আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর সাথে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বান্দরবান থেকে মিঠুন দাশ:

পাহাড়ী বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে শনিবার রাতে গোলাগুলির আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় রুমার দূর্গম এলাকার বিভিন্ন পাড়ার বাসিন্দারা। পরে রবিবার ঘটনাস্থলে কাছাকাছি আরথাহ পাড়া ও বাচলং পাড়ার মাঝামাঝি স্থানে গিয়ে পুলিশ ১টি লাশ উদ্ধার করে।

গতকাল শনিবার (২৮জানুয়ারী) রাতে গোলাগুলির ঘটনায় পাইন্দু ইউনিয়নে মুয়ালপি পাড়া থেকে ৪০জন বাসিন্দা পালিয়ে রুমা উপজেলা সদরে চলে আসে। পরে আজ রবিবার (২৯জানুয়ারী) সকালে উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় দূর্গম রুমা উপজেলায় ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। এসময় সেখান থেকে ১টি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে পালিয়ে আসা ৪০ পরিবারকে মারমা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন কার্যালয়ে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গেল বছরের ১৭অক্টোবর থেকে পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানের কারণে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ এর সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী দূর্গম বিভিন্ন পাড়ায় অবস্থান করে। সেখানে সম্প্রতি গোলাগুলির ঘটনাও ঘটছে। তাদের অবস্থানের কারণে পাড়াবাসীরা আতংকিত হয়ে বিভিন্ন পাড়ার বাসিন্দারা ঘর বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে। এদিকে দূর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে ১টি লাশ উদ্ধার করার কথা স্বীকার করেছে পুলিশ।

এঘটনায় শনিবার রাতে মুয়ালপি পাড়া থেকে শিশু ও নারীসহ ৪০জন বাসিন্দা গ্রাম ছেড়ে রুমা সদরে এসে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহায়তায় খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।

পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লামং বলেন, সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির কারণে পাড়ার মানুষ ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও আরও অনেকে পালিয়ে আত্মীয় স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে। পাড়ায় এখন মানুষজন নেই।

অপরদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, পাহাড়ী সন্ত্রাসী গ্রুপ কেএনএফ এর সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে গোলাগুলির ঘটনায় আতংকে ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে ৪০জন বাসিন্দা। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে ১টি লাশ উদ্ধার করা হয়।


আরও খবর



বন্যায় কেনিয়াতে ৭০ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারী বর্ষণ ও বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কেনিয়া। গত মার্চের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে বন্যায় ৭০ জন মারা গেছে। দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন।

কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এ অবস্থার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দোষ দিচ্ছেন।

গতকাল শুক্রবার এক এক্স বার্তায় কেনিয়া সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মাউরা বলেন, বৃষ্টিবন্যায় নিহতের সংখ্যা ৭০ ছুঁয়েছে। চলতি সপ্তাহে রাজধানী নাইরোবিতে টানা বৃষ্টিতে ৩২ জনের প্রাণ গেছে।

এ ছাড়া দেশটির রিফ্ট ভ্যালি অঞ্চলে আরও ১৫ জনের প্রাণ গেছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার কেনিয়ার দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া কমিটি বৈঠক করেছে।

সরকারি প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, কেনিয়ায় বন্যার কারণে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়া ২২ জন আহত হয়েছেন এবং আরও ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

কেনিয়া সরকার জরুরি সাড়া দেওয়ার জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের তহবিল ছাড় করার চেষ্টা করছে। এ অর্থ দিয়ে অবকাঠামো সংস্কার, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরিভিত্তিতে আবাসন তৈরি করা এবং খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।

দেশটির শিক্ষা বিভাগের মুখ্যসচিব বেলিও কিপসাং জানান, বন্যায় নাইরোবিতে ৬৪টি সরকারি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেননা, আগামী দিনগুলোতেও কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

শুধু কেনিয়া নয়, পাশের দেশ তানজানিয়ায় বন্যাভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জনের প্রাণ গেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া গত বৃহস্পতিবার বলেন, দুর্যোগে ২ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, বন্যা ও ভূমিধসে বাড়ি, রাস্তাঘাট, সেতু, রেলপথ ও বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিংবা ভেঙে পড়েছে।


আরও খবর



গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মানবিক অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (৩ মে) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনের জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জিএসটি কর্তৃপক্ষ।

জিএসটি কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গুচ্ছের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এবার ৯৪ হাজার ৬৩১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য জিএসটি কর্তৃপক্ষ প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনও। পাশাপাশি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের অভিবাবকরা যেন কেন্দ্রে না আসেন, সেজন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে। যেহেতু শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী নিকটবর্তী কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন, সেহেতু এবার আমরা অভিভাবকদের কেন্দ্রে না আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।


আরও খবর



‘কণ্ঠের সব চিকিৎসা দেশেই রয়েছে, বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কণ্ঠের যেকোনো ধরনের রোগ ও সমস্যার সুচিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)সহ দেশেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য ডা. দীন মো. নূরুল হক। তিনি বলেন, কণ্ঠের সমস্যার জন্য রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ব কণ্ঠ দিবস উপলক্ষে র‌্যালি, সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ল্যারিংগোলজি অ্যান্ড ভয়েস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ল্যারিংগোলজি অ্যান্ড ভয়েস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের সামনে শেখ রাসেল ফোয়ারা থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে সি ব্লকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে সি ব্লকের মাল্টিপারপাস হলে একটি সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, ভয়েস বা স্বরযন্ত্রের বা কণ্ঠের যেকোনো ধরনের রোগ ও সমস্যার সুচিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশেই রয়েছে। কণ্ঠের সমস্যার জন্য রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ভয়েস, কণ্ঠ হলো মহান আল্লাহ প্রদত্ত। কাউকে ভালোবাসার কথা প্রকাশ করতে হলেও কথা বলার প্রয়োজন হয়। তাই কণ্ঠের সুরক্ষার জন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। অপ্রয়োজনে উচ্চৈঃস্বরে চিৎকার করলে, আবার জন্মগত ত্রুটির কারণেও কণ্ঠের ভয়েস বা স্বর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই ভয়েসের সুরক্ষায় আমাদেরকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, কণ্ঠের সুরক্ষার জন্য উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা, ধূমপান, মদপান, অতিরিক্ত গরম ও অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান এবং অতিরিক্ত ঝাল ও তৈলাক্ত খাবার পরিহার করা উচিত। দিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। রাতে ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে আহার সম্পন্ন করা উচিত। শিক্ষকদের ক্লাসে লাউড স্পিকার ব্যবহার করা উচিত। বাইরে চলাফেরার সময় সবারই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোলজি ডিভিশন প্রধান ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রকল্পের পরিচালক ডা. এএইচএম জহিরুল হক সাচ্চু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ এখন প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রার পারদ ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করলেও তা ৪২ ডিগ্রি ছাড়ালো।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে তীব্র তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তীব্র দাবদাহের কারণে জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেছে জেলা প্রশাসন।

চলতি বছরের এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ। শুধু চলতি বছর নয়, আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর টানা প্রায় ১৩ দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। আর এটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর আশপাশেই থাকছে। টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। বর্তমানে সে তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ চলমান রয়েছে। দাবদাহের কারণে মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আজও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না। ২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চির ভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত দিনটিকে বরাবরের ন্যায় স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সবার সঙ্গে একত্রিত হয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো যথাযথ মর্যাদা এবং গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ ও পালন করবে।

কর্মসূচির মধ্য রয়েছে আগামী ১৭ এপ্রিল ভোর ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।

এদিকে মুজিবনগরের কর্মসূচির মধ্য রয়েছে ভোর ৬টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল সাড়ে ৯টায় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে গার্ড অব অনার। সকাল ১০টায় শেখ হাসিনা মঞ্চ মুজিবনগর দিবসের জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।

জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ  ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সঞ্চালনা করবেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।

এ ছাড়া বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন, পারভীন জামান কল্পনা, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক এবং মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক।

দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য সংগঠনের সব স্তরের নেতাকর্মী এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোসহ সর্বস্তরের জনগণ ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউজ ট্যাগ: মুজিবনগর দিবস

আরও খবর