আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্ব অর্থনীতিতে ১৩ লাখ কোটি ডলার সুদের বোঝা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

২০১০ সালের পর থেকে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়িয়েছে। ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে, ৫৮টি ধনী ও উদীয়মান অর্থনীতির সুদের হার গড়ে ২ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল। ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকে এসে পৌঁছায় ৭ দশমিক ১ শতাংশে। এই দেশগুলোর মোট ঋণ কোভিড-১৯ মহামারির আগে রেকর্ড ৩০০ ট্রিলিয়ন বা তাদের সম্মিলিত জিডিপির ৩৪৫ শতাংশ দাঁড়ায় যা আগের ২৫৫ ট্রিলিয়ন বা জিডিপির ৩২০ শতাংশের চেয়ে বেশি।

বিশ্ব যত বেশি ঋণী হবে, সুদের হার বৃদ্ধির জন্য তত বেশি বিষয়টি স্পর্শকাতর হবে। ধারকর্য ও সুদের উচ্চ হারের প্রভাব মূল্যায়ন করতে দ্য ইকোনমিস্ট ৫৮টি দেশের ফার্ম, পরিবার ও সরকারের সুদের হার বৃদ্ধির বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করেছে। একত্রে এই অর্থ দাঁড়িয়েছে বিশ্বব্যাপী জিডিপির ৯০ শতাংশের বেশি। ২০২১ সালে এসব দেশের সুদের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন বা সম্মিলিত জিডিপির ১২ শতাংশ। ২০২২ সাল নাগাদ এটি মোট ১৩ ট্রিলিয়ন ডলার বা ১৩ লাখ কোটি ডলার বা জিডিপির ১৪ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, এই হিসাব অনুমান নির্ভর। বাস্তবে বিশ্বে উচ্চ সুদের হার দ্রুত ঋণ-পরিষেবা খরচ বাড়ায় না। সরকারি ঋণের মেয়াদ পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে থাকে। অন্যদিকে, পরিবারগুলো স্বল্পমেয়াদে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা রাখে। ধরে নেওয়া হয়, সরকারি ঋণের জন্য পাঁচ বছরের মধ্যে এবং পরিবার ও কোম্পানির জন্য দুই বছরের সময়কালের মধ্যে সুদ হার বৃদ্ধি পায়। তা সত্ত্বেও, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি ক্লাব, ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টের গবেষণা দেখায় উচ্চ হার আয়ের তুলনায় ঋণের সুদ বাড়ানো হয়েছে। এভাবে অনুমান করা হয়, নামমাত্র আয় আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃদ্ধি পায় এবং ঋণ-টু-জিডিপি অনুপাত সমান থাকে। এটি জিডিপির ৫ শতাংশ বার্ষিক বাজেট ঘাটতি বোঝায়, যা কোভিডের আগের তুলনায় কম।

দ্য ইকোনমিস্টের বিশ্লেষকরা পরামর্শ দেন, যদি সুদের হার সরকারি বন্ড বাজারে মূল্যের পথ অনুসরণ করে, তাহলে সুদের আকার ২০২৭ সালের মধ্যে জিডিপির প্রায় ১৭ শতাংশে দাঁড়াবে। এই জাতীয় বিল বড় হবে, তবে নজিরবিহীন নয়। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকট, ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ১৯৮০-এর দশকে মূল্যস্ফীতির বিস্ফোরণে আমেরিকাতে সুদের খরচ জিডিপির ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবুও এই আকারের একটি গড় বিল এবং দেশগুলোর মধ্যে বড় পার্থক্যকে তুলে ধরবে। উদাহরণস্বরূপ, ঘানার সরকার ঋণ থেকে রাজস্ব অনুপাতে ছয়টির বেশি এবং সরকারি-বন্ডের ৭৫ শতাংশের সম্মুখীন হবে। যা প্রায় নিশ্চিতভাবে রাষ্ট্রীয় ব্যয়ে চোখের জল কমানোর মতো অবস্থা।

 নামমাত্র ট্যাক্স রাজস্ব, পরিবারের আয় এবং কর্পোরেট মুনাফা বৃদ্ধি করে মূল্যস্ফীতির বোঝা কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে। জিডিপির একটি অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী ঋণ ২০২১ সালে ৩৫৫ শতাংশের সর্বোচ্চ থেকে কমে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকায় পাঁচ বছরের ট্রেজারি মুদ্রাস্ফীতি-সুরক্ষিত সুরক্ষা বিলের পরিমাপ করা আসল হার ১ দশমিক ৫ শতাংশ হয়। ২০১৯ সালে গড়ে এটি ছিল শুন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ। তাহলে বোঝা কে বহন করছে? ৫৮টি দেশে পরিবার, কোম্পানি ও সরকারকে দুটি দিক অনুসারে তালিকা করা হয়। ঋণ থেকে আয়ের অনুপাত এবং গত তিন বছরে সুদের হার বৃদ্ধি। নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড ও সুইডেনসহ সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক দেশগুলো ক্রমবর্ধমান সুদের হারের প্রতি আরও সংবেদনশীল। তিনটিরই তাদের নিষ্পত্তিযোগ্য আয়ের প্রায় দ্বিগুণ ঋণের মাত্রা রয়েছে এবং ২০০৯ সালের শেষ থেকে স্বল্পমেয়াদি সরকারি বন্ড তিন শতাংশেরও বেশি পয়েন্ট বেড়েছে।

৩৯টি দেশের মধ্যে ৩৩টিতে ঋণের সঙ্গে মোট উৎপাদনের লাভের অনুপাত গত বছর কমেছে। আদানি গ্রুপের দুর্দশা সত্ত্বেও, ভারত ভালো স্কোর করেছে। বড় ঋণের বোঝা ও কঠোর আর্থিক অবস্থা এখনও কিছু কোম্পানির জন্য খুব বেশি হতে পারে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল নামে একটি গবেষণা সংস্থা বলছে, ইউরোপীয় কর্পোরেট ঋণের হার ২০২২ সালের শুরুতে ১ শতাংশের কম থেকে বছরের শেষ নাগাদ ২ শতাংশের বেশি হয়েছে।

শেষ ও সবচেয়ে ফলপ্রসূ পরিণতি হলো সরকারি ঋণ। ধনী-বিশ্বের সরকারগুলো বেশিরভাগই ভালো করছে। কিন্তু ইতালিতে অন্য কোনো ইউরোপীয় দেশের তুলনায় বন্ড বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে একটি ঝুঁকি রয়ে গেছে। ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক নীতি কঠোর করার ফলে এটি সার্বভৌম বন্ড কেনা বন্ধ করে দিয়েছে এবং মার্চ মাসে তার ব্যালেন্স-শিট সঙ্কুচিত করতে শুরু করবে। বিপদ হলো এটি সংকটকে প্ররোচিত করে।

উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো তাদের নিজস্ব মুদ্রায় ঋণ নেয়। তবে যারা বহিরাগত ঋণ পাওয়ার জন্য লড়াই করছে, তাদের সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে। আর্জেন্টিনা সম্প্রতি একটি বেল-আউট চুক্তিতে পৌঁছেছে, যার জন্য আইএমএফের ঋণ নেওয়া সহজ হবে। দেশটি ২০২০ সালে তার বাহ্যিক ঋণের জন্য খেলাপি হয়েছে। মিশর, যার মধ্যমেয়াদি সরকারি বন্ডের পরিমাণ প্রাক-মহামারি স্তরের প্রায় চার থেকে পাঁচ শতাংশ পয়েন্টের ওপরে রয়েছে। এই পথ অনুসরণ না করার চেষ্টা করছে। ঘানা, যেটি সম্প্রতি আর্জেন্টিনার মতো গুরুতরভাবে বিপর্যস্ত শিবিরে যোগ দিয়েছে, এখন আইএমএফ থেকে সমর্থন নিশ্চিত করার প্রয়াসে আর্থিকভাবে কঠোর হতে শুরু করেছে।

কিছু অর্থনীতির ভাগ্য পরিবর্তনে যেমন পারিবারিক ও ফার্মের এমনকি শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সমর্থনের প্রয়োজন, বিশেষ করে চীনের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করতে পারে। উচ্চ ঋণের মাত্রা সত্ত্বেও, দ্য ইকোনমিস্টের অনুমানে চীন র‌্যাংকিংয়র নিচের দিকে রয়েছে কারণ সুদের হার স্বাভাবিক। চীন এখন বিশ্বের দরিদ্র অর্থনীতির সবচেয়ে বড় ঋণদাতা। ফলে পশ্চিমা সরকারগুলো এদিকেও মনোযোগী হতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: বিশ্ব অর্থনীতি

আরও খবর



গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ 'বংশমর্যাদা'

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ মেলায় নানা জাতের গরু নিয়ে হাজির হয়েছিল সাদিক এগ্রো। এর মধ্যে আমেরিকার ব্রাহামা জাতের একটি গরুর দাম হাঁকানো হয় এক কোটি টাকা। ১ হাজার ৩০০ কেজি ওজনের গরুটি দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।

গরুর দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমরান হোসেন বলেন, গরুটির বংশমর্যাদার জন্য দাম বেশি। এই গরুটার বাবা, দাদা, দাদার বাবার পরিচয় আছে।

মেলার আকর্ষণ রোজু নামের গরুটির রং সাদার ওপর হালকা কালো শেড ছাপ ছাপ, ছোট শিং, নাকে নথ। গলায় স্বর্ণের আদলে তৈরি চেইনের সঙ্গে লকেট। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান ইমরান হোসেন।

তিনি বলেন, গরুটার দাম এক কোটি চাওয়া হচ্ছে, এটার অনেক কারণ আছে। এক নম্বর হচ্ছে- এই গরুটার ১১০ বছরের পেডিগ্রি (বংশ পরম্পরা) আছে। আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে, এই গরুটার বাবা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন ব্লাড লাইন। এটা হচ্ছে আমেরিকান ভিয়েট ল্যাঞ্চের নোবেল সিরিজ, ওদের সবচেয়ে বেস্ট সিরিজ এটা। এই জাতের গরু কম খাদ্য খেয়ে দ্রুত বড় হতে পারে। মাংস কিংবা ওজনের চিন্তা করে না বরং এটা বংশমর্যাদাপূর্ণ গরু। এর জন্যই দাম বেশি। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলেও জানান ইমরান হোসেন।

সাদিক এগ্রোর মালিক আরও বলেন, মেলায় আমরা গরু, ছাগল, উট, দুম্বা, ভেড়াসহ অনেক প্রাণি নিয়ে এসেছি। শুধু যে বেচাকেনা করার জন্য এনেছি সেটি নয়, অনেক প্রাণি আছে মানুষ দেখেনি, তাই নিয়ে আসা। আজকে যেসব বাচ্চারা আসছে, এরা অনেকেই হয়তো উট দেখেনি, আজ দেখতে পারবে। আমরা মনে করি, এটা আমাদের মেলার একটা অর্জন। এই প্রাণিগুলোর সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটাও আমাদের একটা লক্ষ্য।

এ ছাড়া সাদিক এগ্রোর আরেক কর্মকর্তা সৌরভ জানান, মেলা উপলক্ষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি গরু, ৪টি ছাগল, ৫টি দুম্বা, ৭টি ভুট্টি গরু মেলায় প্রদর্শন করছে। একেকটি দুম্বা ৪ লাখ করে আর ভুট্টি জাতের গরু ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



কী করবেন গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। এই সময়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা আছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। ভরদুপুরে গরমে বাইরে কোথাও যাওয়ার পথেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা হরহামেশাই হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই এই ভ্যাপসা গরমে একেবারে অচেতন হয়ে যান।  প্রচণ্ড রোদ আর গরমে হিটস্ট্রোক হতে পারে যে কোনো বয়সের মানুষের।

যদি মনে হয় কেউ  হিটস্ট্রোক হয়েছে তাহলে সবার আগে অসুস্থ ব্যক্তিকে একটু শীতল জায়গায় নিন, গাছের নিচে বা কোনো দোকানের ভেতরে ফ্যানের বাতাসের নিচে। সম্ভব হলে ঠান্ডা পানিতে বা বরফে ভেজা কাপড় দিয়ে বারবার গা মুছে দিন বা শরীরে পানি স্প্রে করুন এবং শিগগির হাসপাতালে স্থানান্তর করুন।

সারাদিন নানা কাজে রোদের মধ্যেই ঘুরেছেন। গরমে অসুস্থতা আচমকা আপনার পেটে ও পা দুটোয় যেন টান লাগল বা কেউ খামচে ধরল। এ সমস্যার নাম হিট ক্র্যাম্প। শরীরে পানি ও লবণের অভাবে এমনটা ঘটে। এমন অবস্থায় দ্রুত গরম ও রোদ থেকে সরে যান। তুলনামূলক ঠান্ডা জায়গায় বসে পড়ুন। প্রচুর পানি ও লবণসমৃদ্ধ তরল (যেমন: ডাবের পানি, লেবু-লবণের শরবত) পান করুন। পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন। খুব ধীরে মাংসপেশি নাড়াচাড়া এবং পায়ের হালকা ব্যায়াম করুন।

সারা দিন রোদে গরমে ঘুরে দেখলেন ত্বক লালচে হয়ে গেছে বা পুড়ে গেছে। র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। এটাকে বলা হয় হিট র‍্যাশ। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ত্বকে ঠান্ডা বরফ বা ভেজা কাপড় লাগান।

তীব্র গরমে যে কেউ এমন আকস্মিকভাবে যে কেউ অসুস্থ হতে পারে তাই সাবধান থাকতে হবে। গরমে বাড়ির বাইরে গেলে সঙ্গে রাখুন পানি, ছাতা এবং সানগ্লাস। সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল পান করবেন। বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। গরমে ঘরে ফিরেই ঠান্ডা পানি খাবেন না কিংবা গোসল করা থেকে বিরত থাকুন। আগে শরীরটা বাতাসে জুড়িয়ে নিন। প্রচণ্ড গরমে ঘরের ভেতরের বদ্ধ পরিবেশে হাঁসফাঁস লাগলে ছাদে যান কিংবা বারান্দায় গিয়ে বসুন।


আরও খবর



খোলামেলা ফটোশুটে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন মধুমিতা সরকার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

খোলামেলা পোশাকের জন্য বরাবরই ভক্তরা মধুমিতা সরকারের আলোচনা-সমালোচনা করে থাকেন। এবার কালো বিকিনিতে সকলের নজর কাড়লেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করার পরে ভক্তদের থেকে প্রশংসায় পাশাপাশি অনেকে সমালোচনাও করেছেন।

সমালোচনা করে একজন লিখেছেন, দিদি বলছি আপনার ক্লান্ত লাগে না,না? না মানে রোজ রোজ এদিক ওদিক কাত হতে হতে হাপিয়ে যান না?বিনোদন ডেস্ক

এক ভক্ত লিখেছেন, কিছু মানুষের কাজই হল কমেন্ট বক্সে এসে বাজে কথা বলা। এদের কোনও কাজ নেই। এদের কারও কথায় কান দেবে না দিদি। তুমি তোমার মতো এগিয়ে যাও।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, বলিউডে কাজ করার ইচ্ছে ছিলই। কিন্তু কখনও নিজে থেকে মুম্বাইতে গিয়ে কাজের চেষ্টা করিনি। তবে আমার ছবি চিনির একটি রিল ভাইরাল হয়েছিল, সেটাই পরিচালক দেখেন। তারপর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

উল্লেখ্য, ভারতীয় সিরিয়াল সবিনয় নিবেদন অভিনয় করে যাত্রা শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। সেই শুরু তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে বোঝে না সে বোঝে না, কেয়ার করি না, কুসুম দোলার মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন।

বোঝে না সে বোঝে না নাটকে তার অভিনীত পাখি চরিত্রটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়। সিরিয়াল থেকে সরে এসে মধুমিতা বাংলা ওয়েব সিরিজ এবং ছবিতেও কাজ করেছেন।

নিউজ ট্যাগ: মধুমিতা সরকার

আরও খবর



এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে সিমেন্ট সরবরাহ করবে বসুন্ধরা গ্রুপ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অবশিষ্ট অংশ নির্মাণে ২ লাখ মেট্রিক টন সিমেন্ট সরবরাহ করবে দেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বাধুনিক ভিআরএম প্রযুক্তিতে তৈরি বসুন্ধরা সিমেন্ট।

শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় বসুন্ধরা সিমেন্ট এবং চাইনিজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান শানডং হাইস্পিড গ্রুপ এবং শিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেড এর জয়েন্ট ভেঞ্চার এসডিআরবি- শিনোহাইড্রো জেভি এর মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান এবং জয়েন্ট ভেঞ্চারের ডিপার্টমেন্ট ম্যানেজার বাই পেই লং চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তির মাধ্যমে বসুন্ধরা সিমেন্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বাকি অংশ নির্মাণে শতভাগ সিমেন্ট সরবরাহ করবে৷

বসুন্ধরা সিমেন্টের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর কে.এম জাহিদ উদ্দিন জানান, বসুন্ধরা সিমেন্ট ফ্যাক্টরির উৎপাদন ক্ষমতা, সরবরাহ ব্যবস্থা ও সর্বোপরি গুণগত মানের নিশ্চয়তা যাচাই সাপেক্ষেই চুক্তিটি সম্পাদিত হয়েছে।

পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অন্যান্য মেগাপ্রকল্পের মতো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করবে বসুন্ধরা সিমেন্ট৷

অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক ইয়াশা সোবহান, সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ বসুন্ধরা গ্রুপ এবং সিমেন্ট সেক্টরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আচরণবিধি লঙ্ঘন: শ্রীপুরের এক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে শ্রীপুর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে মো. জামিল হাসানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (১৫ মে) নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে এই তথ্য জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গ করায় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জামিল হাসানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে কমিশন। প্রার্থীর শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত দেয়।

জামিল হাসান গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। কয়েক দফা আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে তাকে তলব করে কমিশন।

এছাড়া গেল ৮ মে উপজেলা ভোটে বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল হাফিজ মল্লিক প্রকাশে ভোট দেওয়ার কমিশনের সামনে এসে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব।


আরও খবর