ সদস্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১২ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির আষাঢ়তলী, জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউপির রেজু সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এ নিয়ে তিন দিনে দেশটির মোট ২৮ সেনা ও বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় ‍নিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনীর সদস্যরা সংঘাতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

ঘুমধুম ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বাবুল কান্তি চাকমা জানান, ওয়ার্ডের ফাত্রাঝিরি রেজু আমতলী পাড়া সীমান্ত দিয়ে দুই বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম আজ সকালে ১২ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নতুন করে আসা ২৮ জনই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে আগে থেকে ১৮০ জন আশ্রয়ে রয়েছে। ফলে সেখানে এখন মিয়ানমারের মোট ২০৮ জন সেনা ও বিজিপি সদস্য রয়েছেন।

আগে থেকে থাকা ১৮০ জনের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।

তারও আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।


আরও খবর