আফগান সেনাবাহিনীতে বিশেষ আত্মঘাতী দল গড়ে তোলার তোলার পরিকল্পনা করছে তালিবান সরকার। আফগান সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, তালিবানের মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সেনার ‘স্পেশাল ফোর্স’ বা বিশেষ দল হিসাবে আত্মঘাতী বাহিনী গড়ে তোলা হবে। তাজিকিস্তান সীমান্তে ইতিমধ্যে আত্মঘাতী তালিবান যোদ্ধাদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি। তবে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি তালিবান প্রশাসন। তালিবান মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রয়োজনে মহিলাদেরও সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। যদিও মহিলাদের শিক্ষা, চাকরি বা অন্যান্য অধিকার নিয়ে এখনও সে ভাবে মুখ খোলেননি জবিউল্লা।
তালিবান প্রশাসনের
প্রতিরক্ষা বিভাগ সূত্রের খবর, ১ লক্ষ সেনার একটি বিশেষ শক্তিশালী দল গড়ার পরিকল্পনা
করেছে তারা। বদরি নামে তালিবান সেনার একটি বিশেষ বাহিনী ইতিমধ্যেই রয়েছে। গত বছর অগস্টে
কাবুল দখলের পর এই যোদ্ধাদেরই শহরে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের
বহু অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি সোশ্যাল
মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে তালিবান যোদ্ধাদের প্রাক্তন জমানার এক সেনা কমান্ডারকে
নির্যাতন করতে দেখা যায়। তালিবানে আর এক মুখপাত্র মহম্মদ নঈম অবশ্য এ নিয়ে প্রকাশ্যে
মুখ খুলেছেন। টুইট করে যোদ্ধাদের দমন-পীড়ন বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছেন। আফগানিস্তানের
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তালিবান প্রশাসনের একাংশ বার্তা দিয়েছে যে তারা শান্তিপূর্ণ
ভাবে সকলকে নিয়ে সরকার চালাতে চায়।
এমনকি প্রাক্তন
জমানার সেনাকর্মী বা সরকারি আধিকারিকদের দেশ না-ছাড়ার আর্জি জানিয়েছে তারা। তবে বাস্তবে
তা প্রতিফলিত হয়নি। বরং খুঁজে খুঁজে প্রাক্তন সরকারি বা সেনাকর্মীদের হত্যা করার একাধিক
ঘটনা সামনে এসেছে। শুধু ঘরে নয় তালিবানের বিশেষ সেনার কাজকর্মে উত্তাপ বেড়েছে বাইরেও।
তাজিকিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি পাক সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে দু’তরফের মধ্যে বচসা বাধে। পাকিস্তানের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতার লাগানোয় বাধা দিয়েছে তালিবান সেনা। অন্য দিকে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর তাজিকিস্তানের বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট তালিবান বাহিনী দখল করেছে বলে অভিযোগ। ফলে নতুন আত্মঘাতী বাহিনী তৈরির খবরে উদ্বেগ বাড়ছে আফগানিস্তানের পড়শি দেশগুলিতে।