আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

আঘাত এলে প্রতিঘাত করার মত সক্ষমতা অর্জন করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
‘আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই,’ কিন্তু কেউ যদি আমাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত করতে আসে, প্রতিঘাত করবার মত সক্ষমতা যেন আমরা অর্জন করতে পারি-সেভাবেই আমাদের প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতি থাকতে হবে

বাংলাদেশ যুদ্ধ নয় শান্তি চায়, মর্মে দেশের পররাষ্ট্রনীতির পুনরোল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এলে প্রতিঘাত করার মত সক্ষমতা অর্জনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই, কিন্তু কেউ যদি আমাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত করতে আসে, প্রতিঘাত করবার মত সক্ষমতা যেন আমরা অর্জন করতে পারি-সেভাবেই আমাদের প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতি থাকতে হবে। এ বিষয়টি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সবসময় মনে রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে মিরপুর সেনানিবাসের শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে, ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি)-২০২০ এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স (এএফডব্লিউসি )-২০২০ এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার থেকে আমাদের দেশে তাদের প্রায় ১০ লাখের ওপরে নাগরিক আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে কখনও সংঘাতে যাইনি এবং আলোচনার মাধ্যমে এটা সমাধানের চেষ্টা করছি এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও সকলকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি-এই যে বিশাল একটা বোঝা আমাদের ওপর রয়েছে-এটার যেন তারা দ্রুত সমাধান করেন।

জাতির পিতার করে যাওয়া দেশের পররাষ্ট্রনীতি সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, এর পুনরোল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেছে। সবথেকে বড় কথা আমাদের দেশের উন্নতি করতে হবে। তার জন্য বিনিয়োগ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে যেখানে এবং যাদের কাছ থেকে যতটুকু সহযোগিতা পাওয়া যায়, প্রযুক্তি জ্ঞান পাওয়া যায়, সেটুকু নিয়েই আমরা আমাদের দেশকে গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই কথাটা মনে রাখতে হবে, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আমরা রাখবো।

শেখ হাসিনা বলেন, নিজের দেশের নিরাপত্তা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সর্বদা প্রস্তুত থাকবে এবং আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি এবং সেকারণে সারাবিশ্বে আজকে আমরা মর্যাদা পেয়েছি।

তিনি বলেন, লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা। এর সুফল বাংলার প্রতিটি মানুষের ঘরে আমরা পৌঁছে দিতে চাই। চলমান মুজিববর্ষ থেকে আগামী বছর স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনকালীন দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ভূমিহীন, গৃহহীনকে অন্তত একটি করে ঘর করে দেওয়ায় তাঁর সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সকলকে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে চলার আহ্বানেরও পুনরুল্লেখ করেন।

ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমানড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।

আইএসপিআরএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানায়, এ বছর ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২০ এ (এনডিসি) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩১ জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চার কমোডোর এবং একজন ক্যাপ্টেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পাঁচ জন এয়ার কমোডোর রয়েছেন। সশস্ত্র বাহিনী অফিসারদের পাশাপাশি দুজন অতিরিক্ত সচিব, ১১ জন প্রশাসনের যুগ্ম সচিব এবং সিভিল সার্ভিসের অন্যান্য ক্যাডার, বিদেশি পরিষেবা থেকে একজন মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ পুলিশের দুইজন উপ-মহাপরিদর্শক এতে অংশ নিয়েছিলেন। ১২ টি বন্ধু দেশের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল/কর্নেল এবং সমমানের পদমর্যাদার ২৫ জন সদস্যও অংশগ্রহণ করেন।

এ বছর আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সে তিনজন কর্নেল এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ জন লেফটেন্যান্ট কর্নেল, দুজন ক্যাপ্টেন এবং ছয় জন কমান্ডার বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে সাত গ্রুপ ক্যাপ্টেন এবং একজন উইং কমান্ডার অংশগ্রহণ করেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজেই এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদেরকে আপনারা গড়ে তুলবেন। যেন সবসময় জনগণের পাশে থেকে জনগণের কল্যাণে কাজ করেন।

তিনি সবসময় দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, কোভিড-১৯ এর সময় নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে রেখেও আপনারা ব্যাপকভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সেবা দিয়েছেন। সেজন্য সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।


আরও খবর
ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




বিশ্ব গণমাধ্যম সূচকে দুই ধাপ পিছিয়ে ১৬৫তম বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ২৭ দশমিক ৬৪ স্কোর নিয়ে ২ ধাপ পিছিয়ে ১৬৫তম অবস্থানে বাংলাদেশ। এ বছর ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) শুক্রবার (৩ মে) এই সূচক প্রকাশ করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দিক দিয়ে এবার শীর্ষস্থান দখল করেছে নেপাল; ৬০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ৭৪তম অবস্থান দখল করেছে। এর পরের অবস্থানে আছে মালদ্বীপ। ৫২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১০৬তম অবস্থানে। এবারের তালিকায় প্রথম অবস্থান থেকে ছিটকে তৃতীয় স্থান পেয়েছে ভুটান। ৩৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১৪৭তম অবস্থানে রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটানের পেছনে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ।

দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারত। এই তিন দেশের বৈশ্বিক অবস্থান যথাক্রমে ১৫০, ১৫২ ও ১৫৯তম।

গত বছরের ১৬১ থেকে দুই ধাপ এগিয়ে এবার ১৫৯তম অবস্থান পেয়েছে ভারত। আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বশেষ স্থান পেয়েছে। ২৬ ধাপ পিছিয়ে দেশটির বৈশ্বিক অবস্থান ১৭৮তম, পয়েন্ট মাত্র ১৯ দশমিক ০৯।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জের দিক দিয়ে গোটা বিশ্বে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এই প্রতিবেদনে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক কর্মস্থল হিসেবে মিয়ানমার, চীন, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও আফগানিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বৈশ্বিক সূচকে শীর্ষস্থান অটুট রেখেছে নরওয়ে। তাদের পয়েন্ট ৯১ দশমিক ৮৯। শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলো হলো ডেনমার্ক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানি।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সাংবাদিকরা কতটুকু স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন, তা যাচাই করা হয়। এই সূচকে পাঁচটি বিষয় আমলে নেয়া হয়। এগুলো হলো-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, আইনি অবকাঠামো, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও নিরাপত্তা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সারা বিশ্বের মুক্ত গণমাধ্যম রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, যাতে রাজনৈতিক সূচকের উল্লেখযোগ্য হ্রাস থেকে নিশ্চিত হয়েছে। এ বছর এই সূচকের বৈশ্বিক গড় সাত দশমিক ছয় শতাংশ কমেছে।


আরও খবর



বাগেরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় ব্যবসায়ী নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় সোহেল হাওলাদার (৪০) নামে এক আম ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৫ মে) সকালে খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার টাউন নওয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহেল হাওলাদার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার কালিকাবাড়ি গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কাটাখালি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।

ওসি মিজানুর বলেন, সাতক্ষীরা থেকে আম নিয়ে আসার সময় টাউন নওয়াপাড়া এলাকায় হ্যামকো ফ্যাক্টরির সামনে পিকআপ ভ্যানটি বিকল হয়ে যায়। আম ব্যবসায়ী সোহেল হাওলাদার সড়কে নেমে অন্য গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ সময় ঘাতক ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।


আরও খবর



ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সমর্থকদের সংঘর্ষ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার (ইউসিএলএ) ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিন সমর্থক ও ইসরায়েল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে এ সংঘাতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি ব্রুইনের সংবাদকর্মী ডিলান উইনওয়ার্ড জানিয়েছেন, ইসরায়েলপন্থীরা স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থীদের ক্যাম্পের সামনে হাজির হয়। তারা ক্যাম্পের দিকে আতশবাজি, একটি স্কুটার, পানির বোতল এবং টিয়ার গ্যাসসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছুঁড়েছে।

কী কারণে সংঘাতের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে ইসরায়েলপন্থীরা প্রথমে হামলা চালিয়েছিল বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালেয়ের উপ-উপাচার্য মেরি ওসাকো বলেছেন আজ রাতে শিবিরে ভয়াবহ সহিংসতা ঘটেছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তলব করা হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এবং নিউইয়র্কের সিটি কলেজ থেকে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদের অংশ হিসাবে তাবু গেড়ে অবস্থান নেওয়া শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের মূল দাবি হচ্ছে, যেসব ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গাজার যুদ্ধ থেকে লাভবান হচ্ছে, তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।


আরও খবর



বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনে এখনো আমরা রয়েছি। আমাদের লক্ষ্যে এখনো আমরা পৌঁছাতে পারিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাত থানার কারা-নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সম্মানে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে বা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আঘাতে আমাদের ২০ জন নেতাকর্মী মারা গেছেন গত আড়াই মাসে। পঙ্গু হয়েছেন অনেকেই, কারও পা চলে গেছে, কারও হাত চলে গেছে আর কারও পৃথিবীর আলো চলে গেছেদুই চোখ অন্ধ হয়ে গেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছোড়া গুলিতে আজকে অনেক নেতাকর্মী অন্ধ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ঈর্ষা থেকে হুমকি দিচ্ছেন উল্লেখ করে বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, ওবায়দুল কাদের এখন বলছেন, এবার আমরা বিএনপিসহ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিরোধ করব। লজ্জা করল না বলতে? পৃথিবী মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকরতম সাম্প্রদায়িক শক্তি এখন পার্শ্ববর্তী দেশে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি, যারা ভারতে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে, একমাত্র তারাই আপনাদের সমর্থন জানিয়েছে।

এত বড় সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সখ্যতা মন্তব্য করে রিজভী বলেন, তাদের সঙ্গে আপনাদের বন্ধুত্ব। আপনাদের মন্ত্রী বলেছেন, তাদের সঙ্গে আপনাদের নাকি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। আর আপনারা বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নাকি তাড়াবেন।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্রতাপে পুড়ছে মানুষ, টিউবওয়েলে মিলছে না পানি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখের বিদায় ঘন্টার সুর উঠেছে। তবুও বৃষ্টির দেখা নেই। ভয়ানক গরমে পুড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিটি মানুষ। অতিমাত্রার দাবদাহে গ্রাম থেকে শহর সবখানেই নাভিশ্বাস অবস্থা। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আবাদি জমি। হাসপাতালেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।

শুধু ঠাকুরগাঁও নন, অন্যান্য জেলাগুলোতেও একই চিত্র। দিনে-রাতে সমান গরম। এ পরিস্থিতিতে ঘরের ভেতরেও টিকে থাকা বড়ই দায়। ফ্যানের বাতাসেও যেন প্রাণ জুড়ায় না। সব মিলে বলা যায় অতিষ্ঠ প্রাণ। অনেকেই রোদের আগুনে পুড়ে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ।

ইতোমধ্যে তাপের প্রকোপ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। এমনকি তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় জমকালোভাবে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছেন এলাকাবাসী।

গত সোমবার শহরের মথুরাপুর এলাকায় স্থানীয়দের আয়োজনে ব্যাঙের বিয়েতে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুরা অংশগ্রহণ করেন। বিয়ের গীত আর নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল-ডাল সংগ্রহ করে ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

অন্যদিকে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠাকুরগাঁও গ্রাম ও হরিপুর উপজেলার শাহানাবাদ, হাটপুকুর, খালেকপাড়া গ্রামের টিউবওয়েল গুলোতে পানি উঠছে না। নেমে গেছে পানির স্তর। এতে করে অনেক নলকূপে মিলছে না পর্যাপ্ত পানি। তাতে খাবার পানিসহ দৈনন্দিন পানির সংকট দেখা দিয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপপ্রবাহে নেমে গেছে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্থর৷  টিউবওয়েলের পানি ঠিকমতো উঠছে না। পাম্প বসিয়েও পানি মিলছে না। বাড়িতে ব্যবহৃত কাপড়, থালাবাসন ধোয়া ও রান্নাবান্না করতে যে পানি দরকার তা মিলছে না। এতে নানান ধরনের ভোগান্তিতে রয়েছেন গ্রামবাসী।

ভুক্তোভুগীরা জানান, এমনি গরমে জীবন অতিষ্ঠ। তারপর আবার টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছেনা। অনেক ক্ষণ ধরে পানি দিয়ে পানি উঠানোর চেষ্টা করলেও পাওয়া যায় না। হঠাৎ করে অল্প পানি উঠলে আবার নাই হয়ে যায়। এতে করে বাড়ির যে কাজ গুলো এসব করা কঠিন হয়ে যায়। যাদের গভীর নলকূপ আছে তাদের বাড়িতে যেতে হয়।

অপদিকে, তীব্র গরমে ও খরা-অনাবৃষ্টিতে ফল-ফসল হিটশকের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় ফসলি জমিতে সেচ দিয়ে দুয়েক ইঞ্চি পরিমাণ পানি রাখার এবং আম, লিচু, জামসহ ফল গাছে পানি ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছেন জেলার কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

আজিজ নামে এক এনজিও কর্মী বলেন, আমি অফিসের কাজে তেঁতুলিয়া যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দিয়েছি। আজকে প্রচণ্ড গরমে গাড়ি চালাতে হাত-পা জ্বলছে। তাই গাছের নিচে একটু থেমেছি। এই রোদে এখন গাড়ি গন্তব্যে যাবো কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি। আসলে এমন তাপদাহ চলতে থাকলে জনজীবন থেমে যেতে পারে।

বাবু নামে এক অটোচালক বলেন, তাপের কারণে অটোর কন্ট্রোলার তাড়াতাড়ি কেটে যাচ্ছে ও চাকা ঘন ঘন পাংচার হচ্ছে। রোদের জন্য প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বেড় হচ্ছে না তাই যাত্রীও কম। এতে আমাদের খুব কষ্ট হয়ে গেছে চলাচল করতে।

এদিকে গরমের কারণে ২৫০ শয্যা ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে দেখা যায় তাপমাত্রাজনিত কারণে ছোট-বড় সব বয়সের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, তাপমাত্রাও বৃদ্ধির ফলে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত গরমের ফলে ডিহাইড্রেশন রোগ, যেটা পানি শূন্যতা বলে জানান তিনি।


আরও খবর