কাতার বিশ্বকাপের
প্রথম দিনেই ভেঙেছে বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাস। ১৯৩০ সালে শুরু হওয়া বিশ্বকাপে এখন
পর্যন্ত কোনো স্বাগতিক দল প্রথম ম্যাচে হারেনি। অবশেষে আজ কাতার নিজেদের প্রথম ম্যাচে
স্বাগতিক ইকুয়েডরের বিপক্ষে ০-২ গোলে হেরেছে।
স্বাগতিকদের মধ্যে
প্রথম পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া একমাত্র দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই দক্ষিণ আফ্রিকাও ২০১০
সালে জোহানসবার্গে ড্র করেছিল। এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন কাতার সেখানে স্বাগতিকদের এত দিনের
রেকর্ড বজায় রাখতে পারেনি।
রোববার (২১ নভেম্বর)
আল বায়াত স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ উদ্বোধনের করতালি তখনো শেষ হয়নি। এর মধ্যেই ইকুয়েডরের
গোলের উল্লাস। ম্যাচের ৩ মিনিটই বিশ্বকাপ উদ্বোধনী ম্যাচে সবচেয়ে দ্রুততম কিনা মিডিয়া
ট্রিবিউনে সাংবাদিকদের আলোচনা। সেই সময়ই ইতালির রেফারির ভিএআরের নির্দেশ। ভিডিও সহকারী
রেফারির বিশ্লেষণে অফ সাইড। সঙ্গে সঙ্গে আল বায়াত স্টেডিয়ামে আনন্দের উপলক্ষ। কাতারের
৫০ হাজার সমর্থকের গজন।
সেই গর্জন বেশিক্ষণ
টেকেনি। ১৫ মিনিটে ইকুয়েডর গোলের যাত্রা করে। মিডফিল্ড থেকে বাড়ানো থ্রু বল গোলরক্ষক
গ্রিপ করতে পারেননি। ইকুয়েডরের ফরোয়ার্ডকে বাধা দেওয়ায় রেফারির পেনাল্টির বাঁশি। পেনাল্টি
থেকে গোল করতে ভুল করেননি ভ্যালেন্সিয়া।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে
ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভ্যালেন্সিয়াই। ডান প্রান্ত থেকে ক্রসে বক্সে লাফিয়ে হেডে গোল
করেন। এই গোলের পর কাতার ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে ৷ বল পজেশন, আক্রমণ সব দিক থেকেই ইকুয়েডর
এগিয়ে ছিল। স্কিল ও ট্যাকটিসে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন দল যে পেছনে সেটা ম্যাচ যত গড়িয়েছে
ততই স্পষ্ট হয়েছে।
কাতার পুরো ম্যাচে
মাত্র দুটি সুযোগ পেয়েছিল। ৯০ মিনিটের মধ্যে বেশিরভাগ সময় খেলা হয়েছে কাতারের অর্ধেই।
দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথেই অনেক কাতারের দর্শক স্টেডিয়াম ছেড়েছেন।
ইকুয়েডর বিশ্বকাপ
বাছাইয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করেছিল। তবে ইকুয়েডরের এক খেলোয়াড় নিয়ে চিলি এবং পেরু অভিযোগ
করেছিল। আইন আদালত পর্যন্ত বিষয়টি গড়ানোর পর বিশ্বকাপের কিছু দিন আগে এটি নিষ্পত্তি
হয়। ইকুয়েডর সেই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল দারুণভাবে।