চলমান করোনা মহামারিতে
বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত
রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন নয়শোর বেশি
মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে পৌনে ৩ লাখের নিচে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায়
শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ইতালি, তাইওয়ান, রাশিয়া,
ফ্রান্স ও জাপান। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৪৫ লাখ
ছাড়াল। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৮৯ হাজার।
শুক্রবার (২৮
অক্টোবর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ৯০৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে দুই শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে
মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ৮৯ হাজার ১৮২ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭২ হাজার ১৮৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৪০ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত
ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৪৫ লাখ ১২ হাজার ১৭৬ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৭৩৭ জন এবং মারা গেছেন ৭১ জন। করোনা মহামারির
শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২১ লাখ ৪৮ হাজার ৮৬৩ জন করোনায়
আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৬ হাজার ৪৮৫ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক
প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৩২৮ জন এবং মারা গেছেন ২০৯ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার ৯৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং
১০ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯১ জন মারা গেছেন।
ফ্রান্সে নতুন
করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৮৯ জন এবং মারা গেছেন ৭১ জন। করোনা মহামারির
শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন
এবং ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৭১ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
হয়েছেন ১ হাজার ৩৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৩৮ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৭ হাজার ৮৪৯ জন এবং মারা গেছেন ৮২ জন। এছাড়া
মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৪ লাখ ২ হাজার
২০৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৮৭২ জনের। একইসময়ে তাইওয়ানে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৭০২ জন এবং মারা গেছেন ৮৪ জন।
ইতালিতে গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩১ হাজার ৭৫৮ জন এবং মারা গেছেন ৯৪ জন। এছাড়া
মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৩৪ লাখ ৭৫ হাজার
১৮৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৪০ জনের। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৫০ জন এবং মারা গেছেন ২৬ জন।
লাতিন আমেরিকার
দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয়
অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৩ জন এবং নতুন
করে সংক্রমিত হয়েছেন ৮ হাজার ৫৮০ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে
মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৫৭ হাজার ৬৪৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৮
হাজার ১৩ জনের।
উল্লেখ্য, ২০১৯
সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০
সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর
আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।