চলমান করোনা মহামারিতে
বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে নতুন
শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১শ’র বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন
করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় চার লাখ লোক।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির শীর্ষে
রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে জাপান, রাশিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ
কোরিয়া ও হাঙ্গেরি। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬১ কোটি ৮৪
লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৩৫ হাজার।
বৃহস্পতিবার
(২২ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট
ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায়
আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১০৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা
বেড়েছে দেড় শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ৩৫ হাজার ১১২ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে দেড় হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত
ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ৮৪ লাখ ৫৭ হাজার ৩৬৬ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে
নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৪৫ জন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন
১০৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি
৫ লাখ ৮৮ হাজার ১০২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪১ জনের।
অন্যদিকে দৈনিক
প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৬৫২ জন এবং মারা গেছেন ৩১৬ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৭৭ লাখ ১৮ হাজার ৫২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং
১০ লাখ ৮০ হাজার ২৯৭ জন মারা গেছেন।
ফ্রান্সে নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ২৫০ জন এবং মারা গেছেন ৩৩ জন। করোনা মহামারির
শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫০ লাখ ১১ হাজার ৬৬৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন
এবং ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৪ জন মারা গেছেন। একইসময়ে হাঙ্গেরিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
হয়েছেন ১২ হাজার ৩০৭ জন এবং মারা গেছেন ৪৮ জন।
জাপানে গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৫১০ জন এবং মারা গেছেন ১২৪
জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৭ লাখ ৭৯
হাজার ৩০৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৩ হাজার ৯৫১ জন মারা গেছেন। একই সময়ে দক্ষিণ
কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ২৩১ জন এবং মারা গেছেন ৫৯
জন।
লাতিন আমেরিকার
দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয়
অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৭ জন এবং নতুন
করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭ হাজার ৩৩৫ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে
মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৫১ হাজার ৭৪২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৫
হাজার ৬৫৬ জনের।
ইতালিতে গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ১৮৮ জন এবং মারা গেছেন ৪৬ জন।
করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২২ লাখ ১৮ হাজার ৮৪৬
জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭১৫ জন মারা গেছেন। একইসময়ে তাইওয়ানে
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৯ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৬ হাজার
৯০২ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।