আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বিসিবি নির্বাচনের ভোটের লড়াই শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
ক্যাটাগরি-২ থেকে পরিচালক নির্বাচিত হবেন সর্বমোট ১২ জন। এই ক্যাটাগরি থেকে বোর্ড পরিচালক হতে লড়বেন ১৫ জন। নির্বাচনের সবচেয়ে আকর্ষণ এই ক্যাটাগরিকে ঘিরে

আজ ৬ অক্টোবর শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে এই প্রক্রিয়া চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ শেষে আজই জানা যাবে ফলাফল। কারা হচ্ছেন বিসিবির পরবর্তী পরিচালক, নাজমুল হাসান পাপন ফের বিসিবি সভাপতির চেয়ারে ফিরছেন কি না তার ইঙ্গিতও মিলবে আজ।

নির্বাচনের চল থাকলেও সেই জৌলুশ আর উত্তাপ ইদানিং লক্ষ্য করা যায় না। বিসিবির নির্বাচন উত্তাপ ছড়াবে না, এমন ভাবনা ছিল অনেকের। তবে দৃশ্যপট বদলেছে এবার। শেষ মুহূর্তে এসে অনেক প্রার্থী নির্বাচন থেকে নিজেদের নাম সরিয়ে নিলেও ভোটাভুটি হবে বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে।

সেই নির্বাচনের আমেজ কয়েকদিন আগেই শুরু হয়ে গেছে মিরপুরের বিসিবি ভবনে। ভোট দিতে আসা কাউন্সিলদের শেষ মুহূর্তের দৃষ্টি আকর্ষণে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সেজেছে প্রার্থীদের ব্যানার-ফ্যাস্টুনে। ২৩টি পরিচালক পদের বিপরীতে এবার ভোট হচ্ছে ১৪টি পদের জন্য।

যদিও ঢাকা বিভাগের ২টি পদের বিপরীতে চারজন প্রার্থীর মধ্যে বাকি দুই প্রার্থী সময়সীমার পর নির্বাচন থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ায় নিয়মতান্ত্রিকভাবে সেখানেও পড়বে ব্যালটের ছাপ। বাকি ৭ পরিচালক নিজেদের বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বী না পাওয়ায় আগেই নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনের আগের রাতে ক্যাটাগরি-২ (ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রিকেট ক্লাবস) থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের কাউন্সিলর মাসুদুজ্জামান। তিনি সরে দাঁড়ানোতে ক্লাব ক্যাটাগরির ১২ পরিচালক পদের জন্য প্রার্থী এখন ১৫ জন।

ক্যাটাগরি-১ (আঞ্চলিক ও জেলা ক্রিকেট সংস্থার প্রতিনিধি ) থেকে ঢাকা বিভাগের সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু (কিশোরগঞ্জ) নিজের নাম সরিয়ে নেন। এর আগে গত ৩ অক্টোবর ঢাকা বিভাগের আরেক প্রার্থী মোহাম্মদ খালিদ হোসেনও (মাদারীপুর) নিজেকে সরিয়ে নেন। ফলে এই ক্যাটাগরিতে ২টি পদের বিপরীতে প্রার্থী টিকে আছেন মাত্র দুজন। তারা হলেন- এ.এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় এমপি (মানিকগঞ্জ) ও তানভীর আহমেদ টিটু (নারায়নগঞ্জ)।

বিসিবির নির্বাচনে এবার ভোটার সব মিলিয়ে ১৭১ জন। যেখানে আজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ১০৯ জন। এবার সশরীরে বিসিবিতে এসে ভোট দিতে না পারলেও কাউন্সলিরদের ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল মেইল বা চিঠির মাধ্যমে। ইতোমধ্যে ই-ব্যালট প্রক্রিয়ায় অনেকেই নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তবে সেই ভোটগুলো এখনো গণনা শুরু হয়নি। শুরু হবে বিকেল ৫টার পর।

ক্যাটাগরি-২ থেকে পরিচালক নির্বাচিত হবেন সর্বমোট ১২ জন। এই ক্যাটাগরি থেকে বোর্ড পরিচালক হতে লড়বেন ১৫ জন। নির্বাচনের সবচেয়ে আকর্ষণ এই ক্যাটাগরিকে ঘিরে। বাকিদের সঙ্গে এই ক্যাটাগরি থেকেই লড়বেন নাজমুল হাসান পাপন (আবাহনী লিমিটেড)। বাকিরা হলেন; গাজী গোলার মুর্তজা (গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স), নজিব আহমেদ (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব), মাহবুব আনাম (মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব), ওবেদ রশীদ নিজাম (শাইনপুকুর ক্লাব)।

সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া (ওল্ডডিওএইচএস স্পোর্টিং ক্লাব), সালাউদ্দিন চৌধুরী (কাকরাইল বয়েজ), ইসমাইল হায়দার মল্লিক (শেখ জামাল ক্রিকেটার্স), এনায়ের হোসেন (আজাদ স্পোর্টিং), মঞ্জুর হোসেন (ঢাকা এসেটস) আব্দুর রহমান (মিরপুর বয়েজ), রফিকুল ইসলাম (গাজী টায়ার্স ক্রিকেট অ্যাকাডেমি) এবং মনজুর আলম (আসিফ শিফা ক্রিকেট অ্যাকাডেমি)।

ক্যাটাগরি-৩ এ ভোটার সংখ্যা ৪৩ জন। যেখানে সাবেক অধিনায়ক, সাবেক ক্রিকেটার, বিভিন্ন সংস্থার ভোটাররা ভোট দিয়ে একজন পরিচালক নির্বাচিত করবেন। এই ক্যাটাগরিতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে দুই প্রার্থীর মধ্যে। খালেদ মাহমুদ সুজনের বিপক্ষে লড়বেন বিকেএসপির ক্রিকেট পরামর্শক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তারা দুজনই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ক্যাটাগরি-১ এ ঢাকা বিভাগ থেকে পরিচালক হচ্ছেন তানভীর আহমেদ টিটু, নাঈমুর রহমান দুর্জয়। এই ক্যাটাগরিতে সিলেট বিভাগে কোনও নির্বাচন হবে না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হচ্ছেন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। একই অবস্থা চট্টগ্রাম বিভাগেও। আকরাম খান নির্বাচিত হচ্ছেন, সঙ্গে পরিচালকের চেয়ারে বসছেন আ জ ম নাসির।

খুলনা বিভাগ থেকে পরিচালক হচ্ছেন শেখ সোহেল। এই বিভাগের প্রতিনিধি হচ্ছেন কাজী ইনাম আহমেদ। ভোট হচ্ছে না বরিশাল বিভাগেও। আলমগীর খান আবারও পরিচালক নির্বাচিত হচ্ছেন। রংপুর বিভাগ থেকে আসছেন আনোয়ারুল ইসলাম। ভোটাভুটি হচ্ছে রাজশাহী বিভাগে। খালেদ মাসুদ পাইলটের বিপক্ষে লড়বেন সাইফুল আলম স্বপন।


আরও খবর



কুৎসার কিসসা আভি ভি বাকি হ্যায়: বেনজীর আহমেদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বহুল পঠিত একটি জাতীয় দৈনিকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ নিয়ে যে তথ্য প্রকাশ হয়েছে সে ব্যাপারে সবাইকে ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। সম্প্রতি ওই প্রতিবেদন প্রকাশ হলে মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) এ নিয়ে ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজ থেকে পোস্ট দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান বেনজীর।

তিনি লিখেছেন, দু একজন অনেক ক্ষিপ্ত, খুবই উত্তেজিত হয়ে এক্ষুণি সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়, প্রবন্ধ লিখে ফেলছেন। দয়া করে সামান্য ধৈর্য্য ধরুন। ঘোষণাই তো আছে কুৎসার কিসসা আভি ভি বাকি হ্যায়’।”


আরও খবর



সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় চার প্রবাসী নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের তাবুক শহরে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় চার প্রবাসী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর গালফ নিউজের

সৌদি সংবাদমাধ্যম আল মারসদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাবুক শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে মরুভূমির রাস্তায় শ্রমিকদের বহনকারী একটি পিকআপ ট্রাক উল্টে শনিবার (৩০ মার্চ) এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে রেড ক্রিসেন্টের টিম ও হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়। তবে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, বন্দর নগরী জেদ্দা থেকে ফেরার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ট্রাকটি। শ্রমিকদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেকেই গাড়ির পেছনের অংশে চড়েছিলেন।

সম্প্রতি সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ বেপরোয়া গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশটিতে প্রায়ই এই ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে সৌদিতে পৃথক দুই সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশু নিহত ও ২২ জন আহত হন।

এছাড়া গত সেপ্টেম্বরে উত্তর-পশ্চিম সৌদি আরবের আল ওয়াজ উপকূলীয় এলাকায় একটি বাস উল্টে চারজন নিহত এবং সাতজন আহত হন।


আরও খবর



ঈদের আনন্দ মাটি, আগুনে পুড়ে ছাই ৩০ দোকান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

ঈদের নামাজ চলাকালে শরীয়তপুরের একটি বাজারে আগুন লেগে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝির ঘাট বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, সকালে বাজারের ইউনুস খানের মুদির দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মুদির দোকানটির আশেপাশে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের কয়েকটি দোকান থাকায় দ্রুত আগুন অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি আগুনে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঈদের সকালে এমন ভয়াবহ আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সালমান ফারসী বলেন, আমার দোকানে মুদি মালামাল ও ভোজ্য তেলের পাশাপাশি কাঁচা মালসহ অন্তত ১৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল। সকালে দোকান বন্ধ করে বাসায় গিয়ে নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় শুনি আমার দোকানে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই আমার সারাজীবনের পুঁজি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে আমার।

ঈদের সকালের এই আগুনে রাসেল মাতবরের ৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমার চারটি দোকান ছিল, যা ভাড়া দিয়ে আমি আয় করে থাকি। ঈদের দিন এমন ক্ষতি হয়ে যাবে ভাবতেও পারিনি। ঈদের আনন্দ পুড়ে শেষ হয়ে গেছে আমার।

মাঝিরঘাট নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাজারটি পদ্মা নদীর কাছাকাছি এলাকায়। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর শংকর বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে।


আরও খবর



দিনাজপুরে বাঁশের ফুল থেকে চাল, হচ্ছে ভাত-পোলাও পায়েস

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

নানা ধরনের সুগন্ধি চাল উৎপাদনের জন্য দিনাজপুরের নামডাক দেশজুড়ে। এ জেলায় উৎপাদিত ধান-চাল দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত হয়ে থাকে। এবার দিনাজপুরেই পাওয়া যাচ্ছে বাঁশফুলের চাল (দানা)। শুনতে অবাক মনে হলেও এই চাল থেকেই তৈরি হচ্ছে ভাত, পোলাও, পায়েস। এমনকি চালের আটা দিয়ে মুখরোচক পিঠাপুলিও বানানো হচ্ছে।

প্রতিবেশী এক বৃদ্ধের কাছে গল্প শুনে বাঁশফুলের বীজ থেকে এই দানা (চাল) সংগ্রহ করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের পাকাপান গ্রামের যুবক সাঞ্জু রায়।

ধান থেকে উৎপাদিত চালের মতোই দেখতে বাঁশফুলের এই চাল। তুলনামূলক কম উৎপাদন আর চাহিদা বেশি থাকায় গ্রাহকদের চাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সাঞ্জু রায়।

সাঞ্জু রায় জানান, স্থানীয় এক বৃদ্ধের কাছ থেকে বাঁশফুল থেকে চাল উৎপাদনের ধারণা পান তিনি। যুদ্ধের সময় যখন চাল কিংবা ভাত অপ্রতুল ছিল, তখন স্থানীয়রা এই বাঁশের ফুল থেকে চাল ফলিয়ে রান্না করে খেতেন। সম্প্রতি এক বৃদ্ধ সাঞ্জু রায়ের এলাকায় বাঁশ ফুল দেখে চাল উৎপাদনের কথা বলেন। তার প্রেরণায়ই সাঞ্জু চাল উৎপাদনের পরিকল্পনা করেন।

প্রথমে বাঁশফুল সংগ্রহ করেন সাঞ্জু। লম্বা হওয়ায় বাঁশের ওপরের অংশ থেকে ফুল সংগ্রহ করা বেশ কষ্টকর। সংগৃহীত ফুল পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। সেই ফুল রোদে শুকিয়ে মেশিনের সাহায্যে ছোট-ছোট করে চালের মতো ভাঙানো হয়।

স্থানীয়রা জানান, বাঁশফুল থেকে চাল উৎপাদনের বিষয়টি সাঞ্জু রায়ের কাছ থেকে প্রথম দিকে শুনে বিশ্বাস হচ্ছিল না। তবে যখন সত্যিই তিনি চাল উৎপাদন করলেন, তখন সবাই অবাক হয়েছেন।

৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বাঁশফুলের চাল। অনেকে চালের বিনিময়েও বাঁশফুলের চাল কিনছেন। এই চাল থেকে তৈরি পোলাও, ভাত কিংবা পায়েস বেশ সুস্বাদু বলেও জানান তারা।

বেড়ুয়া বাঁশ বা কাটা বাঁশের ফুল থেকে এই চাল উৎপাদন করা হচ্ছে। এসব বাঁশের বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছর বলে জানা গেছে।


আরও খবর



অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন।

পরে আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া বাকি অভিযুক্তরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দফতর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।

মামলার বিষয়ে ড. ইউনূস জানান, অনেক দিন ধরে তার ওপর বালা-মুসিবত। দেশের ওপরও এসেছে। তিনি ও দেশের মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত। এ থেকে রেহাই না পেলে মুক্তি নাই।

শান্তিতে নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ বলেন, দেশ-বিদেশের মানুষ আমাদের বিশ্বাস করেছে। আমরা মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করি। সারা বিশ্ব বাংলাদেশ থেকে শিখতে চায়। তবে, দেশের মানুষ যেভাবে বাঁচতে চায়, সেভাবে পারছে না। মানুষ আইনের শাসন পাচ্ছে না।


আরও খবর