আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

আম্পায়ারিং নিয়ে আইসিসিতে অভিযোগ করবে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ডারবান টেস্টের পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনেই হেরে গেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২২০ রানে হেরেছে সফরকারীরা। তবে এই টেস্টের জয়-পরাজয় ছাপিয়ে আলোচনায় পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং। গতকাল রোববার (০৩ এপ্রিল) টেস্টের চতুর্থ দিনই আম্পায়ারদের পক্ষপাতমূলক আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাকিব আল হাসান। আজ অধিনায়ক মুমিনুল হকের কণ্ঠেও শোনা গেল একই সুর। এবার জানা গেল, আম্পায়ারদের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করবে বাংলাদেশ।

ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে খবরটি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। বিসিবির এই পরিচালক বলেছেন, ওয়ানডে সিরিজের পর আমরা আম্পায়ারিং নিয়ে একটি অভিযোগ করেছি। তখন ম্যাচ রেফারি প্রাথমিকভাবে আমাদের টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবালের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল। তবে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর সে নরম হয়। আমরা আরেকটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করব প্রথম টেস্টের পর।’

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেছেন, আমার মনে হয়, আইসিসির উচিত, এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা। নিরপেক্ষ আম্পায়ারিং আবার ফিরিয়ে আনা উচিত। কোভিডের আগে যেমন ছিল তেমন। কোভিডের কারণে মাঝে হয়নি। এখন তো কোভিড নিয়ন্ত্রণে আছে। আবার নিরপেক্ষ আম্পায়ারিং ফিরিয়ে আনার উচিত। শুধু এই সিরিজে নয়, অনেক সিরিজেই এমন (ভুল আম্পায়ারিং) হয়েছে।’

একই সঙ্গে মুমিনুল কথা বললেন স্লেজিং নিয়েও। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, ডারবান টেস্ট চলাকালীন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের স্লেজিং করতে গিয়ে বাজেভাবে গালাগালি করেছেন।

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেন, ক্রিকেট খেলায় স্লেজিং সব সময় হয়। স্লেজিং হবে এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু স্লেজিং যখন গালাগালির পর্যায়ে চলে যায়, এটা খুব খারাপ ব্যাপার। আমার মনে হয়েছে, মাঝেমধ্যে ওরা গালাগালি করছিল, খুব বাজেভাবে করছিল। যেটা আম্পায়াররা ওইভাবে খেয়াল করেননি।’

নিজের স্ট্যাটাসের সঙ্গে হ্যাশট্যাগ দিয়ে জুড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টেস্ট। মূলত করোনার কারণে আম্পারিংয়ে কিছুটা পরিবর্তন এনেছিল ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। নতুন নিয়মে করোনার সময়ে ভ্রমণে অসুবিধার কারণে টেস্টে নিরপেক্ষ আম্পায়ারের বদলে এখন দায়িত্বে থাকেন স্বাগতিক দেশের আম্পায়াররা। যে কারণে নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে অতিথিদের ক্রিকেটারদের অসন্তুষ্টি দেখা যায়। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নাম। সতীর্থদের হয়ে সাকিব আল হাসান প্রথমবার এর প্রতিবাদ জানালেন।

নিউজ ট্যাগ: আইসিসি

আরও খবর



আরব আমিরাতের বন্দরে ভিড়েছে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দর জেটিতে ভেড়ানো হয়েছে। সোমালি দস্যুদের কবল থেকে মুক্তির পর ২৩ নাবিককে রিসিভ করতে যাওয়া জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত এ তথ্য জানিয়েছেন।

গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে জাহাজটি বন্দরের জেটিতে ভেড়ানো হয়। এরপর শুরু হবে কয়লা খালাস পর্ব। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দিনের বেলা খালাস শুরু হবে। সোমালিয়ার উপকূল থেকে মুক্ত হওয়ার ৯ দিনের মাথায় তীরের দেখা পেলেন জাহাজটির ২৩ নাবিক।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত পৌনে ১০টায় আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে জাহাজটি ভেড়ানো হয়েছে। এরপর শুরু হবে কয়লা খালাসের পর্ব।

এদিকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি হামরিয়ায় ভেড়ানোর সময় বন্দর জেটিতে আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও শাহরিয়ার জাহান রাহাতের নেতৃত্বে কেএসআরএম গ্রুপের একটি দল উপস্থিত ছিল।

উল্লেখ্য, জিম্মিদশার পর ১৩ মার্চ দিবাগত রাতে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়। এর পরই জাহাজটি আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। ৯ দিনের মাথায় বন্দরে পৌঁছাল জাহাজটি।

জাহাজের ২৩ নাবিকের মধ্যে ২১ জন জাহাজে আর দুজন বিমানে চট্টগ্রামে ফিরবেন বলে জানান মালিকপক্ষের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে জাহাজটি দস্যুদের কবলে পড়েছিল।


আরও খবর



দেশে বাড়ল সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির কারণে এই দাম বেড়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১০৬ টাকা থেকে এক টাকা বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা, পেট্রলের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১২২ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বেড়ে ১২৪.৫০ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৬.০০ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১২৮.৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পুনঃনির্ধারিত এ মূল্য আজ রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৩১ মার্চ বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে বহুল ব্যবহৃত ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হয়েছিল। ওই সময় এই দুটি জ্বালানির পণ্যের দাম লিটারপ্রতি কমানো হয়েছিল ২ টাকা ২৫ পয়সা। লিটারপ্রতি ডিজেল ও কোরোসিনের দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০৬ টাকা। আর প্রতি লিটার পেট্রল আগের মতোই ১২২ এবং প্রতি লিটার অকটেন ১২৬ টাকায় বিক্রি হবে। তবে পেট্রল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ প্রথম প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল।

এর আগে গত ৭ মার্চ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করায় দেশে ব্যবহৃত অকটেন, পেট্রল, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমেছে, যা ৮ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১০৯ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা কমে ১০৮ টাকা ২৫ টাকা পয়সা নির্ধারণ করা হয়। অকটেনের দাম লিটারপ্রতি ১৩০ থেকে ৪ টাকা কমে ১২৬ টাকা এবং পেট্রলের দাম ১২৫ থেকে ৩ টাকা কমে ১২২ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানি তেলের ৭৩ দশমিক ১১ শতাংশ ডিজেল, পেট্রল ৫ দশমিক ৮৬ এবং অকটেন ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বর্তমানে দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে ৭০ থেকে ৭২ লাখ টন। এর মধ্যে ডিজেলের চাহিদা ৪৮ থেকে ৪৯ লাখ টন, যার ৮০ শতাংশ সরকার আমদানি করে। বর্তমানে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি হচ্ছে। আর পরিশোধিত তেল আমদানি হয় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, কুয়েত, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সাশ্রয়ী দামে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে ডিজেল আমদানি নিয়ে আলোচনা চলছে। বেসরকারি খাতের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি তেল ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল আমদানি করা হয়। এই তেল নিজ বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহারের অনুমোদন নেই।

অকটেন ও পেট্রল ব্যবহার করা হয় গাড়ি ও মোটরসাইকেলে। আর বাস, ট্রাক, নৌযান এবং কিছু ক্ষেত্রে সেচ পাম্পে ডিজেল ব্যবহার করা হয়।


আরও খবর



দ্বিপক্ষীয় রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছয়দিনের দ্বিপক্ষীয় রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৪ এপ্রিল তিনি এই সফর শুরু করবেন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ও জাতিসংঘের একটি সংস্থা এসকাপের যৌথ আমন্ত্রণে এ সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সফরের দ্বিতীয় দিন আগামী ২৫ এপ্রিল শেখ হাসিনা ব্যাংককে এসকাপ কমিশনের ৮০ তম অধিবেশনে বক্তৃতা করবেন। দুই প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক করবেন। একইদিন দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। আগামী ২৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের এটাই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সরকারি সফর।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠক আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সফরের দ্বিতীয় দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বাংলাদেশ ও কাতারের দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পর দেশ দুটির মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) সই হবে।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

জানা গেছে, আমিরের সফরে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তিগুলো হলো- দ্বৈতকর পরিহার, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পরিবহন, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি ও যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন।

সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে- শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা, উচ্চ শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা।

এদিন বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে কাতারের আমির সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তারপর সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করবেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

ঢাকায় কাতারের আমিরের নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হবে। এ ব্যাপারে গত ২১ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মিরপুরের কালশী এলাকার বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়ালসড়ক পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে নামকরণ করা হবে।

২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম ঢাকায় সফরে এলেন কাতারের কোনো আমির।


আরও খবর



রমনায় বোমা হামলা: ২৩ বছরেও শেষ হয়নি মামলার বিচার

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার মামলা ঝুলে আছে ২৩ বছর ধরে। সাক্ষী হাজির না হওয়ায় বিচারিক আদালতের গণ্ডি পেরোতে পারেনি মামলাটি। এছাড়া হত্যা মামলাটি বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তি হলেও, হাইকোর্টে এসে আটকে গেছে। জানা গেছে, ১০ বছরে অন্তত কয়েকশো বার পিছিয়েছে শুনানি।

রাজধানীর রমনা বটমূলে ২০০১ সালে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হুজি)। বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হন অনেকে। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়।

দুই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ একসঙ্গে শুরু হলেও ২৩ বছরেও বিচারিক আদালতের গণ্ডি পার হতে পারেনি বিস্ফোরক মামলাটি। কারণ হিসেবে সাক্ষী হাজির না হওয়া, প্রতি বছর এই একই যুক্তি দিয়ে আসছেন রাষ্ট্রপক্ষ।

বিচারিক আদালত হত্যা মামলায় যে রায় দিয়েছে, মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন ও আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য সে মামলা হাইকোর্টে ঝুলে আছে। আর বিস্ফোরক আইনের মামলাটি এখনো ঢাকা মহানগর ১৫ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে রায়ের অপেক্ষায়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, সাক্ষীদের হাজির করতে না পারায় বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম শেষ করা যায়নি। আর হাইকোর্টে হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি ঈদের ছুটির পরপরই শুরু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

২০০১ সালে হামলার পর পরই ওই দিনই নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। দুই মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১৪ জঙ্গিকে আসামি করা হয়।

ঘটনার প্রায় আট বছর পর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দায়রা জজ রুহুল আমিন প্রধান আসামি মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। এরপর খালাস চেয়ে উচ্চ আদালত হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা। অন্যদিকে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি হাইকোর্টে যায়।

এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা থেমে আছে। হত্যা মামলাটি অবশ্য বিচারের প্রথম ধাপ পেরিয়েছে ১০ বছর আগে। এরপর হাইকোর্টে এসে আটকে গেছে। ফলে গত ১০ বছরেও আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমোদন মেলেনি। বিভিন্ন সময়ে আদালতে উঠলেও অন্তত কয়েকশো বার পিছিয়েছে শুনানি।

এ মামলার দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে বিএনপি সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ চার আসামি এখনো পলাতক। তবে হুজি নেতা মুফতি হান্নানের ফাঁসি অন্য এক মামলায় কার্যকর করা হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির বলেন, হত্যা মামলাটির আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এসেছিল। রাষ্ট্রপক্ষ সময় আবেদন করেছে, তাই সময় শুরু হয়নি।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তিনটি কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। এমনকি আংশিক শুনানিও হয়েছিল। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বারবার সময় চাওয়া হয়। ২০১৪ সালের ডেথ রেফারেন্স এটি। যার শুনানি শুরুই হয়নি।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন গত ৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, রমনার বটমূলের হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মামলাটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে রয়েছে। আগামী মাসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ মামলার আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ওই বেঞ্চের একজন বিচারক আগে আইনজীবী হিসেবে এ মামলার কাজে ছিলেন। তাই তিনি শুনানি করতে পারেননি। এ কারণে হয়ত কিছুটা সময় লেগেছে। তবে এবার শুনানি হবে। আমরা প্রস্তুত আছি- বলেন রাষ্ট্রের প্রধান এ আইন কর্মকর্তা।

অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন।

সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যা মামলার রায় অনুযায়ী ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রাতে মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ফলে রমনা বটমূলের বিস্ফোরক আইনের মামলা থেকে তার নাম বাদ যায়।

এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মাওলানা তাজউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা আবু বকর, হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা আকবর হোসাইন, মাওলানা শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েল, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ও মাওলানা শওকত ওসমান। তাদের মধ্যে তাজউদ্দিন, আবদুল হাই ও জাহাঙ্গীর পলাতক রয়েছেন।

২০২২ সালের ২১ মার্চ বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জনের সাক্ষ্য শোনেন আদালত। ওই বছরের ৩ এপ্রিল আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন সাত আসামি। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাননি।

ওইদিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ওই বছরের ১১ অগাস্ট দিন ধার্য করেন বিচারক। কিন্তু তার আগেই ২৮ জুলাই ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল মামলাটি মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ফেরত পাঠায়।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুলাহ আবু বলেন, সাক্ষীরা একবার সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু পরে ওই সাক্ষীদের সহজে পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচারকাজ শেষ হওয়া উচিত।

প্রায় দুই যুগ ধরে চলা এই হামলার বিচার শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ জানান শিল্পীরা। সঙ্গীতশিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, আমাদের দেশের কিছু লোক আছেন, যারা বাঙালি সংস্কৃতিকে বাঁকা চোখে দেখেন। তবে এ ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ রায় যেন পাই, সে প্রত্যাশা করি।


আরও খবর